রাজ্য
৮০ বছরের ঊর্ধ্বে এবং শারীরিক অক্ষমদের জন্য পোস্টাল ব্যালট, আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
দিল্লি ফিরে গেলেন উপ নির্বাচন কমিশনার। ফুল বেঞ্চ আসতে পারে ১৮-২২ জানুয়ারি।

কলকাতা: রাজ্য সফর সেরে দিল্লি ফিরে গেলেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। সঙ্গে বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসার পাশাপাশি বেশ কিছু পরিবর্তনের ইঙ্গিতও দিয়ে গেলেন।
রাজ্যে ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন জৈন। বুধবার কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে প্রথমে সমস্ত জেলার পুলিশ সুপার ও কমিশনারেট কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জৈন। এ বারের ভোটে বাড়তি সংযোজন করোনা সংক্রমণ এড়িয়ে নির্বিঘ্নে ভোট পরিচালনা। সে দিকে তাকিয়েই বৃহস্পতিবার তিনি কোভিড টাস্ক ফোর্সের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ১৮-২২ জানুয়ারির মধ্যে রাজ্যে আসতে পারে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ওই সময় রাজ্যে আসতে পারেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা, নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র এবং রাজীব কুমার। তার পরেই ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বিধানসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে কমিশন।
বিভিন্ন দফতরের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেন জৈন। শিক্ষাসচিবের কাছ থেকে উম্পুনে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলের বিবরণ চান তিনি। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এ বার প্রায় ২৫ হাজারের মতো বুথ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। ফলে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত স্কুলগুলির পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন তিনি।
সূত্রের খবর, এ বারের ভোটে ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে হলে পোস্টাল ব্যালটের সুবিধা পাওয়া যাবে। শারীরিক ভাবে অক্ষমরাও পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। আবেদন করলে নির্বাচন কমিশন বাড়িতে পৌঁছে যাবে।
কয়েক বছর আগেই কেন্দ্র জানিয়েছে, শারীরিক অক্ষম এবং ৮০ বছরেরও বেশি বয়সের ভোটাররা এ বার পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমেই তাঁদের ভোট দিতে পারবেন। এই পদক্ষেপে ভোটারদের ভোটদান আগ্রহবৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এ ক্ষেত্রে পোলিং অফিসার ৮০ বছরের ঊর্ধেব প্রবীণ নাগরিক এবং অক্ষম ব্যক্তির ক্ষেত্রে ‘অ্যাবজেন্টি ভোটার’ হিসাবে মান্যতা দিতে ১৩এ ফর্মে প্রত্যায়িত করবেন।
সাম্প্রতিক বিহার বিধানসভা নির্বাচনেও ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে এবং শারীরিক অক্ষমদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করা হয়। করোনা সংক্রমণ এড়িয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটের জন্য বিহারের ভোটকেই মডেল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আরও পড়তে পারেন: রাজ্যে উপ নির্বাচন কমিশনার, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বিধানসভা ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারির ইঙ্গিত

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, সুন্দরবন: সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সম্পদ বাঁচানোর পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করা খুব প্রয়োজন। সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই বৃহস্পতিবার দুপুরে সুন্দরবনে ছাড়া হল ছ’টি কুমির।
সুন্দরবনের জীব পরিমণ্ডলের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সুন্দরবনের নদীতে এই ছ’টি কুমির ছাড়ল বন দফতর। ১৯৭৬ সাল থেকে সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমার ভগবতপুরের কুমির প্রকল্পে কুমির প্রজননের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানেই জন্ম হয়েছে কুমিরগুলির। চার বছর বয়সের কুমিরদের নোনা জলে অর্থাৎ সুন্দরবনে ছেড়ে দেওয়া হয় এ দিন।

