নবান্ন: সরকারি জমি দখল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া বার্তার পর এবার বিএলআরও-দের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। একসঙ্গে ১৮০ জনেরও বেশি বিএলআরও-কে বদলি করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছেন কলকাতার বিএলআরও-ও।
এছাড়াও, কয়েকজন বিএলআরও-কে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করা হয়েছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সহ প্রতিটি জেলার বিএলআরও-রা এই বদলির তালিকায় রয়েছেন। পাশাপাশি, রেভিনিউ অফিসারদেরও বদলি করা হয়েছে। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের অধীনে সাম্প্রতিক কালে এটাই সবথেকে বড় বদলি।
আগামী ১২ জুলাইয়ের মধ্যে বদলি হওয়া বিএলআরও-দের রিলিজ করতে হবে বলে নবান্ন থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং বিএলআরও-দের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন। এরপরই শুরু হয় তৎপরতা। বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহের ভিত্তিতেই এই বদলি করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
কিছু দিন আগে নবান্নে একটি বৈঠকে বিএলআরও-দের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, বিএলআরও-দের একাংশের টাকা তোলা ছাড়া কাজ নেই। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “ওঁদের বলুন, চাকরি থেকে ছাঁটাই করে দেব। ওঁদের লিভ দিয়ে দিন। কারণ ওঁদের চাকরিতে রাখা মানেই সরকারের লোকসান। তার চেয়ে বরং বসিয়ে দিন। কাউকে চুরি করার অধিকার দেওয়া হয়নি। সরকার তো মাইনে দিচ্ছে। তার পরও চাই, চাই আর চাই।’’
মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠকের পর জেলাপ্রশাসনের সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্য সচিব। সেই বৈঠকে তিনি কড়া বার্তা দেন। রাজস্ব আদায় কেন ঠিক মতো হচ্ছে তা নিয়েও রীতিমতো তোপের মুখে রাখেন প্রশাসনিক কর্তাদের। তারপরই নবান্ন থেকে ১৮০ জনের ও বেশি বিএলআরও-কে বদলি সিদ্ধান্ত কথা জানানো হল।
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রাজ্য সরকার জমি দখল এবং ভূমি রাজস্ব প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা বাড়াতে চাইছে বলে মনে করা হচ্ছে।