ওয়েবডেস্ক: সদ্য স্বীকার করেছেন নায়ক, তাঁকে নিয়ে প্রায়ই এখানে-ওখানে যেতেন, দামি উপহার দিতেন বলে বাবা ঋষি কাপুরের সঙ্গে জোর বচসা হয়েছিল সঞ্জয় দত্তের।
“মনে আছে, মাঝে মাঝে গভীর রাতে শুটিং শেষ করে নিজের ফেরারি গাড়িটা নিয়ে আমাদের বাড়িতে চলে আসতেন সঞ্জু স্যার। এসে আমায় গাড়িতে তুলে নিয়ে বেরিয়ে যেতেন, অন্য কাউকে নয়, শুধুই আমাকে নিয়ে। আমরা দুজনে রাতের মুম্বই চষে বেড়াতাম। যা কিছু ওই বয়সের একটা ছেলের পক্ষে করা বারণ, সেই সবই সঞ্জু স্যার আমায় করার সুযোগ এনে দিতেন। স্বাভাবিক ভাবেই ওই সময়টায় আকাশে উড়তাম আমি। মনে হতো, জীবনের সব স্বপ্ন সত্যি হয়েছে”, নায়কের জবানবন্দি।
“সঞ্জু স্যার আমায় একটা লাল রঙের হার্লে ডেভিডসন বাইকও উপহার দিয়েছিলেন। তাঁর নতুন বাড়ি ইম্পেরিয়াল হাইটস তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে। কিন্তু বাবা বাইক পছন্দ করেন না বলে ওটা আমায় লুকিয়ে রাখতে হতো। কিন্তু একদিন বাবা দেখে ফেললেন। তার পরেই ফোন করে সঞ্জু স্যারকে কথা শোনান তিনি। মনে আছে স্পষ্ট, বাবা বলেছিলেন- রণবীরকে বখিয়ে দিস না, ওকে তোর মতো ,করে তুলিস না! তার পর থেকেই সঞ্জু স্যারের সঙ্গে আমার যোগাযোগ কমে যায়”, জানাচ্ছেন রণবীর।
তা, নিজেই এ বার ভালো ছেলের মতো উদ্যোগ নিয়ে বাবা এবং প্রিয় মানুষটির মধ্যে মনোমালিন্যের অবসান ঘটিয়েছেন রণবীর। নিজে গাড়ি চালিয়ে সঞ্জয় দত্তকে নিয়ে গিয়েছেন বাড়িতে নৈশভোজে।
Us three last night at home! pic.twitter.com/GNiM1eG60Q
— Rishi Kapoor (@chintskap) June 21, 2018
এবং স্বাভাবিক ভাবেই ব্যাপারটায় খুব খুশি ঋষিও। সঞ্জয় আর তিনি একসঙ্গে ছবিও করেছেন, ভালো সখ্যও ছিল দুজনের, সেটা আবার ফিরে আসায় খুবই খুশি হয়েছেন। আনন্দের আতিশয্যে বিশেষ কিছু লিখতেও পারেননি, কিন্তু যে ছবিটা পোস্ট করেছেন নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে, সেখানে তিনজনের হাসিই সব কথা বলে দিচ্ছে।
আর আলিয়া? কে জানে, সঞ্জয়কে বাড়িতে নিয়ে আসার পরামর্শটা তাঁরই কি না! কেন না, গাড়িতে ওঠা থেকে শুরু করে বাদ বাকি পুরো সময়টাতেই তিনি ছিলেন সবার সঙ্গে। তবে নেপথ্যে, এখনও আদর্শ ভারতীয় বউমা বলতে যেমনটা বিবেচনা করা হয় আর কী! এবং সেই আদর্শের মাপকাঠি মেনেই ক্যামেরার সামনে কেমন লজ্জিত বোধ করছেন নায়িকা, দেখুন দেখি!