ভ্রমণের খবর
পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে উদ্যোগী রাজ্য, বাজেটে বরাদ্দ ১০ কোটি টাকা
বেশ কয়েক বছর ধরেই পর্যটনে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: করোনা অতিমারির ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে রাজ্যের পর্যটন শিল্পে। এই শিল্পকে চাঙ্গা করতে রাজ্য বাজেটে পর্যটনের দিকেও বিশেষ নজর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্যটনে ১০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব দেন তিনি।
এক দিকে পর্যটনকেন্দ্রগুলিকে ঢেলে সাজা অন্য দিকে এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা বা যাঁরা এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের সমৃদ্ধ করাও যে লক্ষ্য তা তাঁর এ দিনের বাজেট থেকে আবার স্পষ্ট হল।
শুক্রবার রাজ্য বাজেট পেশ করার সময়ে পর্যটন সহায়তা প্রকল্পের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পের আওতায় আসবে রিসর্ট, হোটেল, হোমস্টে, ভ্রমণ সহায়ক সংস্থাগুলি। ৫০ হাজার থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যাঙ্ক ঋণ পাওযার সুবিধা দেওয়ার কথাও এ দিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সুদের ৫০ শতাংশ প্রথম বছরে বহন করবে রাজ্য।
বাজেট ভাষণে তিনি বলেন, “কোভিড-১৯ অতিমারিতে ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্প বিশেষ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা ও বহু মানুষ এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। এই সব সংস্থার পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাজ্য সরকার একটি পর্যটন সহায়ক প্রকল্প শুরু করেছে।” এ ছাড়াও আগামী পাঁচ বছরের জন্য একটি নতুন ইনসেনটিভ স্কিমের কথাও ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বেশ কয়েক বছর ধরেই পর্যটনে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য সরকার। পর্যটন মেলাও চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। গত কয়েক বছরে রাজ্যের পর্যটন শিল্পে বেশ উন্নতিও হয়েছে। যদিও অতিমারির কারণে ২০২০-এর মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ থাকায় ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষজন।
খবরঅনলাইনে আরও পড়ুন
আজ সন্ধ্যার পর রাজ্য জুড়ে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা, কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও
কলকাতা
এ বার সারা দিনের পাসে বাস-ট্রাম-ফেরিতে কলকাতা ভ্রমণ
কলকাতা শহরে সারা দিনে যত বার খুশি বাস-ট্রাম-ফেরিতে ভ্রমণ করা যাবে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ভ্রমণের জন্য ‘হপ অন হপ অফ’ (hop-on-hop-off) পাস চালু করল ওয়েস্টবেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (ডব্লিউবিটিসি, WBTC)। বেশ কয়েক বছর আগে কলকাতার ট্রামে যে অল ডে টিকিট চালু ছিল, এটা অনেকটাই সে রকম। তবে এই ‘হপ অন হপ অফ’ পাস নিয়ে শুধু ট্রাম নয়, কলকাতা শহরে সারা দিনে যত বার খুশি বাস-ট্রাম-ফেরিতে ভ্রমণ করা যাবে। ২১ জানুয়ারি থেকে এই পাস পাওয়া যাবে।
লন্ডন ও সিঙ্গাপুরে সিটি ট্যুরের ক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের জন্য যে টিকিট-ব্যবস্থা রয়েছে, তারই আদলে চালু হচ্ছে এই পাস। এই পাসের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সিটি ট্রাভেল পাস’ (City Travel Pass)। এই পাসের দাম পড়বে ১০০ টাকা। তবে কেউ যদি এক সঙ্গে ২০টা বা তার বেশি পাস কেনেন, সে ক্ষেত্রে টিকিটের দামে ১০% ছাড় পাওয়া যাবে।
