নেপাল থেকে এসে শিলিগুড়ির হাসপাতালে মারা গেলেন কেএলও জঙ্গি ভারতী, স্বামী জীবন সিংহ কোথায়, ধন্দে পুলিশ

0

জীবন সিংহ। আসল নাম তমির দাস।[/caption] ২০১৫ সালের জুন মাসে মায়ানমারে এক সেনা অভিযানে জীবন সিংহের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর ছড়ায়। কিন্তু তার পর ২০১৬ সালে ফের নতুন করে আন্দোলনের ডাক দিয়ে জীবন সিংহের সই করা চিঠি এবং জীবন সিংহের উপস্থিতিতে শহিদ দিবস পালনের একটি ছবি ঘিরে ফের প্রকাশ্যে আসে এই কেএলও নেতার বেঁচে থাকার খবর। যদিও অনেক করেও তাঁর টিকির নাগাল পায়নি এ রাজ্যের পুলিশ বা গোয়েন্দারা। তাঁদের ধারণা ছিল জীবন সিংহ স্ত্রীকে নিয়ে মায়ানমারেই আছেন। কিন্তু রবিবার নেপালের অ্যাম্বুলেন্সে করে ভারতী সিংহকে নিয়ে আসার ঘটনায় সেই ধারণা ভ্রান্ত কি না সেই প্রশ্ন উঠছে। এখন পুলিশের একটাই প্রশ্ন জীবন সিংহ কি নেপালে?  নাকি নেপাল-সীমান্ত সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের কোনো এলাকায় গা ঢাকা দিয়ে আছেন? সংগঠন তৈরির পর পরই একবার মাত্র আলিপুরদুয়ার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন জীবন সিংহ। তার পর জামিন পেয়ে উধাও হয়ে যান। তার পর থেকে আর তাঁর দেখা মেলেনি। সেই সময়কার ছবিই আছে পুলিশের কাছে। কিন্তু এত বছর পরে তাঁকে সেই ছবির সাহায্য নিয়ে চেনা সম্ভব কি না তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন পুলিশকর্তারা। তাই তাঁর দুই নাবালিকা মেয়ে তিথি ও প্রীতিকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন তাঁরা। কিন্তু সূত্র কিছু মেলেনি। সোমবার বৌদির দেহ নিতে আসেন জীবন সিংহের বোন সুমিত্রা সিংহ। তিনিও এক সময় জঙ্গিনেত্রী ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ২০০৯-এর পর থেকে আর তাঁর দাদার সঙ্গে দেখা হয়নি, সঠিক কোনো খবরও জানেন না। রবিবার রাতে ভারতী দাসের ভর্তি হওয়ার সময় থেকে সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে নেপালের অ্যাম্বুলেন্সের চালককেও। ময়নাতদন্তের পর ভারতী দাসের দেহ সুমিত্রার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সময়ও নজরদারি চালানো  হবে। যদি স্ত্রীকে শেষ দেখা দেখতে এসে ‘জালে’ পড়েন এই মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি নেতা।]]>

বিজ্ঞাপন