বইমেলার বাছাই
রাজনৈতিক ব্যবস্থার সক্রিয় অনুসারী না হওয়ায় তাঁর লেখা বহুল প্রচারিত হয়নি
রাশিয়ান গল্পের প্রতি বাঙালির একটা আকর্ষণ রয়েছে। বিশেষত যারা সত্তর কিংবা আশির দশকে জন্মেছেন, তাঁদের।

;চিরঞ্জীব : রাশিয়ান গল্পের প্রতি বাঙালির একটা আকর্ষণ রয়েছে। বিশেষত যারা সত্তর কিংবা আশির দশকে জন্মেছেন, তাঁদের। সেই সময় একটু লেখাপড়া করা বাড়ির বই রাখার জায়গায় উঁকিঝুঁকি দিলেই মিলে যেত সোভিয়েত ম্যাগাজিন কিংবা দমিতরি গরিগারোভিচের সারকাসের ছেলের মতো বই। যে বইগুলি হাতে পেলে গোগ্রাসে পড়তাম।
আমার মতো অনেকেরই জীবনের ছোটবেলার বেশ খানিকটা অংশ জুড়ে রয়েছে ওই বইগুলি। রূপালী প্রকাশনীর সদ্য প্রকাশিত রাশিয়ান ছোটগল্পের অনুবাদ পশ্চিমী ফাঁদ ও অন্যান্য গল্পের বইটি হাতে নিয়ে একটু নস্টালজিক হয়ে পড়লাম। মিখাইল জোশেনকার লেখা। অনুবাদ করেছেন অরুণিম বন্দ্যোপাধ্যায়।
অনুবাদক মুখবন্ধে লিখেছেন,‘‘ মিখাইল জোশেনকা রুশ পাঠক মহলে সমাদৃত একটি নাম। কেউ কেউ জোশেনকাকে বিখ্যাত রুশ লেখক আন্তন চেখভের যোগ্য উত্তরসূরী বলে মনে করেন। জোশেনকার লেখায় বিষয়বস্তুর বৈচিত্র্য এবং ভাষার প্রাণময়তা বিশেষভাবে চোখে পড়ে। সোভিয়েত সমাজের দুঃখ, হাসি কান্নার গল্প প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে জোশেনকার কলমর আঁচড়ে। প্রত্যেকটি গল্পই হাসায় এবং ভাবায়।
রুশ পাঠকমহলে জনপ্রিয় হলেও সেভাবে বিদেশের বাজারে খুঁজে পাওয়া যায় না জোশেনকার লেখা। কারণটা কী?
অনুবাদকের মতে,‘‘ তৎকালীন রাজনৈতিক ব্যবস্থার সক্রিয় অনুসারী না হওয়ার কারণে তাঁর লেখা বহুল প্রচারিত হয়নি বা তাঁর সমসাময়িক অন্যান্য অনেক রুশ লেখকের মতো তাঁর গল্পের বিদেশি ভাষায় অনুবাদও তেমন ভাবে করা হয়নি। কিন্তু তাঁর গল্পের মধ্যে রয়েছে একটি সর্বজনীন আবেদন।’’
এখানে উল্লেখযোগ্য, অনুবাদক নিজে রাশিয়ান ভাষার শিক্ষক। তাই অন্য কোনো ভাষা থেকে নয় রাশিয়ান ভাষা থেকে গল্পগুলির অনুবাদ করেছেন । তাঁর নিজের কথায়,‘‘ অনেক সময় অন্য ভাষা থেকে অনুবাদ করতে গিয়ে দেখা যায়, অনুবাদের ভাষা কৃত্রিম হয়ে পড়েছে। তাই অনুবাদ করার সময় মূল ভাষার ভাব যতটা সম্ভব ধরে রাখার চেষ্টা করেছি আর সেই সঙ্গে অনুবাদের ভাষা যেন কৃত্রিম না হয়, সেটাও দেখার চেষ্টা করেছি।’’ তাই রূপালী প্রকাশনীর প্রকাশিত এই বইটি আপনার সংগ্রহে রাখতেই পারেন।
বইমেলায় রূপালীর স্টল : ২৪৯
পশ্চিমী ফাঁদ ও অন্যান্য গল্প
লেখক : মিখাইল জোশেনকা
প্রকাশক: রূপালী
যোগাযোগ : ৯৪৩২০৬২৯২৮
আরও পড়ুন
কলকাতা
রূপালীর ৮টি বই, স্বপ্ন থেকে বাস্তব, সঙ্গে ইতিহাসও

