অজন্তা চৌধুরী
চিনু দত্তগুপ্ত মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিটিতে (কেসিসি, KCC) ৫ থেকে ৭ জুলাই তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়ে প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী উৎসব। যার পোশাকি শিরোনাম ‘ওয়াইল্ডসোজর্নস নেচার অ্যাওয়ার্ডস অ্যান্ড ফেস্টিভ্যাল ২০২৪’।
এটি ছিল পূর্ব ভারতের একটি বৃহৎ প্রদর্শনী। তিনদিনব্যাপী এই উৎসবে ফিল্ম স্ক্রিনিং, বন্যপ্রাণী চলচ্চিত্র নির্মাণের মাস্টারক্লাস থেকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ইত্যাদি নানান বিষয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও ছিল আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
উৎসবের শেষ দিনে ছিল বন্যপ্রাণী আলোকচিত্র প্রদর্শনীর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এই উৎসবের উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃতির সৌন্দর্য উদযাপন করা, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক সুদৃঢ় করা। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, পরিবেশ সংরক্ষণের প্রচার এবং এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা।
উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থমাস বিজয়ন, শিবাঙ্গ মেহেতা, অনীশ আন্ধেরিয়া, সাগর গোসাভি, হিরা পাঞ্জাবি, রিপন বিশ্বাস, কল্লোল মুখার্জি, যশোধন ভাটিয়া, কিরণ পুনাচা, রামাচন্ডিরন গোবিন্দরাজ, বালাজি লোগানাথন, পুষ্কর বসুর মতো পৃথিবীবিখ্যাত ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার তথা বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
প্রধান অতিথি হিসাবে উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন রাজ্যের চিফ প্রিন্সিপ্যাল কনজারভেটর অফ ফরেস্টস এবং হেড অফ ফরেস্ট ফোর্স (PCCF) দেবল রায় এবং চিনু দত্তগুপ্ত মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি অশোক রায়চৌধুরী।
ফেস্টিভ্যালের চেয়ারপার্সন এবং চিনু দত্তগুপ্ত মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের চিফ ট্রাস্টি ড. মেঘ রায়চৌধুরী জানান, “এই ওয়াইল্ডসোজর্নস নেচার অ্যাওয়ার্ডস এশিয়া তথা বিশ্বের মধ্যে একটি বড়ো উৎসব। এই প্রতিযোগিতার জন্য বিশ্বের ৫৭টি দেশ থেকে ২০ হাজারের বেশি আলোকচিত্র এসেছে। এখানে বিভিন্ন বিভাগ মিলিয়ে প্রতিযোগীদের প্রায় ১৬ লক্ষ টাকার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পরের বছর এই উৎসব আরও বড়ো আকারে করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।” তিনদিনব্যাপী এই সমগ্র অনুষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানে ছিলেন ড: প্রসন্ন এভি।
আরও পড়ুন
২০২৪-এর রেওয়া সারস্বত সন্মাননা পেলেন সংগীতশিল্পী অরিত্র দাশগুপ্ত