পশ্চিম মেদিনীপুর
কেশপুরে বামেদের প্রশংসায় শুভেন্দু অধিকারী
বামপন্থীরা কী কী ভালো কাজ করেছেন?

খবর অনলাইন ডেস্ক: বৃহস্পতিবার কেশপুরের সভা থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে নিশানা করতে গিয়ে বামফ্রন্টের প্রশংসায় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূলের থেকে বামেরা অনেক ভালো। বামপন্থীরা অনেক ভালো কাজও করেছেন। ৭৮-এর পঞ্চায়েত তো বামফন্ট করেছে। বামফ্রন্ট সরকারের সময় প্রত্যেক বছর এসএসসি পরীক্ষা হয়েছে। সেই জায়গায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ পদের অবলুপ্তি করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের কর্মসংস্থান মানে চুক্তিভিত্তিক”।
তিনি আরও বলেন, “আমি বামফ্রন্টের অনেক কাজের সমালোচনা করি। কিন্তু বুদ্ধবাবু সৎ মানুষ। লক্ষ্মণ শেঠরা হার্মাদ”।
শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূল সরকার শিল্প তো তুলেই দিয়েছে। নতুন কোনো শিল্প হয়নি সাড়ে ন’বছরে। বলছে, ইস্টার্ন বাইপাসের পাশে আইটিসি সোনার বাংলা করেছি। সেই জায়গাগুলো সব বামফ্রন্টের আমলে দেওয়া। রাজারহাট-নিউটাউনের জায়গাও বামফ্রন্টের আমলে দেওয়া। সেই জায়গাগুলো বেচেছে। জায়গা বেচে খেয়েছে আর বিদেশে টাকা পাঠিয়েছে”।
তবে এই প্রথম নয়, গত ১৯ ডিসেম্বর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সভায় সিপিএম তথা বামফ্রন্টের প্রশংসা করেছেন শুভেন্দু। বিস্তারিত পড়ুন এখানে: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
রাজ্যের শাসক দলকে নিশানা করে তিনি বলেন, “তৃণমূলের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড শুধুই ঢপের চপ। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রাজ্যের বাইরে পরিষেবা মিলবে না। এটা শুধু তৃণমূলের ভোট কার্ড। বলছে বিনামূল্যে চাল দিচ্ছে। কে চাল দিচ্ছে? কেন্দ্রের প্রকল্প নিজের নামে চালাচ্ছে তৃণমূল”।
কেশপুর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতায় পিছিয়ে কেশপুর। কেশপুরে ভোট লুঠ হয়েছিল। ভোট লুঠ না হলে ভারতী ঘোষ জিততেন। পুলিশ যার হাতে, কেশপুরের দখল তারই হাতে। এখন তিলে তিলে কেশপুরে বিজেপি বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। কেন্দ্র এত সহায়তা দিয়েছে, কোনো পরিবর্তন হয়েছে কেশপুরের। এ বার হবে”।
আরও পড়তে পারেন: নির্বাচন কমিশনের কাছে সমস্ত অফিসারের উপর নজর রাখার আরজি বিজেপির
পশ্চিম মেদিনীপুর
ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিকে ভালোবাসার স্পর্শ পৌঁছে দিল ‘সিমপ্যাটিকো’
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠন ‘সিমপ্যাটিকো।

নিজস্ব প্রতিনিধি : ছোট ছোট ভালো কাজের মাধ্যমেও যে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়া যায়। রবিবার ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে তার উদাহরণ তৈরি করল ‘সিমপ্যাটিকো’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
এ দিন খগড়পুরের বাসিন্দা শেখ রওশন আলি নামে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তির হাতে ট্রাই-সাইকেল তুলে দিল সংস্থাটি।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠন ‘সিমপ্যাটিকো। সংস্থাটি বছরভর ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন সামজসেবামূলক কাজকর্ম চালিয়ে যায়।
লকডাউনে যখন গরীব-নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনধারণ সঙ্কটের মুখে পড়ছিল, তখন তাদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হয় সংস্থাটি। খড়গপুর প্রত্যন্ত আদিবাসী এলাকায় পাঁচশটি পরিবারে হাতে তুলে দিয়েছিল নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
পবিত্র ইদের দিনও মুসলিম ও আদিবাসী এলাকায় তিনশ বিধবাদের হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেয় সংস্থাটি। এলাকাতে যেহেতু আর্সেনিকের সমস্যা রয়েছে তাই, মেদিনীপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার শ্রীমন্ত সাহার তত্ত্বাবধানে আর্সেনিক অ্যালবামও তুলে দিলেছিল সংস্থাটি।
উম্পুনে ক্ষতিগ্রস্ত সাগরদ্বীপের বেশ কিছু পরিবারের হাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, ওষুধপত্র তুলে দিয়েছিল সংস্থাটি।
রবিবার ভালোবাসার দিনেও তাদের সামজসেবার কাজ অব্যাহত রাখল ‘সিমপ্যাটিকো’। সংস্থার পক্ষে সুমন কল্যাণ ধাড়া, তপন পাত্র ,সাধন চন্দ্র ধাড়া সহ সংগঠনের সদস্যসরা।
পশ্চিম মেদিনীপুর
ভিতর থেকে দেখে ঘেন্না ধরে গিয়েছে: শুভেন্দু অধিকারী
দাঁতনের সরাই বাজার বাসস্ট্যান্ডের সভায় যা বললেন শুভেন্দু…

খবর অনলাইন ডেস্ক: গত ১৯ ডিসেম্বর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এ দিন দাঁতন পেট্রোল পাম্প থেকে সরাই বাজার পর্যন্ত রোড শোয়ে অংশ নেন তিনি।
প্রথম গাড়িতে চড়ে কর্মসূচিতে যোগ দেন শুভেন্দু। সেখান থেকেই “কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে/ বিজেপি ঘরে ঘরে, তোলাবাজ ভাইপো হঠাও, উম্পুনের টাকা চোরদের হঠাও” ইত্যাদি স্লোগান তোলেন। রোড শো শেষে পথসভায় বক্তৃতা করেন তিনি।
শুভেন্দু যা বললেন

*আমি এক জন সচেতন নাগরিক। ছিন্নমূলের লোকেরা এখন বড়ো বড়ো কথা বলছেন। আমি তো ভিতরে ছিলাম তো, দেখতে দেখতে আমার ঘেন্না ধরে গিয়েছে। কী ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলোর নাম পরিবর্তন করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলোকে আটকে দিয়েছে। সবুজ সাথীতে খারাপ সাইকেল দিয়েছে।
*২০০৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল উঠে গিয়েছিল। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সাংসদ একে গিয়ে ঠেকে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ফলাফল বেরনোর পর সব তৃণমূল নেতা মোবাইলের সুইচ অফ করে দিয়েছিলেন।
*তৃণমূলের এক সাংসদ বলেছেন মেদিনীপুরে বিশ্বাসঘাতক জন্মায়। বিদ্যাসাগর, মাতঙ্গিনীর জন্ম মেদিনীপুরে। এক জন ভোটার হিসেবে আমার অধিকার রয়েছে অন্য দলে যোগ দেওয়ার। যাঁরা এ কথা বলছেন, তাঁদের জবাব দিতে হবে।
*বিধানসভার ভোট রাজ্য পুলিশে হবে না, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হবে।
*আমাকে টাইট দেওয়ার পর তৃণমুল যুব কংগ্রেস থাকতেও তৃণমূল যুবা তৈরি হল। তার প্রেসিডেন্ট কে? ভাইপো।
*কী ভাবে ডায়মন্ড হারবারে আপনি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) জিতেছিলেন, তা বাংলার মানুষ জানেন।
*দক্ষিণ কলকাতা চার-পাঁচটা লোকের হাতে রাজ্যের সমস্ত মন্ত্রিত্ব। আমরা কি বানের জলে ভেসে এসেছি? এই লড়াইটা গ্রামের, জেলার। উত্তর কলকাতার বাসিন্দাদের বলছি, গ্রামের সঙ্গে আসুন, আপনাদের জেলার মাত্র পাঁচটা মন্ত্রী পেয়েছে।
আমি আগামী ৪ জানুয়ারি আবার জেলায় আসব। গড়বেতায় আসব। কলকাতা এবং দিল্লিতে একই সরকার চাই। শিল্প হাসবে, কৃষক বাঁচবে।
*রাজ্য মন্ত্রিসভায় এক জনেরই পোস্ট, বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। আমি ল্যাম্পপোস্ট ছিলাম। যখন বললে তাড়ানো যাবে, তখনই প্রতিবাদ করেছি। আমি বিদ্য়াসাগরের দেশের লোক, মাথায় বুদ্ধিসুদ্ধি রয়েছে।
*ভাষা সংযত করুন, নইলে ১৫ মের পর আবার তো ফোন করতে হবে। বাঁচাতে বলবেন। তাই নিজেদের সংযত করুন। পশ্চিম মেদিনীপুরের মাটি, বিজেপির ঘাঁটি। এ বার, রাজ্যে দু’শো পার।
আরও পড়তে পারেন: নিজের ঘরেই পারেননি, বাংলায় কী করে পদ্ম ফোটাবেন, শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
পশ্চিম মেদিনীপুর
এই প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর
“অমিত শাহ আমার বড়োদাদা”, বিজেপিতে যোগ দিয়ে আর যা বললেন শুভেন্দু অধিকারী।

