খবর অনলাইন: শেষ পর্যন্ত কি ভারতে হোয়াটস্অ্যাপ-এর ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়ে যাবে, না কি এর ব্যবহারে লাগাম টানা হবে। আগামী বুধবার এর উত্তর জানা যাবে। ওই দিন সুপ্রিম কোর্টে হোয়াটস্অ্যাপ-এর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। অসামাজিক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাস রুখতে দেশে হোয়াটস্অ্যাপ নিষিদ্ধ করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থের মামলা দায়ের করা হয়েছে। শীর্ষ আদালত এই মামলারই রায় দেবে বুধবার।
গ্রাহকদের মধ্যে ভাগ করা তথ্য সম্পূর্ণ গোপন রাখতে হোয়াটস্অ্যাপ চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন’-এর ব্যবস্থা করেছে। এই ব্যবস্থা এতটাই উন্নত যে যাঁর বা যাঁদের সঙ্গে তথ্য ভাগাভাগি হচ্ছে, তিনি বা তাঁরা ছাড়া, এমনকি হোয়াটস্অ্যাপ কর্তৃপক্ষও, ওই গোপন তথ্য দেখতে পারবেন না। কথোপকথন থেকে ভিডিও, ছবি বা হোয়াটস্অ্যাপ কল, সব কিছুই গোপন রাখা যাবে এই ব্যবস্থার মাধ্যমে। হোয়াটস্অ্যাপ এই সুবিধা দেওয়ার পরেই হরিয়ানার আরটিআই আক্টিভিস্ট সুধীর যাদব এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্রাই, জনসংযোগ দফতর এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকে চিঠি দেন। চিঠির উত্তর না পেয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন।
সুধীর যাদব বলেন, কোনও ব্যক্তিবিশেষের বার্তা জেনে নিয়ে তা সরকারের হাতে তুলে দিতে যদি হোয়াটস্অ্যাপ কর্তৃপক্ষকে বলা হয়, তা হলেও তারা তা পারবে না, কারণ ডিক্রিপশন-এর কোনও চাবি তাদের হাতে নেই। সামান্য তথ্য বের করতেই শত শত বছর লেগে যাবে। এই ব্যবস্থার ফলে সন্ত্রাসবাদীরা খুব সহজেই নিজেদের মধ্যে গোপন বার্তা বিনিময় করতে পারবে এবং এ ভাবেই বাড়তে পারে দেশে অপরাধের সংখ্যা। তাই একে বন্ধ করার একমাত্র রাস্তা হল, ভারতে হোয়াটস্অ্যাপ নিষিদ্ধ করা। এই আবেদনই তিনি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।