ওয়েবডেস্ক : ইতিহাস খুঁজলে দেখা যাবে প্রায় প্রত্যেকটি দিনই কোনো না কোনো কারণে বিখ্যাত হয়ে আছে। তেমনই বিখ্যাত ১১ নভেম্বর তারিখটিও। এই দিনটেতেই শেষ হয়েছিল প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ। ১৯১৮ সালের এগারো মাসের এগারো তারিখ, অর্থাৎ ১১ নভেম্বর। সময় ভোর পাঁচটা। অনেক প্রাণ, অনেক সম্পদ নাশের পর অবশেষে সমাপ্ত হল সাংঘাতিক এই বিশ্বযুদ্ধ।
এই সর্বগ্রাসী যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৯০ লক্ষ সৈনিক। ২ কোটি ১০ লক্ষ আহত হয়েছিলেন। জার্মানি, অস্ট্রিয়া, রাশিয়া, হাঙ্গেরি, ফ্রান্স, গ্রেট ব্রিটেন থেকে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারিয়ে ছিলেন। তা ছাড়াও যুদ্ধের গোলাগুলি আর দূষণ ইত্যাদির ফলে সৃষ্টি হওয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রচুর সাধারণ মানুষ।
এই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ১৯১৪ সালের ২৮ জুলাই। বসনিয়ার রাজধানীতে আস্ট্রিয়ার যুবরাজ ফার্ডিনান্ড নিহত হন। যুবরাজকে হত্যা করা হয় গুলি করে। অস্ট্রিয়া এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সার্বিয়াকে দায়ী করে। সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। আর সেই যুদ্ধে জড়িয়ে পরে দু’দেশের বন্ধু দেশগুলিও। তবে হ্যাঁ। শুধু এটিই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের এক ও অদ্বিতীয় কারণ নয়। এই যুদ্ধে মদত দিয়েছিল শিল্পবিপ্লবের পর বেড়ে ওঠা ঔপনিবেশিক শক্তি বিস্তারের ইচ্ছা আর সেই সংক্রান্ত পূর্ববর্তী অশান্তিও।
আরও পড়ুন: আমার মনটা বড়ো, ক্যাটরিনা-অনুষ্কা দু’জনেরই জায়গা হবে; কলকাতায় স্বীকারোক্তি শাহরুখের!
যুদ্ধরত দু’ পক্ষের মধ্যে ছিল অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, জার্মানি, বুলগেরিয়া। এই চারটি দেশ মিলিয়ে বলা হতো কেন্দ্রীয় শক্তি। আর অপরপক্ষে ছিল সার্বিয়া, রাশিয়া, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জাপান, ইতালি, রুমানিয়া, আমেরিকা। এদের একত্রে বলা হত মিত্রশক্তি।
‘সব যুদ্ধের সমাপ্তি যুদ্ধ’ বলা হতো প্রথম বিশ্বযুদ্ধকে। কিন্তু না। যে শান্তিচুক্তি সাক্ষরিত হল তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তাতে জার্মানির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল ‘অন্যায়’ শর্ত। উদ্দেশ্য ছিল শাস্তিমূলক শর্ত আরোপ করা। আর সেটাই ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বীজ রোপণ।