রাজ্য
বাড়ি ফিরছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাজনীতিতে অভিষেক নিয়ে ফের জল্পনা
আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, শারীরিক অসুস্থতাকে কেন্দ্র করেও রাজনৈতিক চর্চায় উঠে এসেছেন সৌরভ!

খবরঅনলাইন ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিশিষ্ট চিকিৎসক দেবী শেঠি মসকরার ছলে বলেছেন, ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক শারীরিক ভাবে এতটাই ফিট যে, তিনি বিমান পর্যন্ত ওড়াতে পারেন। তাঁর মন্তব্যের রেশ ধরেই ফের জল্পনা, তা হলে তো রাজনীতিতে অভিষেক নিয়েও তাঁর তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকারই কথা!
আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি, শারীরিক অসুস্থতাকে কেন্দ্র করেও রাজনৈতিক চর্চায় উঠে এসেছেন সৌরভ! ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট এবং প্রাক্তন ক্রিকেটার সৌরভের অসুস্থতা তাঁর রাজনীতিতে প্রবেশ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। আসলে বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসার পর থেকেই তাঁর রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা চলছিল। কিন্তু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভরতির পর রাজনৈতিক নেতৃত্বের তৎপরতা তাতে অন্য মাত্রা যোগ করেছে। বুধবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন সৌরভ। স্বাভাবিক ভাবেই রাজনীতিতে তাঁর অভিষেক নিয়ে ফের জল্পনা তুঙ্গে।
কী বলছে বিজেপি
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ-পর্যবেক্ষক এবং সর্বভারতীয় সম্পাদক অরবিন্দ মেনন বুধবার বলেন, “আমাদের দরজা সব সময় খোলা। সৌরভ দলে এলে আমরা পালক-পাগড়ি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানাব”। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরে বিজেপির ‘চায়ে পে চর্চা’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে তিনি আরও বলেন, “সৌরভ আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়াবিদ। বাংলার বাঘ। যেখানে থাকবেন, গর্জন করবেন”।
রাজনৈতিক নেতৃত্বের তৎপরতা
বুকে ব্যথা নিয়ে গত ২ জানুয়ারি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন সৌরভ। তাঁর হার্টে তিনটি ব্লকেজও ধরা পড়ে। ঝড়ের গতিতে চলে তাঁর চিকিৎসা। অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে হলেও রাজনৈতিক নেতৃত্বের তৎপরতা চোখ এড়ানোর বিষয় নয়।
শুধুমাত্র তাঁর অসুস্থতার সূত্র ধরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ফোন অথবা উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রীদের হাসপাতালে যাওয়া।
রাজনীতিতে আনার জন্য চাপ?
সৌরভের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে বাড়তি চাপের একটা যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়। বিশেষ করে গত ২ জানুয়ারি সৌরভের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হওয়ার পরের দিন সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের বিস্ফোরক বক্তব্য বিশেষ ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
সৌরভের পারিবারিক শুভানুধ্যায়ী হিসেবে পরিচিত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য দাবি করেন, “কেউ কেউ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ব্যবহার করে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করতে চাইছে, যেটা কাম্য নয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিষয়টা দেখেই বুঝেছি, গোটা ঘটনাক্রমে ওঁর উপর অযাচিত চাপ বেড়েছিল”।
তাঁর কথায় সায় জানান তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়। বিশেষ করে আর কয়েক মাসের মধ্যেই রাজ্যের বিধানসভা ভোট। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল যেমন ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনে প্রত্যাশী, তেমন বিজেপি-ও রাজ্যের ক্ষমতা দখলে মরিয়া।
শুরু সেই ২০১৯-এই
২০১৯ সালের অক্টোবরে বিসিসিআই সভাপতি হওয়ার পর থেকেই সৌরভের রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অমিত শাহ এবং কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এই আকর্ষণীয় পদে সৌরভের নিয়োগে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে জানা যায়।
বিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট যেখানে সৌরভ, সেখানে সচিব খোদ অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ এবং কোষাধ্যক্ষ অনুরাগের ভাই অরুণ ধুমল। তা হলে সমীকরণটা কী দাঁড়াল, সেই অঙ্কেই মশগুল হয় সম্ভাবনাময় রাজনীতি। তার পর থেকেই সৌরভ বিজেপিতে যোগ দেবেন কি না, তা নিয়ে ধারাবাহিক এই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছিল।
সৌরভের সোজা ব্যাট
সৌরভ অবশ্য বরাবর সোজা ব্যাটে খেলেছেন। বলেছেন, এমন কোনো সম্ভাবনাই নেই। যখন অনুরাগ ঠাকুর প্রেসিডেন্ট হন, তখনও তিনি (অমিত শাহ) সমর্থন করেছিলেন, যখন শশাঙ্ক মনোহর প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, তখন জগমোহন ডালমিয়ার সমর্থন ছিল। একই ভাবে মাধবরাও সিন্ধিয়া এবং শরদ পওয়ারের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল। তখন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার প্রশ্ন কোথায় ছিল”?
কিন্তু বিজেপির দুর্গাপুজোর অনুষ্ঠানে সৌরভের স্ত্রী ডোনার নাচের অনুষ্ঠান অথবা গত ২৭ ডিসেম্বর রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে সৌরভের রাজভবন অভিযান জল্পনার রসদ জুগিয়েছে। আসলে বিজেপিতে যাওয়ার আগে এর আগে কেউ কেউ রাজভবন দর্শন করেছেন বলে পর্যবেক্ষণ রাজনৈতিক মহলের!
আরও পড়তে পারেন: রাজনীতি-যোগের জল্পনার মধ্যেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি ভারতের দুই সেলিব্রিটি, কীসের চাপ?
বীরভূম
জেল হেফাজতে টোটোচালকের রহস্য মৃত্যুর তদন্ত এবং পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি জোরালো হচ্ছে বীরভূমে
বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী এবং দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে টোটো চালিয়ে কোনো রকমের সংসার চলত মৃত যুবকের!

