রাজ্য
তৃণমূলত্যাগী হেভিওয়েটরা ভোট-রাজনীতির বাইরে আর কী দায়িত্ব পেয়েছেন
ভোট-রাজনীতি অথবা ক্ষমতা দখল ছাড়া আর কোনো ক্ষেত্রে তাঁদের দেখা যাচ্ছে কি?

খবর অনলাইন ডেস্ক: ভিন দল থেকে তৃণমূলে নাম লেখানোর হিড়িক শুরু ২০১১-য়। তবে এখন কিছুটা বিপরীত প্রবণতা। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন রাজ্য-রাজনীতির একাধিক হেভিওয়েট। কিন্তু এক দিকে কেন্দ্রের শাসক দল, অন্য দিকে রাজ্যের আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে আসা বিজেপিতে গিয়েও তাঁদের ভূমিকার কোনো বড়োসড়ো রদবদল হয়নি বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। দেখে নেওয়া যাক- গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর পর ভোট-রাজনীতির বাইরে আর কী দায়িত্ব পেয়েছেন তাঁরা।
মুকুল রায়

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ছিলেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর দায়িত্বও তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূলের রাজ্য সংগঠনেও মমতার বিশ্বস্ত সেনাপতি সে সময় ছিলেন ‘নম্বর-টু’।
২০১৭ সালের নভেম্বরে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল। তাঁর দলত্যাগ নিয়ে তৃণমূলের একটা অংশে যেমন বড়োসড়ো প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা ছিল, তেমনই বিজেপিও তাঁকে নিয়ে ব্যাপক প্রত্যাশা করেছিল। যা বাস্তবায়িত হয়েছে কি না, তা অস্পষ্ট। রাজ্য সংগঠনেও কোনো বড়ো দায়িত্ব জোটেনি মুকুলের। একাধিক বার শোনা গিয়েছিল, বিজেপি তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠাবে। সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্য করে তাঁকে মন্ত্রীও করা হবে। সে সব জল্পনাই রয়ে গিয়েছে।
গত ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করা হয় মুকুলকে। কিন্তু প্রত্যক্ষ ভাবে রাজ্য সংগঠনে তাঁর ভূমিকা শুধুমাত্র ভিতরে ভিতরেই। দিল্লির সৌজন্যে দায়িত্ব পেতেও তাঁকে বছর তিনেক অপেক্ষা করতে হয়েছে। ইদানীং শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) দলে টেনে নিয়ে ফের কিছুটা প্রচারের আলোয় এসেছেন মুকুল। যেটা ২০১৯ সালে একাধিক নেতাকে তৃণমূল থেকে ভাঙিয়ে এনে লোকসভায় জিতিয়ে নিয়ে আসার পরেও তাঁর বরাতে জুটেছিল।
সৌমিত্র খাঁ

২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগেই দলবদল করেছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। ওই বছরেই পদ্মপ্রতীকে জিতে ফের সংসদে যান।
সরাসরি বিজেপির নয়, দলের যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি করা হয় তাঁকে। কিন্তু বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) সঙ্গে তাঁর সংঘাত প্রকাশ্যে আসে কয়েক মাস আগেই।
গত বছরের আগস্ট মাসে যুব মোর্চার নতুন কমিটি গঠন করে পদাধিকারীদের নামের তালিকা প্রকাশ করেন সৌমিত্র। আচমকা সেই তালিকা নিয়ে দ্বন্দ্ব বাঁধে জেলায় জেলায়। শোনা যায়, দিলীপের সঙ্গে আলোচনা না করেই কমিটি গড়া হয়েছে।
অক্টোবরে সৌমিত্রকে না জানিয়েই সেই কমিটি ভেঙে দেন দিলীপ। পরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সংঘাতে আপাতত ইতি পড়ে। ইদানীং শুভেন্দুর পাশে প্রায়শই দেখা যাচ্ছে সৌমিত্রকে, তবে স্ত্রী সুজাতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর খবরের শিরোনামে চলে আসেন।
অর্জুন সিং

উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ার দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রাক্তন তৃণমূল নেতা অর্জুন সিং (Arjun Singh) ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন। ব্যারাকপুরে তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদিকে হারিয়ে সংসদে যান।
কার্যত তাঁর সৌজন্যেই তৃণমূল-পরিচালিত ছ’টি পুরসভা গেরুয়া রং নেয়। ভাটপাড়া, বনগাঁ, হালিশহর, হরিণঘাটা, কাঁচরাপাড়া এবং নোয়াপাড়ার মতো পুরসভাগুলির ক্ষমতা দখল নিয়ে জোর লড়াই চলে বিজেপি-তৃণমূলের। গেরুয়া শিবিরের হয়ে নেতৃত্ব দেন অর্জুন।
রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোট-রাজনীতি অথবা ক্ষমতা দখল ছাড়া আর কোনো ক্ষেত্রে যেমন তৃণমূলত্যাগী হেভিওয়েটদের দায়িত্বে আনা হয়নি, তেমনই নতুন দলের প্রতি পর্যাপ্ত আনুগত্য দেখিয়েও তাঁদের ভূমিকার খুব একটা বদল হয়নি।
আরও পড়তে পারেন: ২০২১-এ চার রাজ্যের বিধানসভা ভোট, বিজেপির সামনে ‘সর্বভারতীয়’ হয়ে ওঠার চ্যালেঞ্জ
রাজ্য
লড়াই মুখোমুখি! নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী
কোন কেন্দ্রে কে প্রার্থী বিজেপির?

খবর অনলাইন ডেস্ক: শনিবার প্রথম দু’দফার ৫৭টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। এ দিন এই ৫৭টির মধ্যে ৫৬টিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। এর মধ্যে একটি ছাড়া হয়েছে সহযোগী দল আজসুকে। তবে সব থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয়, এ দিন স্পষ্ট হয়ে গেল, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারীই।
এক নজরে বিজেপির প্রার্থী তালিকা
পটাশপুর: অম্বুজাক্ষ মোহান্তি
কাঁথি উত্তর: সুনীতা সিংহ
ভগবানপুর: রবীন্দ্রনাথ মাইতি
খেজুরি: শান্তনু প্রামাণিক
কাঁথি দক্ষিণ: অরূপকুমার দাস
রামনগর: স্বদেশরঞ্জন নায়েক
এগরা: অরূপ দাস
দাঁতন: শক্তিপদ নায়েক
গোপীবল্লভপুর: সঞ্জিৎ মাহাতো
বিনপুর: পালন সোরেন
মেদিনীপুর: সমিত দাস
নয়াগ্রাম: বকুল মুর্মু
ঝাড়গ্রাম: সুখময় শতপথী
কেশিয়াড়ি: সোনালি মুর্মু
খড়গপুর: তপন ভুঁইয়া
তমলুক: হরেকৃষ্ণ বেরা
ময়না: অশোক দিন্দা
নন্দকুমার: নীলাঞ্জন অধিকারী
হলদিয়া: তাপসী মণ্ডল
নন্দীগ্রাম: শুভেন্দু অধিকারী
সবং: অমূল্য মাইতি
ডেবরা: ভারতী ঘোষ
দাসপুর: প্রসন্ন বেরা
গড়বেতা: মদন রুইদাস
শালবনি: রাজীব কুণ্ডু
বলরামপুর: বনেশ্বর মাহাতো
জয়পুর: নরহরি মাহাতো
পুরুলিয়া: সুদীপ মুখোপাধ্যায়
মানবাজার: গৌরী সিং সর্দার
ছাতনা: সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়
তালডাংরা: শ্যামলকুমার সরকার
বিষ্ণপুর: তন্ময় ঘোষ
ইন্দাস: নির্মল ধাড়া
আপডেট আসছে…
রাজ্য
আজই প্রার্থী তালিকা বিজেপির! নন্দীগ্রামে শুভেন্দু, খড়গপুরে দিলীপ, জোর জল্পনা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সফরের আগের দিনেই প্রার্থী তালিকা। কোন কেন্দ্রে প্রার্থী কে? জোর জল্পনা!

