পৃথিবীর দিকে এগিয়ে আসছে বিশাল আকৃতির একটি গ্রহাণু। এর আয়তন একটি স্টেডিয়ামের মতো। আজ ২৪ মার্চ এই গ্রহাণুটির পৃথিবীর সব চেয়ে কাছে দিয়ে চলে যাওয়ার কথা। নাসা (NASA) এই খবর দিয়েছে।
এই সপ্তাহের গোড়াতেই গুটিকতক ছোটো গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। এ বার ‘২০১৩বিও৭৬’ (2013BO76) নামে চিহ্নিত ওই গ্রহাণুটির পালা। এই গ্রহাণু ২৫৯ মিটার তথা ৮৫০ ফুট প্রশস্ত। এর অর্থ আয়তনে এই গ্রহাণু একটি স্টেডিয়ামের মতো।
এই গ্রহাণুকে দেখার আশায় মহাকাশচারীরা উত্তেজনায় ছটফট করছেন। কিন্তু আশঙ্কায় দিন গুনছে পৃথিবী। গ্রহাণুটি যদি নিজের পথে থেকে বেরিয়ে যায় তা হলে চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু পথ থেকে যদি সামান্য বিচ্যুত হয়, তা হলেই পৃথিবীতে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবোরেটরি (Jet Propulsion Laboratory) জানিয়েছে, ‘২০১৩বিও৭৬’ গ্রহাণু পৃথিবীর সব চেয়ে কাছে যখন আসবে, তখন তার দূরত্ব থাকবে ৫১ লক্ষ ১০ হাজার কিলোমিটার। ৯ বছর আগে যখন এই গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে গিয়েছিল, তখন এর দূরত্ব অনেক বেশি ছিল। তবে এটাও ঠিক, এই দূরত্বে থেকে একটা গ্রহাণুর নিরাপদে চলে যাওয়ার কথা।
তবে গ্রহ-গ্রহাণু, তারকার চলাচলের ক্ষেত্রে ৫১ লক্ষ ১০ হাজার কিলোমিটার বেশি কিছু দূরত্ব নয়। তাই এই গ্রহাণু যদি তার কক্ষপথ থেকে সামান্যও সরে যায় তা হলেই বড়ো বিপদ ঘটতে পারে। তার ওপর এই গ্রহাণু ঘণ্টায় ৪৯ হাজার ৫১৩ কিমি গতিবেগে চলছে যা শব্দের গতিবেগের চেয়ে ৪০ গুণ বেশি। এই গতিবেগ নিয়ে গ্রহাণুটি যদি পৃথিবীকে আঘাত করে তা হলে ব্যাপক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
৯ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৩ সালে এই গ্রহাণু যখন পৃথিবীর কাছে এসেছিল, তখন তার দূরত্ব ছিল ৭৮ লক্ষ ৮৮ হাজার ২৯৫ কিলোমিটার। আজ বৃহস্পতিবার এই গ্রহাণু পৃথিবীর কাছ দিয়ে চলে যাওয়ার পর আবার আমাদের গ্রহের সঙ্গে এর মোলাকাত হবে ২০৩৩ সালে। তখন এটি পৃথিবী থেকে ১ কোটি ৯১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৯২৬ কিমি দূরে থাকবে।
এই গ্রহাণুর গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখছে নাসা।