শ্রয়ণ সেন
গোটা রাজ্যে, বিশেষত দক্ষিণবঙ্গে, আরও পরিষ্কার করে বললে কলকাতায়, এই মুহূর্তে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও ভোরে রেকর্ড করা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুতেই কমছে না। সেটি রেকর্ড করা হচ্ছে স্বাভাবিকের থেকে অন্তত তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস ওপরে। ফলে গরম কমে গেলেও ভোরের দিকে শীতের পদধ্বনি অনুভব করা যাচ্ছে না।
আশা করা যায় যে সামনের সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে এই পরিস্থিতির বদল হবে। তবে তার আগে গোটা রাজ্যেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির একটা সম্ভাবনা রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরের কারণে এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গের বায়ুমণ্ডলে সে ভাবে জোরাল উত্তুরে বাতাস ঢুকছে না। সাগরের দক্ষিণপ্রান্তে একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে, যার প্রভাবে জলীয় বাষ্প ভরা দখিনা হাওয়া একটু একটু এখনও ঢুকছে দক্ষিণবঙ্গে। সে কারণে ভোরের পারদ কমছে না। এই ঘূর্ণাবর্তটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আগামী দু’দিনের মধ্যে শ্রীলঙ্কা হয়ে তামিলনাড়ুতে প্রবেশ করবে। এর পরোক্ষ প্রভাবে শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে রাজ্যে।
তবে এই মেঘ কেটে গেলে পরিস্থিতি বদলে যাবে। আশা করা যায় যে ১৩ নভেম্বর থেকে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ করা যাবে। কলকাতার পারদ কুড়ি ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নামতে পারে সামনের সপ্তাহেই। যদিও শীত পড়ার জন্য এখনও ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে।