ওয়েবডেস্ক: কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের পদার্থবিদ্যার প্রথম বর্ষের ছাত্র ঋষিক কোলের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে। এক তরফ যখন দাবি করছে, ইংরাজিতে দুর্বলতার জন্য তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তখন তাঁর শিক্ষকরা তেমন অভিযোগ নস্যাৎ করে দিচ্ছেন। এমনকী তাঁর পরিবারের তরফেও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ভিন্ন কোনো কারণ থাকতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। তা হলে ঠিক কী কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন ঋষিক।
হুগলির সিঙ্গুরের বাসিন্দা ঋষিকের পরিবার অবশ্য জানতে চাইছেন, হস্টেলের কোনো ঘটনা কি এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর নেপথ্য কারণ? হস্টেলে কি তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছিল?
একই সঙ্গে উঠে আসছে আরও বেশ কয়েকটি প্রশ্ন, ওই সময় কেন ঋষিক হস্টেল থেকে বেরিয়েছিলেন? ঋষিক হস্টেল থেকে বেরনোর পর তাঁদের কিছু জানানো হয়নি কেন?
প্রসঙ্গত, সিঙ্গুর মহামায়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বরাবরের মেধাবী ছাত্র ঋষিক। শিক্ষকরা তাঁকে ভালবাসতেন, স্নেহ করতেন। চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফল করেছিল। মার্কশিটে অঙ্ক, পদার্থবিদ্যায় দারুণ নম্বরের পাশাপাশি ইংরাজিতেও পেয়েছিলেন ৮৪ নম্বর। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিসকুমার সিনহা জানিয়েছেন, “কয়েক দিন আগেই স্কুলে এসেছিল ঋষিক। তার সঙ্গে কথা বলে একবারও মনে হয়নি যে, পড়াশোনায় তাঁর কোনো সমস্যা হচ্ছে। ইংরেজিতে লেকচার শুনতে সমস্যা হয়ে থাকলেও, তার নজন্য ঋষিক আত্মহত্যার মত চরম সিদ্ধান্ত নেবে কেন”।
ও দিকে কলেজ সূত্রে খবর, রবিবার হস্টেলে ভরতি হন ঋষিক। মঙ্গলবার পর্যন্ত ক্লাস করেন। কিন্তু আটটা ইংরাজি ক্লাসের মধ্যে মাত্র চারটিতে উপস্থিত ছিলেন তিনি। ইংরাজিতে কথা বলায় অসুবিধাযর সম্মুখীন হচ্ছিলেন বলেও জানান সহপাঠীকে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিলেন ঋষিক। গত শুক্রবার উত্তরপাড়া ও হিন্দমোটরের মাঝে রেলের ট্র্যাক থেকে মৃতদেহ পাওয়া যায় তাঁর। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করেছেন ওই ছাত্র।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।