ওয়েবডেস্ক: এ বারের কলকাতা বইমেলায় অনেকগুলি বই প্রকাশ করেছে রূপালী প্রকাশন সংস্থা। সেগুলির বিষয় বৈচিত্রে যেমন রয়েছে ভিন্নতা, তেমনই রয়েছে রকমারি স্বাদ। যে কোনো মননের পাঠক এই পরিচিত প্রকাশন সংস্থায় হাতের নাগালে পেয়ে যাচ্ছেন নিজের সংগ্রহে রাখার মতো বইটি। ৪৪তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় রূপালীর স্টল নম্বর ২৪৯। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, রূপালীর নজরকাড়া আটটি বই-
পান্থজনকথা
প্রবন্ধ-নিবন্ধ-রম্য, কোনো নামেই সংজ্ঞায়িত করা যাবে না রজত চক্রবর্তীর এই তথ্যনিষ্ঠ লেখাগুলি। সরস ও স্বচ্ছন্দ গদ্যে ছোটোগল্পের নাটকীয়তায় পাঠক তথ্যের ভিতর দিয়ে চলতে চলতে অনুভব করেন শিকড়ের টান। বাঙালির জাত্যাভিমান জড়িয়ে রয়েছে পরতে পরতে।

পেশাগত ভাবে ইঞ্জিনিয়ার হলেও অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নেশা ভ্রমণ। ঘুরে বেড়ান এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। তুলে নিয়ে আসেন অজানা তথ্য। ব্রিটিশ শাসনকালের আগে-পরে নাড়াজোল রাজবাড়ির ইতিবৃত্ত তিনি তুলে ধরেছেন এই সংকলনে।

শাহী বুরহানপুর
লেখক নেশার টানে হরেক জায়গায় ঘুরে বেড়িয়ে তথ্য সঞ্চয় করেন। তবে লুকিয়ে রাখেন না, বানিয়ে ফেলেন ভ্রমণ বিষয়ক তথ্যচিত্র। ঐতিহাসিক স্থানগুলির প্রতি লেখকের তীব্র আকর্ষণ তৃপ্তি দেবে পাঠককে।

স্বপ্ন আর মৃত্যুর কথোপকথন
যদি এমনটা হতো। মুখোমুখি বসে কথা বলত স্বপ্ন আর মৃত্যু। কথার মায়াজালে অর্ণব সাহার টানটান লেখনীতে মুগ্ধ হতে বাধ্য সচেতন পাঠক।

চিকিৎসক জীবনের নানা ভাঁজে ঘটে চলা বেশ কিছু বাস্তবধর্মী কাহিনি নিয়ে জমাট বেঁধেছে মানদা সুন্দরী এবং মাতাল ডাক্তারের গল্প। ছোটোগল্পে দীপঙ্কর ঘোষের মুনসিয়ানার মূল কেন্দ্রবিন্দু সহজ-সাবলীল শব্দচয়ন এবং অনাবিল হাস্যরস। কোনোটারই খামতি নেই এখানেও।

অশরীরী
বাস্তব অস্তিত্ব না থাকলেই কি অশরীরী? দেহহীনরাও তো অশরীরী।ভালো লাগার মতো সংকলনটি উপহার দিয়েছেন কস্তুরী দাশগুপ্ত।

পর্যটনের গুজরাত
প্রাচীন শিল্পশহর গুজরাতের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে পৌরাণিক এবং ঐতিহাসিক স্থান। সাধ্য মতো সেগুলিকে এক মলাটে বন্দি করেছেন ভ্রমণপিপাসু গীতি পালিত এবং সুপ্রিয় কর। নতুন করে গুজরাত ভ্রমণের আশা জাগাবে বইকি!