ডব্লিউবিটিসি-র এক আধিকারিক বলেন, “ট্রেন বা বিমানে ভ্রমণ করার ফাঁকে কোনো ভ্রমণকারীর যদি কলকাতায় সারাটা দিন কাটিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকে, তা হলে তাঁর ক্ষেত্রে এই ট্রাভেল পাস বেশ কাজের হবে। ভ্রমণকারীদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন রুটের খুঁটিনাটি তথ্য দিয়ে গাইড ম্যাপও তৈরি করা হচ্ছে।”
যাঁরা কলকাতায় ভ্রমণে আসেন বা যাঁদের এই শহরে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের পরিবহন ব্যবহার করতে হয়, তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এই পাস চালু করা হচ্ছে বলে ওই আধিকারিক জানান।
তিনি বলেন, “এই পাস নিয়ে আপনি সিটি অফ জয়-এ যেমন খুশি ভ্রমণ করতে পারেন। একটি পাস কিনে হাওড়া থেকে ফেরি ধরুন। নদী পেরিয়ে মিলেনিয়াম পার্কে আসুন। এখান থেকে বাস বা ট্রাম ধরে চলে যান এসপ্ল্যানেড। সেখান থেকে কলেজ স্ট্রিটে ঐতিহ্যশালী বইয়ের বাজারে চলে যান।”
ডব্লিউবিটিসি ১০০ টাকায় ‘ট্রাম পাস’ও (Tram Pass) চালু করছে। এই পাস নিয়ে মহানগরে ট্রামে চড়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন ভ্রমণকারীরা।
ডব্লিউবিটিসি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর রজনবীর সিং কপুর বলেন, “শহরের নিয়মিত যাত্রী ও দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্যই এই ‘সিটি ট্রাভেল পাস’ ও ‘ট্রাম পাস’ চালু করা হচ্ছে।”
“এর বড়ো সুবিধা হল একই দিনে ট্রাম, বাস বা ফেরিতে চড়ার জন্য বার বার টিকিট কাটার হ্যাপা পোহাতে হবে না”, বলেন ডব্লিউবিটিসি-র চেয়ারম্যান রচপাল সিং।
বাস, ট্রামের কন্ডাক্টরদের কাছ থেকে এবং ফেরির টিকিট কাউন্টার থেকে এই পাস কেনা যাবে। বিমানবন্দর, হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনেও এই পাস কেনা যাবে। ডব্লিউবিটিসি-র ওয়েবসাইট থেকেও এই পাস বুক করা যাবে।
আরও পড়ুন: মাস্টারস্ট্রোক! নন্দীগ্রামে তিনি নিজেই প্রার্থী, জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
দেশ
হালকা তুষারপাতের মধ্যেই দরজা বন্ধ হল কেদারনাথের, রওনা শীতকালীন আবাসের পথে
কোভিডের আবহে এ বার চারধাম যাত্রায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। মন্দির খুলেছে অনেক দেরিতে। অক্ষয় তৃতীয়ার অনেক পরে ১৪ মে’তে খুলেছিল কেদারনাথ।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: রবিবার সন্ধ্যা থেকেই হালকা তুষারপাত শুরু হয়েছে। তার মধ্যে চিরাচরিত রীতি মেনেই ভাইফোঁটার দিন ভোরে কপাট বন্ধ হল কেদারনাথের। শীতকালীন আবাস উখিমঠের পথে রওনা দিয়েছেন কেদারনাথ।
চারধামের জন্য খ্যাত উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়াল। সেই চারধাম, অর্থাৎ যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী, কেদারনাথ এবং বদরীনাথ শীতের ছ’মাস পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এই সময়ে নিচু জায়গায় নেমে আসেন অধিষ্ঠিত দেবদেবীরা।
এ দিন সকাল সাড়ে আটটায় শুরু হয়েছে ডুলিযাত্রা। সোমবার, কেদারনাথ বিশ্রাম নেবেন রামপুরে। মঙ্গলবার গুপ্তকাশীর মন্দিরে বিশ্রাম নেবেন তিনি। তবে তার আগে ফাটা অঞ্চলের একটি হাসপাতালে এক ঘণ্টার জন্য থাকবেন কেদারনাথ।
সেখানে স্থানীয় গ্রামবাসীরা তাঁকে দর্শন করবেন। এর পর বুধবার উখিমঠের ওঙ্কারেশ্বর মন্দির পৌঁছে যাবেন কেদারনাথ। এরই মধ্যে দিয়ে ছ’ মাসের জন্য পুরো বন্ধ হয়ে গেল কেদার। আবার খুলবে সামনের বছর অক্ষয় তৃতীয়ার সময়ে।
একই ভাবে এ দিনই বন্ধ হচ্ছে যমুনোত্রীও। তিনি নামবেন খরসলিতে। রবিবার বন্ধ হয়েছে গঙ্গোত্রী মন্দির। গঙ্গোত্রীর শীতকালীন আবাসস্থল হরশিলের কাছে মুখবা গ্রাম। চারধামের অপর ধাম বদরীনাথ অবশ্য আরও দু’দিন খোলা থাকছে। ১৯ নভেম্বর বন্ধ হবে বদরী মন্দির। বদরীনাথ নেমে আসবেন জোশীমঠে।