বন দফতর এ বারে মোট ৫৫টি কুমির ছাড়বে সুন্দরবনের বিভিন্ন কোর অংশে। যার মধ্যে ৪০টি পুরুষ ও ১৫টি স্ত্রী কুমির থাকবে। বৃহস্পতিবার প্রথম পর্যায়ে ছ’টি কুমির ছাড়া হল সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অন্তর্গত বিদ্যা রেঞ্জের স্টোরখালি এলাকায়। এগুলির মধ্যে পাঁচটি কুমির আনা হয়েছে ভগবতপুর কুমির প্রকল্প থেকে এবং একটি আনা হয়েছে সজনেখালি থেকে। ছ’টি কুমিরের মধ্যে একটি পুরুষ কুমির, আর বাকি পাঁচটি স্ত্রী কুমির। এদের প্রত্যেকের গড় ওজন ১৪.২৬ কেজি করে।
এ দিন নদীতে ছাড়া কুমিরগুলি সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রাণী চিকিৎসক। কুমির ছাড়ার সময় স্টোরখালিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যর প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) বিনোদকুমার যাদব, সুন্দরবন জীব পরিমণ্ডলের অধিকর্তা পিয়ার চাঁদ, সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিকর্তা তাপস দাস, জেলার বন দফতরের ডিএফও মিলন মণ্ডল, সহকারী ডিএফও অনুরাগ চৌধুরী-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। আগামী দিনে বাকি কুমিরগুলোকেও সুন্দরবনে ছাড়া হবে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়তে পারেন: আরও এক দফায় ‘দুয়ারে সরকার’
রাজ্য
আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য বাড়লেও রাজ্যে কমল সংক্রমণের হার, কলকাতায় সংক্রমণ একশোর নীচে
রাজ্যে সুস্থতার হার ৯৭ শতাংশের ওপরে রয়েছে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: গত তিন দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার রাজ্যে করোনার নতুন সংক্রমণ সামান্য বেড়েছে। তবে বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবার দৈনিক সংক্রমণের হার বেশ কিছুটা কমেছে। মৃতের সংখ্যা একটু বাড়লেও সেটা দশের নীচেই রয়েছে। গত চার দিনের মধ্যে তিন দিন কলকাতায় নতুন সংক্রমণ একশোর নীচে রেকর্ড করা হয়েছে।
রাজ্যের কোভিড-তথ্য
গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কোভিডে (Covid 19) আক্রান্ত হয়েছেন ৪১৬ জন। এর ফলে রাজ্যে মোট কোভিডরোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৮৯৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫১৭ জন। এর ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৫০ হাজার ২৪৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৯ জনের। এর ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০ হাজার ৮৯।
রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৬ হাজার ৫৬৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১০ জন সক্রিয় রোগী কমেছে রাজ্যে। রাজ্যে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৭.০৬ শতাংশ।
দৈনিক সংক্রমণের হার কমল
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার সামান্য কমেছে। এ দিন রাজ্যে ২৮ হাজার ২৯৩টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। ফলে এ দিন দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ১.৪৭ শতাংশ। বুধবার এই হারটা ছিল ১.৫০ শতাংশ।
এ দিকে রাজ্যে সামগ্রিক সংক্রমণের হারও আরও কিছুটা কমেছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৭৭ লক্ষ ৫১ হাজার ৬৬৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সংক্রমণের হার রয়েছে ৭.৩১ শতাংশ।
হাসপাতাল শয্যা-তথ্য
সুস্থতা বাড়তে থাকায় হাসপাতালের শয্যা কিন্তু ধীরে ধীরে বাড়ছে রাজ্যে। বর্তমানে রাজ্যে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে মোট ১০২টি হাসপাতালে কোভিড চিকিৎসা হচ্ছে। রাজ্য জুড়ে মোট ১২ হাজার ৪৪০টি শয্যা চিকিৎসার জন্য চিহ্নিত রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৬.০৩ শতাংশ শয্যা বর্তমানে ভরতি রয়েছে।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার পরিস্থিতি
রাজ্যের দু’টি জেলায় সংক্রমণ বাকি অঞ্চলের থেকে বেশি। এই দু’টি হল কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণা। তবে এ দিনও কলকাতায় সংক্রমণ ছিল একশোর নীচে।
কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৭ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ১১০ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতায় ১১১ আর উত্তর ২৪ পরগণায় ১৫৬ জন সুস্থ হয়েছেন। কলকাতায় ৪ এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ৩ জন কোভিডরোগীর মৃত্যু হয়েছে।
