ডিএ মামলায় রাজ্য সরকারের আর্জি খারিজ স্যাটে

0
Currency

কলকাতা: ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের রিভিউ পিটিশনের আর্জি খারিজ করে দিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (SAT)। বুধবার এই মামলায় স্যাট স্পষ্টতই জানিয়ে দিল, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ (DA) দিতেই হবে।

কেন্দ্রীয় হারে ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে প্রায় গত তিন বছর ধরে ট্রাইব্যুনালে আইনি লড়াই চলছে রাজ্য সরকারের। গত বছরের ২৬ জুলাই স্যাট রাজ্য সরকারকে ছ’মাসের মধ্যে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পরেও তা হাতে না পাওয়ায় ফের মামলা করে সংগঠনগুলি। অন্য দিকে রাজ্য সরকারও পুনরায় স্যাটের কাছে রিভিউ পিটিশন দায়ের করে।

জানা গিয়েছে, রাজ্যের আবেদন ছিল কোভিডের কথা মাথায় রেখে এটি বিচার করা হোক। তবে সেই আবেদনও বাতিল করা হয়েছে।

এ দিন স্যাটের বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগ ও প্রশাসনিক সদস্য সুবেশকুমার দাস স্পষ্টতই জানিয়ে দেন, কোভিড পরিস্থিতি বিচার্য নয়, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতেই হবে।

স্যাট যে নির্দেশ দিয়েছিল

গত বছরের গত ১৮ জুন শুনানি শেষ হওয়ার পর পরের সপ্তাহেই ডিএ মামলার রায় ঘোষণা করে স্যাট। ট্রাইবুনাল জানায়, কেন্দ্রীয় হারেই ডিএ দিতে হবে রাজ্যকে। কী ভাবে ডিএ দেওয়া হবে তা ঠিক করবে রাজ্য। কেন্দ্রের হারে ডিএ না দিলে বৈষম্যমূলক হবে বলে মন্তব্য করে স্যাট।

স্যাট বলে, ডিএ কী ভাবে দেওয়া হবে, তা স্থির করবে রাজ্য। তবে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে রাজ্য সরকারি কর্মীদেরও।। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ না দিলে তা হবে বৈষম্যমূলক। গোটা দেশের মূল্যসূচক দেখে ডিএর হার স্থির করতে হবে।

বকেয়া বেড়ে ২১ শতাংশ!

ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালু হলেও বকেয়া ডিএ দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছিল রাজ্যের তরফে। অন্য দিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য আগামী দেড় বছর কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বাড়াবে না বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু গত জানুয়ারিতেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করা হয়। সে ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ ২১ শতাংশে ঠেকেছে বলে দাবি করেছে সংগঠনগুলি।

স্বাভাবিক ভাবেই স্যাটের নতুন নির্দেশের পর রাজ্য সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, এখন সেটাই দেখার!

বিজ্ঞাপন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.