উল্লেখ্য, কোভিডের আবহে এ বার চারধাম যাত্রায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল। মন্দির খুলেছে অনেক দেরিতে। অক্ষয় তৃতীয়ার অনেক পরে ১৪ মে’তে খুলেছিল কেদারনাথ। প্রথম কয়েক মাস বাইরের রাজ্যের দর্শনার্থীদের উত্তরাখণ্ড প্রবেশের ওপরে নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেপ্টেম্বর থেকে তা অবশ্য উঠে যায়। তার পরেই কেদারের উদ্দেশে পাড়ি জমান বাঙালি পর্যটকরাও।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
কমছে সংক্রমণ, মহারাষ্ট্রে খুলে গেল সব ধর্মীয় স্থান
কালিম্পং
মেঘমুক্ত আকাশে হাসছে কাঞ্চনজঙ্ঘা, উত্তরবঙ্গে আনন্দে আত্মহারা পর্যটকরা

খবরঅনলাইন ডেস্ক: মেঘমুক্ত আকাশে হাসছে কাঞ্চনজঙ্ঘা (Kanchenjunga)। কোভিডের (Covid 19) আবহেও এই ছবি দেখে অত্যন্ত খুশি উত্তরবঙ্গ ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকরা। অনেক দিন পর এই ছবি দেখে খুশি স্থানীয়রাও।
বর্ষা বিদায় নিয়েছে সপ্তাহ খানেক আগেই। কিন্তু কিছুতেই মেঘ সরছিল না উত্তরবঙ্গের আকাশ থেকে। এমনকি বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের কারণে দুর্গাপুজোর সময়ে উত্তরবঙ্গ জুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিও হয়েছে। অবশেষে সেই মেঘ আর বৃষ্টির প্রভাব থেকে মুক্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গ।
মঙ্গলবার সকালেও দেখা গিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা। কিন্তু সে দিন পর্যটকদের মন ভরেনি। কারণ সকালের দিকে তাকে দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেঘের আড়ালে মুখ লুকিয়েছিল সে। তবে বুধবার সকাল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অন্য রূপ দেখা গিয়েছে। এ দিন সূর্যোদয়ের সময়ে ঝকঝকে আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘায় দুর্দান্ত রঙ বদল দেখা গিয়েছে।

কালিম্পংয়ের কাফের থেকে এ দিন দুর্দান্ত সূর্যোদয় দেখেন মৌমিতা মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই উত্তরবঙ্গে আসছেন তিনি। তবে বুধবার ভোরে কাঞ্চনজঙ্ঘায় যে মায়াবী রঙ বদলের খেলা হয়েছে, সেটা খুব একটা দেখা যায় না বলেই জানান তিনি।
অন্য দিকে দার্জিলিংয়ের কাছে লেপচাজগৎ থেকেও দুর্দান্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখেছেন চন্দননগরের বাসিন্দা অনির্বাণ নান। ডুয়ার্সের কিছু জায়গা থেকেও এ দিন দর্শন দিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। সব থেকে তাৎপর্যের বিষয় হলেও বেলা বারোটাতেও কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দুর্দান্ত ভাবে দেখা যাচ্ছে পাহাড় থেকে।
তবে দুর্দান্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা গেলেও এখনও সে ভাবে ঠান্ডা পড়েনি পাহাড়ে। দার্জিলিংয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এ দিন ১১ ডিগ্রি ছিল। সমতলেও শীতের লেশমাত্র নেই। শিলিগুড়ির পারদ রয়েছে কুড়ি ডিগ্রির ওপরেই। তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
বিসর্জনের আগেই আগুন, পুড়ে ছাই সল্টলেকের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
-
প্রযুক্তি14 hours ago
রান্নার গ্যাসের ভরতুকির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কি না, কী ভাবে দেখবেন
-
প্রযুক্তি2 days ago
এ ভাবেই তৈরি করুন সদ্যোজাত শিশুর আধার কার্ড, জানুন কী কী লাগবে
-
বিনোদন3 days ago
পর্ন ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ থেকে আয় কোটি টাকা, অ্যাপের মাধ্যমে চিত্রনাট্য-সহ পরিবেশিত হচ্ছে অশ্লীলতা
-
রাজ্য2 days ago
দেড় ঘণ্টা পর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ছাড়লেন সিবিআই আধিকারিকরা