ওয়েবডেস্ক: এ যেন ‘মরার পর খাঁড়ার ঘা!’ চড়া পারদ এবং অসহ্যকর আর্দ্রতা তো ছিলই, এর সঙ্গে এ বার যোগ হল তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা। এর মধ্যে হালকা ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তা থেকে রেহাই মেলার সম্ভাবনা বিশেষ নেই।
শনিবার আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের আট জেলা মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য। আগামী ৪৮ ঘণ্টার জন্য এই সতর্কতা জারি করা হলেও পরবর্তী সময়ে তা বাড়ানোও হতে পারে।
ইতিমধ্যে পশ্চিমের জেলাগুলিতে ক্রমশ বাড়ছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। শনিবার রাজ্যের উষ্ণতম স্থান ছিল আসানসোল। সেখানে এ দিন পারদ রেকর্ড করা হয় ৪১.৪ ডিগ্রি। মাত্র দশমিক এক ডিগ্রির জন্য আসানসোলের পরেই ছিল পুরুলিয়া এবং হুগলির মগরা। ৪০-এর ওপরে পারদ রেকর্ড করা হয়েছে বাঁকুড়া এবং মালদাতেও। অন্য দিকে বর্ধমান, পানাগড়, বোলপুরের মতো জায়গায় পারদ ঘোরাফেরা করেছে ৩৯ ডিগ্রির কাছাকাছি।
আরও পড়ুন ভারতে যাত্রা শুরু করল বর্ষা
কলকাতায় সর্বোচ্চ পারদ স্বাভাবিকের মাত্র এক ডিগ্রি বেশি ছিল। কিন্তু খাতায়কলমে এই ৩৭ ডিগ্রির তাপমাত্রায় শহরের ‘রিয়েল ফিল’ উঠে গিয়েছিল ৫৫ ডিগ্রির কাছাকাছি। যার ফলে কলকাতার চরম অস্বস্তিকর পরিস্থিতি ছিল। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই দিতে পারে একমাত্র ঝড়বৃষ্টি।
তবে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা যে একেবারে নেই সেটাও নয়। শনিবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু অঞ্চলে ভালো ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। এই ঝড়ের প্রভাবে রাতের দিকে কলকাতায় হাওয়া কিছুটা ঠান্ডা হতেও পারে। রবিবার এবং সোমবার কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বিকেলের দিকে হালকা ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তা থেকে স্বস্তি বিশেষ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
দক্ষিণবঙ্গ যখন এই গরমে জেরবার তখন উত্তরবঙ্গ যথেষ্ট মনোরম। পাহাড় তো বটেই, মনোরম আবহাওয়া সমতলে। শিলিগুড়িতে এ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩১ ডিগ্রি। জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে পারদ ছিল যথাক্রমে ২৯.৮ এবং ২৯.৬ ডিগ্রি। আর পাহাড়ের তো কথাই নেই। দার্জিলিংয়ে এ দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মাত্র ২২.৬ ডিগ্রি। পাহাড়ের রানিতে শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৮ ডিগ্রি। ফলে দক্ষিণবঙ্গের গরম থেকে পালানোর জন্য উত্তরবঙ্গই যে এখন সেরা ঠিকানা তা বলাই বাহুল্য।