নয়াদিল্লি: ভারতের চন্দ্র মিশন চন্দ্রযান-৩ একটি নতুন সফলতা অর্জন করেছে। এই মিশনের প্রজ্ঞান রোভার চাঁদের পৃষ্ঠে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের খোঁজ পেয়েছে। রোভারটি চাঁদের পৃষ্ঠে ১৬০ কিমি চওড়া একটি বিশাল গর্ত আবিষ্কার করেছে, যা ল্যান্ডিং স্থলের কাছে অবস্থিত।
এই নতুন আবিষ্কারটি অমদাবাদের ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা সায়েন্স ডাইরেক্ট-এর সর্বশেষ সংখ্যায় প্রকাশ করেছেন। প্রজ্ঞা রোভার দ্বারা পৃথিবীতে পাঠানো তথ্যের মাধ্যমে এই গর্তের খোঁজ করা হয়েছে, যা চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে অবস্থিত।
নতুন স্থানটি প্রজ্ঞান রোভারের মাধ্যমে সংগ্রহ করা তথ্যের মাধ্যমে আবিষ্কৃত হয়েছে। রোভারটি সেই সময় দক্ষিণ মেরুর এটকেন বেসিন থেকে প্রায় ৩৫০ কিমি দূরে একটি উচ্চভূমি অঞ্চলে চলাচল করছিল। চাঁদের পৃষ্ঠের সবচেয়ে বড় এবং প্রাচীন বেসিন হিসাবে পরিচিত এটকেন বেসিনের চারপাশের নতুন স্তরের ধুলো এবং পাথর চাঁদের প্রাথমিক ভূতাত্ত্বিক বিবর্তন বুঝতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই স্থানটি অতীতের আঘাত থেকে সঞ্চিত পদার্থে সমৃদ্ধ এবং চাঁদে অনুসন্ধান মিশনের জন্য একটি আগ্রহের অঞ্চল। এটকেন বেসিন প্রায় ১,৪০০ মিটার বর্জ্য প্রদান করেছে, যখন বেসিনের চারপাশে অন্যান্য ছোট গর্তগুলি আরও ভূতাত্ত্বিক উপাদান যোগ করেছে।
চন্দ্রযান-৩ মিশনের এই আবিষ্কারটি রোভারটির চাঁদের পৃষ্ঠের অন্বেষণ এবং গবেষণার ফলস্বরূপ। চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলটি বিজ্ঞানীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখানে পূর্বের গবেষণা সীমিত ছিল এবং জল ও অন্যান্য খনিজের সম্ভাবনা অন্বেষণ করা হচ্ছে।
ইন্ডিয়া টুডে-র রিপোর্ট অনুযায়ী, চন্দ্রযান-৩ মিশন তার লক্ষ্যগুলি সফলভাবে পূরণ করছে এবং এই নতুন আবিষ্কারটি তার কঠোর পরিশ্রমের একটি অংশ। এই ১৬০ কিমি চওড়া গর্তের আবিষ্কারটি বিজ্ঞানীদের চাঁদের ভূগর্ভস্থ গঠন আরও ভালভাবে বুঝতে সহায়তা করবে।
চন্দ্রযান-৩ এর এই খোঁজটি শুধু ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ISRO) জন্য গর্বের বিষয় নয়, বরং এটি বৈশ্বিক বিজ্ঞান সম্প্রদায়ের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। এই আবিষ্কারটি চাঁদে ভবিষ্যতের মিশনের জন্য একের পর এক নতুন দিকনির্দেশনা আসতে পারে।
চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলের অনুসন্ধানের লক্ষ্য নিয়ে ভারতের এই চন্দ্র মিশন, ধারাবাহিক ভাবে নতুন সফলতা অর্জন করছে এবং চাঁদ সম্পর্কে আমাদের জ্ঞানকে আরও গভীর করছে।