খবর অনলাইন ডেস্ক: রামপুরহাটে জেল হেফাজতে মৃত প্রভাত মণ্ডলের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং মৃত্যুরহস্যের তদন্তের দাবিতে জেলা শাসকের দফতরে স্মারকলিপি জমা দিল বিধায়ক মিল্টন রশিদের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল।
ঘটনায় প্রকাশ, বীরভূমের তারাপীঠ থানার কড়কড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রভাত। গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে মল্লারপুর পুলিশ তাঁকে মাদক সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার করেছিল। এর পর রামপুরহাট মহকুমা আদালত তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
মৃত প্রভাসের পরিবারের দাবি, ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ফোন করে জানানো হয়, জেলে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কিন্তু কী ভাবে মৃত্যু হল, সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।
জানা গিয়েছে, বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী এবং দুই শিশুকন্যাকে নিয়ে টোটো চালিয়ে কোনো রকমের সংসার চলত প্রভাতের।
বিধায়ক মিল্টন রশিদ বলেন, “তাঁর বাড়িতে এখন খাওয়ার মতো এক কেজি চালও নেই। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং বীরভূম জেলা প্রশাসনের কাজকর্ম অবাক করার মতোই। এত দিন হয়ে গেল, অথচ কেন্দ্র, রাজ্য সরকারের কোনো প্রতিনিধি মৃতের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানালেন না। রামপুরহাট জেলা প্রশাসন মারফত আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও আবেদন জানিয়েছিলাম, এই রহস্যজনক মৃত্যুর অবিলম্বে তদন্ত করা হোক। পাশাপাশি মৃতের পরিবারকে যেন আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। সরকারের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর না পেয়ে আজ বীরভূম জেলাশাসকের কাছে আমরা স্মারকলিপি জমা দিলাম”।
তিনি আরও বলেন, “অন্য মৃত্যুর ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন অথবা রাজনৈতিক নেতারা ক্ষতিপূরণ অথবা টাকাপয়সা নিয়ে পৌঁছে যান। কিন্তু তারাপীঠের এই যুবকের ক্ষেত্রে দেখা গেল না”।
আরও পড়তে পারেন: ‘ভূমিপুত্র’ প্রার্থী চাই, প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
উঃ ২৪ পরগনা
সিবিআই, ইডি নিয়ে আরও আক্রমণাত্মক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
“আমি বলছি, সিবিআই, ইডি, আয়কর… আরও যারা যারা আছে, আমার পিছনে লাগান”, ঠাকুরনগরের সভায় বললেন অভিষেক।

