কলকাতা: মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহিদ প্রদ্যোত স্মৃতি ভবনে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা। এ দিনের বৈঠকে বিভিন্ন দফতরের কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখা, সমস্যার সমাধান বাতলে দেওয়ার পাশাপাশি পূর্ত দফতরের কাজের কড়া সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন প্রকাশ্যে আসে মুখ্যমন্ত্রী যখন প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ দিন প্রকাশ্যে আসে কমিউনিটি হল তৈরির খরচের বিষয়টি। পূর্ত দফতরের কাজকর্মে খরচের বহর নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। কমিউনিটি হল ও দু’টি বড় গেট তৈরির খরচ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পূর্ত দফতরের সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এত চাহিদা কেন? ওরা কেন এত বেশি টাকা চায়? পিডব্লুডি-কে দিয়ে সব কাজ করানোর দরকার নেই।”
এখানেই না থেমে মমতা আরও বলেন, “কোনো কিছু করতে চায় না। করতে গেলেও এমন বাজেট ধরবে যে, বলার না। প্রথমে পাঁচ টাকা ধরবে। তারপর এক বছর পর রিকাস্ট করে বলবে ১৫ টাকা। এই অভ্যাসটা বন্ধ করো”।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “চার মাস ধরে একশো দিনের কাজের লোকেরা টাকা পায়নি। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের টাকা দেয়নি। তার জেরে গরিব মানুষরা সমস্যায় পড়েছেন। এর জন্য আমি একটি চিঠি লিখেছি”। একশো দিনের কাজ করাতে রাজ্যের চার দফতরকে ব্যবস্থার কথা ভাবতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যসচিবকে ব্যবস্থার কথা ভাবতে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বলেন, “অন্য প্রকল্প থেকে টাকা নিয়ে ফান্ড তৈরি করতে হবে। ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। গরিব মানুষগুলো কী খাবে”?
কিছু প্রকল্পের কাজ আটকে পড়ে থাকার অনুযোগে কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে মমতা বলেন, “অনেকগুলো দেওয়া থাকলে, অত টাকা তো রাজ্য সরকারের নেই, দেখছেন তো। সব টাকা বন্ধ করে রেখে দিয়েছে। এত টাকা পাই। তার মধ্যে একশো দিনের কাজ বন্ধ। লক্ষ্মীর ভান্ডার চলবে, খাদ্যসাথী চলবে, স্বাস্থ্যসাথী চলবে…না ওটাও চলবে। দু’টো এক সাথে হয় না। আসতে আসতে হবে, পাঁচ বছর সময় আছে”।
আরও পড়তে পারেন:
সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি অভিষেকের! কয়লা পাচার মামলায় কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ ইডি-কে
আইপিও-তে ঝড় তুলেছিল এলআইসি, স্টক এক্সচেঞ্জে আত্মপ্রকাশ কী ভাবে
মূল সুদের হার আবারও বাড়াতে পারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, বলছে এসবিআই রিপোর্ট