কলকাতা: ভোট-বাংলায় আলোচনায় থাকা বসিরহাটে এগিয়ে তৃণমূল, পিছিয়ে পড়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সোশ্যাল মিডিয়ায় মিম-এর ঠেলায় ব্যাকফুটে চলে যাওয়া রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এগিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের থেকে….। এমনই সব খবরের বিপর্যস্ত বিজেপি শিবির।
আজ, মঙ্গলবার লোকসভা ভোটের ফলাফল। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনা। বুথফেরত সমীক্ষায় আগেই বলে দেওয়া হয়েছিল, এ বারের ভোটে বাংলায় উঠবে গেরুয়া ঝড়। তলানিতে ঠেকবে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের আসন সংখ্যা। তবে ইভিএম খোলার পর দেখা যাচ্ছে, ধীরে ধীরে ফিকে হচ্ছে গেরুয়া-ভাবনা!
এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ শুরু হতেই বড়সড় ধস শেয়ার বাজারে। গণনা শুরু হতেই ব্যাপক লোকসান বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে। প্রায় ৩ হাজার পয়েন্টেরও বেশি পড়ে যায় সেনসেক্সের সূচক। কারণ একটাই। বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোট সমানে টক্কর দিচ্ছে বিজেপির এনডিএ-কে। তবে সবচেয়ে নজর কাড়ছে পশ্চিমবঙ্গের ফলাফল। বুথফেরত সমীক্ষায় যেখানে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ক্লিন সুইপ নিশ্চিত করা হয়েছিল, সেখানে কোনো মিলই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু কি তাই, গত ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে পাওয়া বিজেপির ১৮ আসনও এ বার কমে যেতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলছে প্রবণতায়।
দুপুর ২টো নাগাদ রাজ্যের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রে ফলাফলের প্রবণতা এ রকম- তৃণমূল ৩১, বিজেপি ১১ এবং কংগ্রেস এগিয়ে রয়েছে ১টি আসনে। এর সঙ্গে বুথফেরত সমীক্ষার আকাশ-পাতাল ফারাক।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সমীক্ষক সংস্থার বুথফেরত সমীক্ষা এ রাজ্যে তৃণমূলের সম্ভাব্য আসন সংখ্যাকে ২০-র নীচে নামিয়ে এনেছিল। কেউ কেউ অতিউৎসাহী হয়ে ১৩ থেকে ১৭টি পর্যন্ত দিতে কুণ্ঠাবোধ করেনি। এখন, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে বাংলায় ফের মমতা-ম্যাজিক, আরও শক্তি বাড়াল তৃণমূল। গত বার মিলেছিল ২২টি আসন। এ বারের এখনও পর্যন্ত ফলাফলের প্রবণতা বলছে, সেই সংখ্যা ছাপিয়ে যাবে তৃণমূল।