খবর অনলাইন ডেস্ক: স্ত্রী রুজিরাকে গত রবিবার সিবিআই নোটিশ দেওয়ার পরই হুঙ্কার ছেড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের সভায় সিবিআই, ইডি, আয়কর নিয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেন তিনি।
নিশানা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে
কয়েক দিন আগে ঠাকুরনগরে এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, “করোনা টিকাকরণের কাজ শেষ হলেও মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে”।
সেই প্রসঙ্গ টেনেই অভিষেক এ দিন বলেন, “১৩০ কোটি মানুষের ভ্যাকসিন পেতে ৯ থেকে ১০ বছর সময় লাগবে। তার পর না কি নাগরিকত্ব! আরে তোমরা কি নাগরিকত্ব দেবে? আপনাদের নাগরিকত্বের প্রমাণ আছে তো? আপনাদের ভোটার কার্ড, আধার কার্ড নেই? যে ভোটার কার্ড নিয়ে আপনারা ভোট দিয়েছেন, যাঁদের ভোট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন হয়েছে, তাঁরাই নাকি অবৈধ! আপনারা যদি অবৈধ হন, তা হলে নরেন্দ্র মোদী অবৈধ, অমিত শাহ অবৈধ, রাজনাথ সিংহ অবৈধ”!
‘জয় বাংলা’ বনাম ‘সোনার বাংলা’
ইদানীং বিজেপির সোনার বাংলা এবং তৃণমূলের জয় বাংলা স্লোগানকে কেন্দ্র করে তরজা তুঙ্গে।
অভিষেক বলেন, “আমরা ‘জয় বাংলা’ বললে বাংলাদেশি, আর তোমরা বলছ ‘সোনার বাংলা’! আপনারা বলুন তো ‘সোনার বাংলা’ কোথাকার? ‘সোনার বাংলা’ও বাংলাদেশি। গলা কেটে ফেললেও ‘জয় বাংলা’ বলব। কেন তোমরা যে ‘সোনার বাংলা’ করবে বলছ, সেটা কোথাকার স্লোগান? সোনার বাংলা করতে চাইছ? তা হলে সোনার উত্তরপ্রদেশ হয়নি কেন? সোনার মধ্যপ্রদেশ হয়নি কেন? সোনার গুজরাত হয়নি কেন”?
সিবিআই, ইডি ও আয়কর
ভোটের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। কয়লাপাচার কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। রবিবার সেই নোটিশ প্রসঙ্গে টুইটারে হুঙ্কার ছেড়ে যুব তৃণমূল সভাপতি বলেছিলেন, “আজ (রবিবার) বেলা ২টোর সময় আমার স্ত্রীর নামে একটি নোটিশ দিয়েছে সিবিআই। দেশের আইনের উপর আমার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে। তারা যদি মনে করে, আমাদের ভয় দেখাবে, তা হলে তারা ভুল করছে। আমরা কখনও মাথা নত করি না”।
এ দিন তিনি সুর চড়িয়ে বলেন, “আমার পিছনে সিবিআই লেলিয়ে দিয়েছে। আমি বলছি, সিবিআই, ইডি, আয়কর লাগিয়ে আমাকে ভয় দেখিয়ে দমাতে পারবেন না, যাকে খুশি পাঠান। কিন্তু মাথা নত করব না। জেনে রাখুন আমার গলা কেটে দিলেও একটা কথাই বেরোবে, ‘জয় বাংলা”।
আরও পড়তে পারেন: ‘ভূমিপুত্র’ প্রার্থী চাই, প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
দঃ ২৪ পরগনা
‘ভূমিপুত্র’ প্রার্থী চাই, প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই বারুইপুর, সোনারপুর, ক্যানিংয়েরর পর এ বার কুলতলিতে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল।

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি: বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এ বার প্রকাশ্যে। কুলতলিতে ‘ভূমিপুত্র’কে প্রার্থী দাবি করে পড়ল ব্যানার। আর এই নিয়েই রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।
বিধানসভা ভোট দোরগোড়ায়। তার আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর, সোনারপুর, ক্যানিংয়েরর পর এ বার কুলতলিতে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। কুলতলির জামতলা, মৈপীঠ, বৈকুণ্ঠপুর, জালাবেড়িয়া-সহ গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার ঝুলিয়ে দাবি করা হয়েছে কুলতলি বিধানসভায় ভূমিপুত্রকে যেন প্রার্থী করা হয়।
ব্যানারে ‘কুলতলি বিজেপি পরিবারের সদস্য’দের থেকে এই কথা জানানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে । এর জেরে নিজেদের ঘর গোছানোর আগে কার্যত অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পূর্বের বিজেপি নেতৃত্ব।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা বলেন, কুলতলিতে পুরানো বিজেপি কর্মী উত্তম হালদার নয়তো জয়নগর লোকসভার প্রাক্তন বিজেপি প্রার্থী ডা. অশোক কাণ্ডারিকে যেন প্রার্থী করা হয়। দলবদলুদের প্রার্থী করা হলে অনেকেই বঞ্চিত হবেন।
কী বলছে রাজনৈতিক দলগুলি

যদিও নিজেদের গোষ্ঠীদন্ধের কথা অস্বীকার করেই জেলা বিজেপি সভাপতি সুনীপ দাস বলেন, “দলে কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। ভুল প্রচার করে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে”।
এই প্রসঙ্গে কুলতলি যুব তৃণমূলের সভাপতি গণেশ মণ্ডল বলেন, নিজেদের মধ্যেই এত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে প্রার্থীপদ নিয়েই নির্বাচনের আগে কোন্দল শুরু হয়ে গেছে বিজেপিতে।
মঙ্গলবার কুলতলির জালাবেড়িয়ার শুভেন্দু অধিকারীর জনসভাতে বাইরের জায়গা থেকে লোক এনে জমায়েতের চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ কুলতলি যুব তৃণমূল সভাপতির।
আরও পড়তে পারেন: বিজেপিতে যোগ দিলেন টলিউড অভিনেত্রী পায়েল সরকার
-
প্রযুক্তি22 hours ago
রান্নার গ্যাসের ভরতুকির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কি না, কী ভাবে দেখবেন
-
প্রযুক্তি2 days ago
এ ভাবেই তৈরি করুন সদ্যোজাত শিশুর আধার কার্ড, জানুন কী কী লাগবে
-
ফুটবল3 days ago
দশ জনে খেলা হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে পিছিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তের গোলে মান বাঁচাল এটিকে মোহনবাগান
-
ফুটবল2 days ago
কোনো রকমে হার বাঁচানো এটিকে মোহনবাগানের খেলায় বেজায় ক্ষুব্ধ আন্তোনিও লোপেজ আবাস