খবর অনলাইন ডেস্ক: শনিবারই প্রথম দু’দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সফরের আগের দিনেই এই প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হতে চলেছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
শুক্রবার ২৯১টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। তবে বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে গড়মসি চলছেই। সম্প্রতি জানা যায়, তৃণমূলের সঙ্গে একই দিনে তালিকা প্রকাশ করবে বিজেপি। তার পরে শোনা যায়, ৭ মার্চ ব্রিগেড সমাবেশের পর তা প্রকাশ করা হতে পারে। তবে এ দিনই সেই জল্পনার অবসান ঘটতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে জোর জল্পনা চলছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি এবং দলের সাংসদ দিলীপ ঘোষের নাম নিয়ে। এমনটাই শোনা যাচ্ছে, নিজের ছেড়ে আসা খড়গপুরে তাঁকে ফের প্রার্থী করা হতে পারে। অন্যদিকে নন্দীগ্রামে প্রার্থী করা হতে পারে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। একই ভাবে পাণ্ডবেশ্বরের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছে প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারির নাম।
বিজেপি সূত্রে খবর, তৃণমূল ছেড়ে আসা রাজ্যের আর এক প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর পুরনো কেন্দ্র ডোমজুড়েই প্রার্থী করা হতে পারে। বিধাননগর থেকে সব্যসাচী দত্ত, বাগদায় দুলাল বর, শিবপুরে রুদ্রনীল ঘোষ, হাওড়া মধ্য-য় রথীন চক্রবর্তী, খড়দহে শীলভদ্র দত্ত, ব্যারাকপুরে চন্দ্রমণি শুল্ক এবং বালি থেকে বিজেপি প্রার্থী করতে পারে এই কেন্দ্রেরই প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে।
আপডেট দেখুন: লড়াই মুখোমুখি! নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী
রাজ্য
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য
বিজেপির আগেই বিধানসভা ভোটের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল।

খবর অনলাইন ডেস্ক: বিজেপির আগেই বিধানসভা ভোটের পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য যা নিয়ে সমালোচনায় সরব হলেন।
শনিবার অমিত বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলীয় প্রার্থীদের সম্ভাবনা সম্পর্কে অনিশ্চিত রয়েছেন। সেই অনিশ্চয়তা নিয়েই তিনি প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন।
টুইটারে অমিত লেখেন, বিজেপি যাঁদের প্রার্থী করবে, তাঁরা সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে কাজ করবেন। মানুষের চাহিদার বাস্তবায়ন করবেন।
অমিত মালব্য আরও লেখেন, “প্রার্থীদের সম্ভাবনা সম্পর্কে নিশ্চিত নয় দলগুলি। তারা প্রচুর সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তড়িঘড়ি করে তাই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে। যাঁদের প্রার্থী করা হয়েছে, তাঁদের অনেকের সঙ্গেই সাধারণ মানুষের সম্পর্ক নেই”।
বিজেপি কী ভাবে প্রার্থী বাছাই করছে, সে প্রশ্নের উত্তর খোলসা করে অমিত লেখেন, “বিজেপির প্রার্থীরা সাধারণ মানুষের আকাঙ্খা পুরণের লক্ষ্যে কাজ করবেন। তাঁরা সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে সার্থক করবেন”।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ২৯১টি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন তৃণমূলনেত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বামফ্রন্ট-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের তরফে ৬০টি আসনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তবে এই সমস্ত আসনগুলির প্রার্থীর নাম স্পষ্ট করা হয়নি।
কালীঘাটে দলীয় কার্যালয় থেকে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে মমতা বলেন, “এ বার আমরা আরও বেশি যুবক এবং মহিলা প্রার্থীদের উপর জোর দিয়েছি। প্রায় ২৩-২৪ জন বিধায়ককে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং তালিকায় প্রায় ৫০ জন মহিলা, ৪২ জন মুসলিম, ৭৯ জন তফসিলি এবং ১৭ জন তফসিলি উপজাতি প্রার্থীর নাম রয়েছে”।
আরও পড়তে পারেন: পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
রাজ্য1 day ago
পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
গাড়ি ও বাইক1 day ago
আরটিও অফিসে আর যেতে হবে না! চালু হল আধার ভিত্তিক যোগাযোগহীন পরিষেবা
-
ভ্রমণের খবর2 days ago
ব্যাপক ক্ষতির মুখে পর্যটন, রাঢ়বঙ্গে ভোট পেছোনোর আর্জি নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন
-
রাজ্য1 day ago
বিধান পরিষদ গঠন করে প্রবীণদের স্থান দেওয়া হবে, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বললেন মমতা