প্রাগের চার্লস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী পেত্র জান জুরাকার প্যাশন ছবি তোলা। আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে, বলতে হয় হাই অল্টিটিউড ফোটোগ্রাফি। আমাদের স্বপ্নও যত উঁচুতে পৌঁছতে ভয় পায়, ছবি তোলার নেশায় সেখানে পৌঁছে যান পেত্র। পৃথিবীর প্রতিটি মহাদেশ প্রায় চষে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। তবু কোথায় একটা ফাঁক থেকে যাচ্ছিল বারবার। কিছু যেন বাকি থেকে যাচ্ছিল।
এসবের মাঝে সুযোগ এল একেবারে অপ্রত্যাশিত ভাবে। চেক প্রজাতন্ত্রের পর্বতারোহী ক্লারা কোলোচোভা জানান তাদের পরবর্তী অভিযানের কথা। পৃথিবীর দ্বিতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ গডউইন অস্টিন। বেশি পরিচিত অবশ্য কে-টু নামে। এমন অভিযানে ক্লারাদের সঙ্গী হওয়ার সুযোগ পেয়ে তো আপ্লুত জুরাকা। অতএব গন্তব্য পাকিস্তান।
দুশ্চিন্তা যে একেবারে ছিল না, এমনটা নয়। কে-টু তো আর যেমন তেমন শৃঙ্গ নয়। একেবারে কারাকোরামের রাজা। একে দুর্গম, তার ওপর উচ্চতাও প্রায় ৮৬০০ মিটারের কাছাকাছি। অত উঁচুতে ঠিকঠাক কাজ করবে ছবি তোলার যন্ত্রপাতি? একই সঙ্গে কিছুটা চিন্তা আর অদম্য জেদ নিয়ে পাড়ি দিলেন পাকিস্তান।
সে দেশের পাহাড়ি নৈসর্গিক সৌন্দর্যে অভিভূত হয়েছেন চেক বিজ্ঞানী। বারবার বলেছেন, পাকিস্তানি মানুষের আতিথেয়তায়, তাঁদের ব্যক্তিত্বে তিনি মুগ্ধ।
ভবিষ্যতে পরিবারের সঙ্গে পেত্র ফিরে যেতে চান স্বপ্ন ছোঁয়ার মুহূর্তগুলোতে।
সময়টা ছিল জুন মাসের শেষ সপ্তাহ। কে-টুর তাপমাত্রা মাইনাস ১৮.৫ ডিগ্রি। এই অবস্থাতেই ওড়ালেন তাঁর ড্রোন ক্যামেরা। সফলও হলেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এত উঁচুতে ছবি তোলার রেকর্ড তিনি করবেন কি না,তার উত্তর দেবে সময় এবং গিনেস বুক। সেসব চিন্তা দূরে সরিয়ে পেত্র এখনও মজে আছেন ভয়ঙ্কর সুন্দর কারাকোরামেই।