কাঞ্চনজঙ্ঘা, অন্তরঙ্গ শৃঙ্গের মুখোমুখি
পর্বতারোহী দীপঙ্কর ঘোষের রোমাঞ্চকর এবং সুপাঠ্য ভ্রমণকাহিনি।

কলকাতা
বিষয় বৈচিত্র্যে কলকাতা বইমেলায় রূপালীর ৫টি বই

ওয়েবডেস্ক: বিষয় বৈচিত্র আর স্বাদের ভিন্নতার সমাহার যেন রূপালীতে। পছন্দের বই খুঁজতে বইমেলায় যাওয়া পাঠকের মনকে দোলা দিচ্ছে কলকাতার এই পরিচিত প্রকাশন সংস্থা। ৪৪তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় রূপালীর স্টল নম্বর ২৪৯। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, রূপালীর নজরকাড়া ৫টি বই-
১. নকশাল বাড়ি ৫০ স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ

১৯৬৭ সালে পশ্চিমবাংলার দার্জিলিং জেলার নকশালবাড়িতে কৃষক অভ্যুত্থান ও তৎপরবর্তী সিপিআই(এমএল) গঠন ভারতবর্ষের রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক ঘটনা। একই সঙ্গে নকশালবাড়ি কমিউনিস্ট আন্দোলনের এক জল বিভাজিকা। তার পরে অতিক্রান্ত ৫০টি বছর। গড়ে ওঠার কাহিনি থেকে তত্ত্ব বিশ্লেষণে এক মলাটে বন্দি করেছেন সম্পাদক সুমন কল্যাণ মৌলিক
২. পশ্চিমী ফাঁদ ও অন্যান্য গল্প

রূপালী প্রকাশনীর সদ্য প্রকাশিত রাশিয়ান ছোটগল্পের অনুবাদ পশ্চিমী ফাঁদ ও অন্যান্য গল্পের বইটি হাতে নিয়ে অনেকেই নস্টালজিক হয়ে পড়তে পারেন। মিখাইল জোশেনকার লেখা। অনুবাদ করেছেন অরুণিম বন্দ্যোপাধ্যায়। রুশ পাঠকমহলে জনপ্রিয় হলেও সেভাবে বিদেশের বাজারে খুঁজে পাওয়া যায় না জোশেনকার লেখা। কলকাতা বইমেলায় রূপালীর স্টল : ২৪৯-এ মিলবে তাঁর হদিশ।

পেশায় আইনজীবী এবং প্রয়াত জটায়ু ওরফে সন্তোষ দত্তের প্রথম এবং একমাত্র জুনিয়র বইটির লেখক অশোক বক্সী। সন্তোষবাবুর কাছেই লেখকের আইন পেশার হাতেখড়ি। বর্তমানে এখনও ওই পেশাতেই যুক্ত।
৪. ধর্মীয় মেরুকরণ

ধর্মীয় মেরুকরণের বিশবাষ্প ঘুরছে-ফিরছে বাতাসে। যা প্রতিটা মুহূর্তে টের পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কতটা গাঢ় তার প্রভাব, কোথা থেকেই বা ছড়ায়, সেটাও অজানা নয় অনেকের। রাজনৈতির সঙ্গে ধর্মীয় মেরুকরণের এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক আছেই, সাম্প্রদায়িকতা কখনো খোলসে আবার কখনো প্রকাশ্যে। তা নিয়ে মলাটবন্দি সুনিপুণ কথামালা সাজিয়ে তুলেছেন সম্পাদনা মীর রাকেশ রৌশান।
৫. বিপন্ন ভারত

সাম্প্রতিক সময়ের গুরুতর এক সমস্যার জোরালো এবং যুক্তিনিষ্ঠ অনুরণনই শোনা গিয়েছে, অশোকেন্দু সেনগুপ্ত সম্পাদিত ‘বিপন্ন ভারত’ গদ্য সংকলনে। এই সংকলনটি প্রকাশ করেছে রূপালি পাবলিকেশনস। সসিহষ্ণুতার বর্তমান এর উৎস এবং রাজনীতি থেকে সমাজ জীবনে এর প্রভাব-সমূহ নিয়ে বিশদ তথ্য, বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং বিশ্লেষণ বাঁধা পড়েছে এক মলাটে। সঙ্গে রয়েছে, অসহিষ্ণুতার ভয়ঙ্কর পরিনাম, যা ভবিষ্যতকে গিলে ফেলতে উদ্যত, সে সব নিয়েও মনোজ্ঞ বিশ্লেষণ।
বইমেলার বাছাই
অর্থনীতিকে বাদ দিয়ে কি রাজনীতি হয়?

