কলকাতা: রাজ্যের রেশনগুলিতে ভরতুকি মূল্যে দেওয়া চালের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে চলেছে খাদ্য দফতর। মূলত নিম্নমানের চাল যাতে দফতরের কাছে না আসে এবং সেই ধরনের চাল যাতে রেশন ডিলারদের কাছে না পৌঁছাতে পারে, সে বিষয়ে নজরদারি চালানোর জন্যই ওই বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এমনিতে খাদ্য দফতরের কাছে আসা চালের গুণগত মান পরীক্ষা করে থাকেন সরকারি আধিকারিকরা। কিন্তু রাজ্যের রেশন থেকে প্রাপ্ত চালের গুণগত মান নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। বিশেষ করে খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে ২ টাকা কেজির চালের মান যে নিম্নমানের, এ ব্যাপারে অভিযোগ উঠছে অনেক দিন ধরেই। এমন অভিযোগের কথা মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছাতেই তিনি খাদ্য দফতরকে কড়া নির্দেশ দেন। জানা গিয়েছে, এ বার থেকে খাদ্য দফতরে আসা চালের গুণগত মান পরীক্ষা করার জন্য বেসরকারি বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। রাজ্যের তরফে এমন কোনো সংস্থাকে আগে নিয়োগ করা না হলেও কেন্দ্রীয় সরকারের ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ায় এই চল রয়েছে।
একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, রেশনে দেওয়া চালের গুণগত মান নিম্নমানের হলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক এবং রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে খাদ্য দফতর। কারণ, সরকারি গুদামে রাইস মিল থেকে চাল ঢোকার সময় তাঁদের ছাড়পত্র নিতে হয়। দফতরের শীর্ষকর্তাদের কাছে খবর রয়েছে, সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের একাংশ যথাযথ নিয়ম মেনে চলেন। এ বার সেই ধরনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে দফতর।
এ ব্যাপারে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে রেশনে দেওয়া চালের গুণগত মান যাচাইয়ের পরিকল্পনা নিশ্চিত। এ ব্যাপারে খুব শীঘ্রই টেন্ডার ডাকা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ধরনের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে ৬-৭ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। তবে রাজ্য কেন্দ্রীয় সরকারের হয়েই কষকদের কাছ থেকে ধান কেনার পর সেই চাল রেশনে পাঠায়। ফলে চালের মান পরীক্ষা করার জন্য ব্যয় হওয়া বাড়তি টাকাও কেন্দ্রের কাছে দাবি করা হবে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।