রাজ্য
বিক্ষোভের ‘আগুন’ পশ্চিমবঙ্গেও!

ওয়েবডেস্ক: নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন ২০১৯-এর প্রতিবাদে শুক্রবার কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় চলল বিক্ষোভ প্রদর্শন। কোথাও কোথাও বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সহিংস পথ ধরতেও দেখা গেল প্রতিবাদকারীদের।
এ দিন মধ্য কলকাতার ওয়েলিংটন মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে একটি ধর্মীয় সংগঠন। লেনিন সরণি এবং ওয়েলিংটন মোড়ের সংযোগস্থল ২.২০টা থেকে ৩টে পর্যন্ত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
অন্য দিকে পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টেও পথ অবরোধ করা হয়। আড়াইটা থেকে ৩টে পর্যন্ত পথ অবরোধের জেরে ব্যাহত হয় যান চলাচল।
পাশাপাশি বীরভূমের নলহাটি, মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান প্রতিবাদকারীরা। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা স্টেশনে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোক্ষকারীদের বিরুদ্ধে। রেল লাইনের ওপর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয় যান চলাচল।
উলুবেড়িয়া স্টেশনও বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেখানে রেল অবরোধ করা হয়। এর ফলে হাওড়া-খড়গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ। লালগোলা-কৃষ্ণনগর রেল বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্বাভাবিক ভাবেই বিভিন্ন স্টেশনে দাড়িয়ে পড়ে দূরপাল্লার অসংখ্য ট্রেন। দাঁড়িয়ে পড়ে কুরলা, ইস্টকোস্ট, ধৌলি, কান্ডারি, মুম্বই, করমণ্ডল এক্সপ্রেস।
শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড় আবেদন জানিয়েছেন, “দেশের আইনের প্রতি সম্মান বজায় রাখুন। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল এখন আইন। শান্তি বজায় রাখুন”।
অন্য দিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “প্রতিবাদ করুন গণতান্ত্রিক উপায়ে”।
এডিজি আইনশৃঙ্খলা জানিয়েছেন, “উলুবেড়িয়া এবং বেলডাঙার পরিস্থিতি শান্ত হচ্ছে”।
রাজ্য
কলকাতা-উত্তর ২৪ পরগণা বাদে রাজ্যের বাকি অংশে নতুন করে আক্রান্ত মাত্র ৫৯
দৈনিক সংক্রমণের হার অনেকটাই কমল

খবরঅনলাইন ডেস্ক: এই মুহূর্তে রাজ্যে সব থেকে বেশি কোভিড সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণায়। রাজ্যের বাকি অংশে সংক্রমণ পুরোপুরি ঝিমিয়ে পড়েছে। মঙ্গলবারের তথ্য অনুযায়ী উল্লিখিত দুই জেলা বাদে রাজ্যের বাকি অংশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৫৯।
তবে সামগ্রিক ভাবে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির বেশ ভালো রকমের উন্নতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে তিন হাজারের কাছাকাছি টেস্ট বাড়লেও নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কিন্তু অনেকটাই কমেছে। এর ফলে সংক্রমণের হার ফের এক শতাংশে নেমে এসেছে।
রাজ্যের কোভিড-তথ্য
গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কোভিডে (Covid 19) আক্রান্ত হয়েছেন ১৭১ জন। এর ফলে রাজ্যে মোট কোভিডরোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪৮৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২০৯ জন। এর ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৬৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ২৭০ হয়েছে।
রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩ হাজার ২৫৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ জন সক্রিয় রোগী কমেছে রাজ্যে। রাজ্যে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৭.৬৫ শতাংশ।
দৈনিক সংক্রমণের হার অনেকটাই কমল
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৮ হাজার ৯৬৫টি। ফলে এ দিন সংক্রমণের হার ছিল ০.৯০ শতাংশ। সোমবারের (১.২৩%) হার থেকে এক লাফে এটা অনেকটাই কমেছে।
একই সঙ্ঘে রাজ্যের সামগ্রিক সংক্রমণের হারও আরও কিছুটা কমেছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৮৫ লক্ষ ৯৮ হাজার ২৫৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সংক্রমণের হার রয়েছে ৬.৬৯ শতাংশ।
হাসপাতাল শয্যা-তথ্য
সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে বর্তমানে ৬০ হাসপাতালের ৬,৭৩৬টি শয্যা কোভিডের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত রয়েছে। এর মধ্যে ভরতি আছে মাত্র ৩.১৬ শতাংশ বেড।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার পরিস্থিতি
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণা, দুই জেলাতেই বর্তমানে সব থেকে বেশি দৈনিক সংক্রমণ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় ৭০ এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ৪২ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে এর বাইরে রাজ্যের ২১টি জেলায় মোট নতুন সংক্রমণ ৫৯। দুই জেলায় সুস্থ হয়েছেন যথাক্রমে ৫৬ এবং ৪৯ জন। দুই জেলাতেই একজন করে রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
কলকাতায় এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৫৫১, উত্তর ২৪ পরগণায় মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ২৩ হাজার ২৫৪। কলকাতায় বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১,২০১ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ৯৪৭। দুই জেলায় মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ৩,১০২ এবং ২,৫০৮ জনের।
বাকি সব জেলাতেই সংক্রমণ দশের কম
সোমবার রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় নতুন সংক্রমণ দশের বেশি ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সব প্রান্তেই তা দশের কমে এসে গিয়েছে। জেলাগুলি হল মালদা (১), পুরুলিয়া (১), পূর্ব মেদিনীপুর (১), পূর্ব বর্ধমান (১), হুগলি (১), মুর্শিদাবাদ (২), পশ্চিম মেদিনীপুর (২), বীরভূম (২), উত্তর দিনাজপুর (৩), আলিপুরদুয়ার (৪), জলপাইগুড়ি (৪), দার্জিলিং (৫), বাঁকুড়া (৬), পশ্চিম বর্ধমান (৬), হাওড়া (৬), নদিয়া (৭) এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা (৭)।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় কোচবিহার, কালিম্পং, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং ঝাড়গ্রামে নতুন করে কেউ কোভিডে আক্রান্ত হননি।
রাজ্য
বিজেপিতে যোগ দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি
মাস তিনেকের নাটকে যবনিকা! ভোটের মুখে গেরুয়া শিবিরে ভিড়লেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি।

খবর অনলাইন ডেস্ক: শেষমেশ বিজেপিতে যোগ দিলেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)।
মঙ্গলবার শ্রীরামপুরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভায় তিনি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেন।মাস তিনেক আগেও তাঁর বিজেপি-যোগের সম্ভাবনা প্রকট হয়। তবে সে বার যোগদান আটকে যাওয়ায় তিনি ফের তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আস্থা দেখিয়ে তৃণমূলেই রয়ে যান।
সূত্রের খবর, তৃণমূলে নিজের পুরনো জায়গা উদ্ধার করতে না পেরে ‘ঘর ওয়াপসি’র পরেও তিনি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। উল্টো দিকে জিতেন্দ্রর উপর সম্ভবত পূর্ণ আস্থা ফেরেনি তৃণমূল নেতৃত্বের৷ এ বারের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলে তাঁর টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনাও ছিল না বললেই চলে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মেদিনীপুরের সভায় বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ আরও বেশ কয়েক জন বিধায়ক-সাংসদ। সেই সভাতেই গেরুয়া শিবিরে প্রবেশের কথা ছিল জিতেন্দ্ররও। শোনা যায়, বাবুল সুপ্রিয়-সব বেশ কয়েক জন বিজেপি নেতার চরম আপত্তিতে তা শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায়। তবে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা চলছিল-ই।
কী করে বদলাল পরিস্থিতি? একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় বলেন, রাজনীতিতে কোনো কিছুই চিরকালীন নয়৷ বরং গত একমাসে তাঁর সঙ্গে জিতেন্দ্রর একাধিকবার কথা হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
বিজেপির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জিতেন্দ্র এ দিন বলেন, “আজ থেকে আমার মনের ভাবনা স্বাধীন ভাবে প্রকাশ করার সুযোগ পাব। ছোটোবেলা থেকেই জয় শ্রীরাম বলি। কিন্তু এত দিন মঞ্চে উঠে তা বলতে পারিনি। মনে এক কথা, আর বাইরে এক কথা বলতে হতো। তবে আমি কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করতে চাই না”।
আরও পড়তে পারেন: প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগেই বিদায়ী বিধায়কের নামে দেওয়াল লিখন ঘিরে চাঞ্চল্য জয়নগরে
দঃ ২৪ পরগনা
প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগেই বিদায়ী বিধায়কের নামে দেওয়াল লিখন ঘিরে চাঞ্চল্য জয়নগরে
কর্মীরা উৎসাহে লিখে ফেলেছেন, মুখে ফেলতে বললেন বিধায়ক!

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর: ভোট ঘোষণা হয়ে গেলেও মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি তৃণমূল। আর তারই মাঝে জয়নগরের বিভিন্ন এলাকায় তৃনমূল প্রার্থী হিসেবে বিদায়ী বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের নামে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিলেন তৃণমূলকর্মীরা।
মঙ্গলবার সকালে জয়নগর বিধানসভার ময়দা, চণ্ডীপুর, মনিরতট, মায়াহাউড়ি, গড়দেওয়ানি-সহ বহু এলাকার দেওয়ালে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে বিদায়ী বিধায়ক বিশ্বনাথ দাসের নাম জ্বল জ্বল করছে। আর তাই নিয়েই চরম অস্বস্থিতে পড়েছে জয়নগরের বিদায়ী বিধায়ক।
তিনি এ ব্যাপারে বলেন, “প্রার্থী ঘোষণার আগে এ ভাবে কখনো দেওয়াল লিখন করা যায় না। তবে কিছু উৎসাহী কর্মীরা অতি উৎসাহে এ সব কাজ করেছে। আমি তাদেরকে বলেছি আমার নাম লেখা দেওয়ালগুলো এখন মুছে ফেলতে। প্রার্থী ঘোষণার পরে দেওয়াল লিখন করতে বলেছি”।
আরও পড়তে পারেন: বামেদের প্রার্থী তালিকায় থাকতে পারে একাধিক চমক
-
রাজ্য3 days ago
ব্রিগেড সমাবেশ: দরকারে ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ি নিলাম করে প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত, হুঁশিয়ারি মহম্মদ সেলিমের
-
রাজ্য3 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ফিরতে পারে তৃণমূল সরকার, কী বলছে সমীক্ষা
-
ফুটবল3 days ago
পাঁচ গোল করেও ওড়িশার কাছে ছয় গোলের মালা পরল ইস্টবেঙ্গল
-
বিনোদন1 day ago
বিজেপিতে যোগ দিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী, ভোটে কি দাঁড়াবেন?