রাজ্যের মোটর ট্রেনিং স্কুলগুলির আধুনিকীকরণ ও পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিচ্ছে পরিবহণ দপ্তর ৷ রাজ্যে এই মুহুর্তে প্রায় সাড়ে তিনশ মোটর ট্রেনিং স্কুল রয়েছে ৷ এই স্কুলগুলির জন্য একটি সিলেবাস তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার ৷ গাঁটছড়া বাঁধা হয়েছে খড়গপুর আইআইটি-র সঙ্গে ৷ ৩ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে ৷ এই কমিটি সিলেবাস তৈরি করবে ৷ চলতি বছরের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে সিলেবাস ৷ আগামী বছরের গোড়া থেকেই এই সিলেবাস অনুযায়ী ট্রেনিং দেবে স্কুলগুলি ৷ সোমবার এ কথা জানিয়েছেন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ৷
এদিন সায়েন্স সিটিতে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয় রাজ্য পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে । এই কর্মশালায় মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পুলিসের ডিজি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার , ডিসি ট্রাফিক ও পরিবহণ দফতরের প্রধান সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ রাজ্যের সব জেলা থেকে এসেছিলেন এওটিআর ও মোটর ড্রাইভিং স্কুল পরিচালকরা ।
এদিন মন্ত্রী জানান, ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সর্তক হচ্ছে পরিবহণ দফতর ৷ কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ ৷ সেই ঘোষণাকে কার্যকর করতেই মোটর ট্রেনিং স্কুলগুলি পাঠক্রম সংস্কার করা হচ্ছে । প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়ে আরও গুরুত্ব দেওয়া যায়. তা নির্দিষ্ট করতেই সাহ্যয্য নেওয়া হচ্ছে খড়গপুর আইআইটি-র। লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়ায় কতটা তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া যায়, তার নকশাও তৈরি করে দেবে ওই প্রতিষ্ঠান ।
মন্ত্রী বলেন, বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে লাইসেন্স দেওয়া আর চলবে না । গোটা প্রক্রিয়ায় আরও পেশাদারিত্ব আনার কথাও বলেন তিনি। রাজ্যের বেশিরভাগ স্কুলে উপযুক্ত পরিকাঠামো বা ক্লাসরুম নেই । ট্রাফিক আইন সম্বন্ধে যে জ্ঞানের প্রযোজন তা যোগানোর বন্দোবস্ত নেই অধিকাংশ স্কুলেই ৷ মন্ত্রী জানান ডিসেম্বরের মধ্যেই সিলেবাস তৈরি করে দফতরের তরফ থেকে বাংলা, ইংরাজি ও হিন্দি ভাষায় বই ছাপিয়ে দেওয়া হবে ।
বাণিজ্যিক গাড়িগুলির ক্ষেত্রে খালাসিদের ল্যামিনেশন করা ব্যাজ রাখার কথাও এদিন ঘোষণা করেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এতে খালাসিদের হাতে স্টিয়ারিং যাবে না বলে মনে করেন শুভেন্দুবাবু।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।