কলকাতায় এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ২০৩। উত্তর ২৪ পরগণায় মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ২০ হাজার ৮৫৪। কলকাতায় বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১,২৯০ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ১,৭০৫।দুই জেলায় মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ৩,০৫২ এবং ২,৪৪৯ জনের।
কুড়ির বেশি নতুন সংক্রমণ চারটে জেলায়
কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণা বাদে গত ২৪ ঘণ্টায় চারটে জেলায় নতুন সংক্রমণ ছিল কুড়ির ওপরে। এই জেলাগুলি হল হাওড়া (২৯), বাঁকুড়া (২৬), হুগলি (২২) এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণা (২০)।
এর পর যে যে জেলায় সংক্রমণ তুলনামূলক বেশি ছিল সে গুলি হল নদিয়া (১৯), পশ্চিম বর্ধমান (১৬), পূর্ব মেদিনীপুর (১৩) এবং দার্জিলিং (১০)।
১৩ জেলায় নতুন সংক্রমণ এক অঙ্কে
বৃহস্পতিবার রাজ্যের ১৩টি জেলায় সংক্রমণ ছিল এক অঙ্কে। এই জেলাগুলি হল কালিম্পং (১), কোচবিহার (১), আলিপুরদুয়ার (২), উত্তর দিনাজপুর (৩), দক্ষিণ দিনাজপুর (৩), ঝাড়গ্রাম (৩), জলপাইগুড়ি (৫), মালদা (৫), মুর্শিদাবাদ (৫), পুরুলিয়া (৫), পূর্ব বর্ধমান (৫), পশ্চিম মেদিনীপুর (৭), এবং বীরভূম (৯)।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
মির্জাপুর: কেন্দ্র, অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওকে নোটিশ জারি সুপ্রিম কোর্টের
রাজ্য
আরও এক দফায় ‘দুয়ারে সরকার’
যাঁরা এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের সুবিধা পাননি, তাঁদের জন্য আরও এক দফায় দুয়ারে সরকার চলবে।

খবর অনলাইন ডেস্ক: সাধারণ মানুষের আগ্রহ দেখে আরও এক দফায় ‘দুয়ারে সরকার’ (Duare Sarkar) কর্মসূচি চালিয়ে যাবে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মানুষের আরও বেশি আগ্রহ এবং ইচ্ছা দেখে ও যাঁরা এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের সুবিধা পাননি, তাঁদের জন্য আরও এক দফায় দুয়ারে সরকার চলবে। চতুর্থ পর্যায়ের কর্মসূচির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২৫ জানুয়ারি। তাই পঞ্চম দফা শুরু হবে আগামী ২৭ জানুয়ারি থেকে, চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত”।
দু’কোটির উপর
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন জানান, “আপনারা শুনলে খুশি হবে, দুয়ারে সরকার-এ দু’কোটির উপর মানুষ অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশ কার্ড দিয়ে দেওয়া হয়েছে”।
বার্ধক্য এবং বিধবা ভাতা নিয়েও এ দিন বড়ো ঘোষণা করে তিনি বলেন, “আমাদের বাড়িতে অনেক বয়োজ্যেষ্ঠা এবং বিধবা মহিলারা থাকেন, তাঁরা ভাতা পান। এ বার যে ১৫ লক্ষ আবেদন জমা পড়েছিল, তার পুরোটাই অনুমোদন করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার থেকেই পেনশন বিতরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে”।
দুয়ারে সরকার কী
পাড়ায় পাড়ায় শিবির করে সরকারি পরিষেবা দেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করার কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল সরকার। নাম ‘দুয়ারে সরকার’। কোনো নাগরিক পরিষেবা না পেলে ওই শিবিরে গিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে পারছেন। গত ১ ডিসেম্বর থেকে চালু হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই বিশেষ উদ্যোগ।
কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, খাদ্যসাথী, ঐক্যশ্রী, শিক্ষাশ্রী, জয় জহর, তফসিলি বন্ধু, মানবিক-এর মতো প্রকল্প থাকলেও সাধারণ মানুষের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ স্বাস্থ্যস্বাথী প্রকল্প নিয়ে। এই প্রকল্পেই সবচেয়ে বেশি মানুষ নাম লেখাচ্ছেন।
আরও পড়তে পারেন: বিএসএফ সীমান্তের গ্রামে ঢুকে ভয় দেখাচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ তৃণমূলের
-
রাজ্য3 days ago
বুধবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
-
প্রবন্ধ2 days ago
শিল্পী – স্বপ্ন – শঙ্কা: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে যেমন দেখেছি, ৮৭তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য
-
দেশ2 days ago
রবিবার পর্যন্ত করোনাহীন ছিল লাক্ষাদ্বীপ, পরের দু’ দিনে পজিটিভ ১৫
-
রাজ্য3 days ago
বিজেপি আসন বাড়ালেও রাজ্যে ক্ষমতায় থাকবে তৃণমূলই, ইঙ্গিত সি ভোটারের সমীক্ষায়