চিরঞ্জীব পাল : সেই নোট বাতিলের সময় অর্থনীতিতে প্রথম ধাক্কাটা লেগেছিল। তারপর জিএসটি। এই জোড়া ধাক্কার রেশ এখনও কাটেনি। রেশ সামলাতে কার্যত হিমশিম অবস্থা নরেন্দ্র মোদী সরকারের।
লক্ষ্য ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির মতো চওড়া হলেও সেই লক্ষ্য অধরা থেকে গিয়েছে। দেশের অর্থনীতির ছাতি ক্রমশ চুপসে গিয়েছে। বেকারত্ব, আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি, গাড়ি শিল্পে মন্দা, ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার হাঁসফাস অবস্থা — সব মিলিয়ে ক্রমশ নিম্নমুখী অর্থনীতির গ্রাফ। হাজার টানা হ্যাঁচড়া করেও তাকে তোলা যাচ্ছে না।
অথচ নোটবন্দির সময়কাল থেকেই বাড়বাড়ন্ত হয়েছে গোরক্ষকদের তাণ্ডব, গণপিটুনি, কে কী খাবে তা নিয়ে বিচার, জাত-পাত, গণেশের মাথা প্লাস্টিক সার্জারি করে বসানো হয়েছে জাতীয় তত্ত্বের।
অধুনা ঘাড়ে চেপে বসেছে সিএএ, এনআরসি এবং এনপিআরের মতো বিষয়। এ সব ইস্যু নিয়েই আন্দোলন হচ্ছে, প্রতিবাদ হচ্ছে। কিন্তু অর্থনীতির বেহাল অবস্থা, লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধির নিয়ে সে ভাবে কোনো প্রতিবাদ আন্দোলন চোখে পড়ছে না।
গ্রাউন্ডজিরো থেকে প্রকাশিত অনর্থনীতি পুস্তিকাতে নীলাঞ্জন দত্ত সেই বিষয়টিকেই ধরতে চেয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘অর্থনীতিকে ফেলে রাজনীতি হয় না। বরং রাজনীতির গোড়ায় পৌঁছতে গেলে তার পেছন থেকে কোন অর্থনীতি কাজ করছে, সেটাই দেখতে হবে।’’
কোনো বিশেষজ্ঞেকে সেই দায়িত্ব ছেড়ে দিলে হবে না। সেই দায়িত্ব নিতে হবে নিজেদেরই। সেভাবেই তিনি সাম্প্রতিক অস্থির অবস্থার অর্থনৈতিক শেকড় খুঁজতে চেয়েছেন। ঝোলা কাঁধে অর্থনীতিবিদ হয়ে ‘অনর্থ নীতি’র স্বল্প পরিসরে তাকে বিশ্লেষণ করতে চেয়েছেন। বর্তমান সময়কে বুঝতে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে বইটি।
অনর্থ নীতি
লেখক: নীলাঞ্জন দত্ত
দাম : ৫০ টাকা
প্রকাশক: গ্রাউন্ড জিরো
যোগাযোগ : ৯৮৩০৪১১৫২৫
-
কলকাতা2 days ago
ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ, সতীর্থের মৃত্যু
-
হাওড়া2 days ago
বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
-
শরীরস্বাস্থ্য2 days ago
কেন খাবেন মটরশুঁটি, জেনে নিন এর উপকারিতা
-
ফুটবল2 days ago
আক্রমণ বিভাগ নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটাতে পারছেন না আন্তোনিও লোপেজ আবাস