খবরঅনলাইন ডেস্ক: হাওড়ার আমতার কাছে খড়িয়পে অবস্থিত শ্রী রামকৃষ্ণ প্রেমবিহার। এই মঠে এখন কর্মযজ্ঞ চলছে। বিশাল মন্দির তৈরি হচ্ছে। মালদা, মুর্শিদাবাদের শ্রমিকদের হাতে সেই মন্দির সেজে উঠছে। তার কাজ এখন প্রায় শেষের পথে।

দীপাবলির দিন মঠের সেই নবনির্মিত মন্দিরই নতুন রূপে সেজে উঠল। বিভিন্ন দিকে মোমবাতির আলোয় তৈরি হল এক মায়াবী পরিবেশ।

১৯৯৫ সালে স্বামী সম্বুদ্ধানন্দের হাত ধরে পথ চলা শুরু করে এই মঠ। হাওড়ার আমতার কাছে খড়িয়প গ্রামে এই মঠের অবস্থান। এর চার বছর পর, অর্থাৎ ১৯৯৯ সালে এখানে দুর্গাপুজো শুরু। ২০০০ সালে কলকাতার চিড়িয়া মোড়ের কাছে রেডিও গলিতে এই মঠের প্রধান কার্যালয় স্থানান্তরিত হয়।

এখন অনেক সামাজিক কাজকর্মে ব্রতী হয়েছে এই মঠ। মঠের পক্ষ থেকে চালানো হয় একটি প্রাথমিক স্কুল, দাতব্য চিকিৎসালয়। চিকিৎসার পাশাপাশি বিনামূল্যে ওষুধও দেওয়া হয়। দারিদ্রসীমার নীচে থাকা বেকার যুবক ও ছাত্রদের বাগান পরিচর্যা, পশুপালন, মাছচাষ ও নানা কুটির শিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

দেওয়া হয় কুটির শিল্পের নানান উপকরণও। পুরুষ, নারীদের জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠী খোলা হয়েছে। অঙ্কন, সেলাই ও কাটিং শেখানো হয়। প্রতি বছরই বেশ কিছু অনাথ শিশুর লেখাপড়া-থাকা সহ সার্বিক দায়িত্বও নেয় মঠ।

মন্দির পুরোপুরি তৈরি হয়ে গেলে এটা যে কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে অন্যতম দর্শনীয় স্থান হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
পুলিশি নজরে মোটামুটি বাজিহীন মহানগর কলকাতা আলোর ছটায় উদ্ভাসিত