মেদিনীপুর: শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) সভায় বিজেপিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই অরাজনৈতিক সভা থেকে তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেও এই প্রথম তিনি তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বললেন, “এ বারের ভোটে দ্বিতীয় হবে মমতা”।
কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী
বক্তব্যের শুরুতেই নিজের শিবির পরিবর্তনের নেপথ্যে সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো, দিলীপ ঘোষ এবং বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের অবদানের কথা বিশদে উল্লেখ করেন শুভেন্দু। জানান, অমিত শাহ তাঁর বড়োদাদার মতো।
শুভেন্দু বলেন, “ক্ষমতায় আসার পর আটমাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূরণে মূখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। অমিত শাহের সঙ্গে আমার সম্পর্ক দীর্ঘদিন। উত্তরপ্রদেশে বিশাল জয়ের পর দিল্লিতে আমার সঙ্গে অমিত শাহের সাক্ষাৎ হয়য কিন্তু তিনি কখনোই আমাকে বিজেপিতে যোগ দিতে বলেননি। তিনি আমার বড়োদাদার মতো। আমি যখন কোভিডে আক্রান্ত হই, তখন আমার দলের লোকেরা আমার খোঁজ নেননি, তিনি আমার খোঁজ নিয়েছেন”।
এ দিনের সভায় অর্জুন সিংয়ের দৃঢ় মানসিকতার প্রশংসা করেন শুভেন্দু। বলেন, অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে একশো মামলা করেছে। কিন্তু তবুও তিনি মাথানত করেননি। ব্যারাকপুরের বিজেপি নেতা মণীশ শুক্ল খুনের নিন্দা করেন শুভেন্দু।
নিষ্ঠার পরিচয়
নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আমি ছাত্র রাজনীতি থেকে এখানে উঠে এসেছি। আমাকে বিশ্বাসঘাতক বলছে। কারা বলছে? ১৯৯৮ সালে যখন তৃণমূল প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন এনডিএ-র শরিক ছিল তৃণমূল। ১৯৯৯ সালে আমি তৃণমূলে যোগ দিয়েছি। মমতা বলেছিলেন, ‘দলগঠনের পর কাঁথিতে লড়ে দ্বিতীয় হয়েছিলাম’। অর্থাৎ, অধিকারীদের বাদ দিয়ে আপনি দ্বিতীয় হয়েছিলেন। হ্যাঁ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ বারও প্রথম হতে পারবেন না, দ্বিতীয় হবেন। বিজেপি প্রথম হবে। পশ্চিমবঙ্গকে নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দিতেই হবে। না হলে রাজ্যের সর্বনাশ হয়ে যাবে। আমি কাল থেকেই আপনাদের সঙ্গে নিয়ে কাজে নেমে পড়ব”।
তিনি যখন যে কাজটি করেন, তা সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গেই করেন জানিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আমার মা গায়ত্রীদেবী। আর দেশ আমার মা। আর কেউ আমার মা নয়। যখন তৃণমূলের কর্মী ছিলাম, নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছি। তখন বলেছি, বিজেপি হঠাও, ভারত বাঁচাও। এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছি, তাই স্লোগান তুলব- তোলাবাজ ভাইপো হঠাও”।
আরও পড়তে পারেন: ‘শনিবারের বারবেলা’য় পদ্মাসনে শুভেন্দু অধিকারী
-
প্রযুক্তি23 hours ago
রান্নার গ্যাসের ভরতুকির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কি না, কী ভাবে দেখবেন
-
প্রযুক্তি2 days ago
এ ভাবেই তৈরি করুন সদ্যোজাত শিশুর আধার কার্ড, জানুন কী কী লাগবে
-
ফুটবল3 days ago
দশ জনে খেলা হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে পিছিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তের গোলে মান বাঁচাল এটিকে মোহনবাগান
-
ফুটবল2 days ago
কোনো রকমে হার বাঁচানো এটিকে মোহনবাগানের খেলায় বেজায় ক্ষুব্ধ আন্তোনিও লোপেজ আবাস