চেন্নাই: কোনো বহুজাতিক সংস্থার তৈরি নরম পানীয় ১ মার্চ থেকে বিক্রি করবেন না তামিল ব্যবসায়ীরা। দোকানে থাকবে কেবল ভারতীয় ব্র্যান্ড। বুধবার এই খবর প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য হিন্দু’ পত্রিকায়। জল্লিকাট্টু নিয়ে তামিলনাডু ব্যাপী বিশাল প্রতিবাদের ধারাবাহিকতাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তামিল ব্যবসায়ীরা।
জল্লিকাট্টুর বিরুদ্ধে যেসব ব্যক্তি বা সংগঠন অংশ নিয়েছেন, তাঁদের অনেকের কাছেই এই প্রতিবাদ আসলে স্থানীয় সংস্কৃতিকে রক্ষার লড়াই। পশুর অধিকার নিয়ে সরব আন্তর্জাতিক সংগঠন পেটা-র বিরুদ্ধে তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা। পেটা-র সদর দফতর মার্কিন মুলুকে। কোক এবং পেপসি-ও দুই মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা। সেই জায়গা থেকেই পেটার পাশাপাশি দুই নরম পানীয় প্রস্তুতকারক সংস্থার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার পক্ষপাতি ওই প্রতিবাদীরা।
“ওই নরম পানীয়গুলি যত না শরীরের উপকার করে, তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করে। মাত্র কিছুদিন আগে, ওদের মধ্যে একটি সংস্থা স্বীকার করেছে, তাদের পানীয়টি শিশুদের উপযোগী নয় এবং তাতে কিছু ক্ষতিকারক রাসায়নিক আছে”, বললেন তামিলনাডুর একটি ব্যবসায়ীদের সংগঠনের সভাপতি এ এম বিক্রমারাজা।
তামিলনাডু ভানিগার সংগনগালিন পেরামাইপ্পু নামে ওই সংগঠনের সভাপতির আরও দাবি, “পেপসি এবং কোকা কোলা থিরুনেলভেলির থামিরাবরণী নদী থেকে জল নেয়, ফলে সেখানকার চাষিরা সেচের জল পান না”।
প্রায় ১৬ লক্ষ সদস্যের এই সংগঠনটি গোটা ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে বিদেশি ব্র্যান্ডের ক্ষতিকারক দিকগুলি নিয়ে ব্যবসায়ীদের সচেতন করে তোলার প্রয়াস চালাবে।হোটেল এবং রেস্তোরাঁগুলির কাছেও বিদেশি পণ্য বিক্রি না করার আবেদন জানাবে তারা।
বিক্রমারাজা বলেন, তাঁরা ১৯৯৮ সাল থেকে কিনলে এবং পেপসির বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছেন। কিন্তু সম্প্রতি জল্লিকাট্টু নিয়ে লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে রাজ্যের তরুণ প্রজন্ম নতুন করে নরম পানীয়র বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার দাবি তুলেছে। তাতে ‘উৎসাহিত হয়েই তাঁরা এই পদক্ষেপ করছেন’।