বিজ্ঞানীরা সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মিকে ঠেকানোর জন্য জৈব আল্ট্রা ভায়োলেট ফিল্ম তৈরি করেছেন। সোলার সেলের মধ্যে চিরাচরিত পলিভিনাইল ফ্লুওরাইড, পলি-ইথিলিন টেরেফথ্যালেটের মতো পেট্রোলিয়াম পদার্থর থেকে যা একেবারে আলাদা। সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির কারণে সোলার সেল খুব দ্রুত ক্ষয়ে যায়। তাই কার্যকারিতার মেয়াদ বাড়াতে প্রোটেক্টিভ ফিল্মের প্রয়োজন হয়। জৈব ভিত্তিক আল্ট্রা ভায়োলেট ফিল্টার নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে একটানা গবেষণা চালান ফিনল্যান্ডের টুরকু বিশ্ববিদ্যালয়, আল্টো বিশ্ববিদ্যালয় ও ওয়েজেনিংজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
বিকল্প ব্যবস্থার সন্ধান দিতে গবেষকরা ন্যানোস্কেল বায়োপলিমার ‘ন্যানো সেলুলোজ’ ব্যবহার করেন। গবেষকদের লক্ষ্য ছিল বেশি পরিমাণে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মিকে ঠেকানো পাশাপাশি স্বচ্ছতা বজায় রাখাও। তাই তাঁরা ন্যানোসেলুলোজের সঙ্গে লাল রঙের পেঁয়াজের খোসা ব্যবহার করেন। লাল রঙের পেঁয়াজের খোসা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিকে দারুণ ভাবে ঠেকাতে পারে। ৪০০ ন্যানোমিটার পর্যন্ত ৯৯.৯% অতিবেগুনি রশ্মি শুষে নিতে পারে।
টুরকু বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট ডক্টরাল ফেলো রুস্তেম নিজামভ জানান, সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মির হাত থেকে বাঁচাতে যেখানে জৈব ভিত্তিক রক্ষাকারী পদার্থ প্রয়োজন সেখানে লাল রঙের পেঁয়াজের খোসা দারুণ বিকল্প। সেলুলোজ ন্যানোফাইবারে তৈরি আলাদা আলাদা ৪টি প্রোটেক্টিভ ফিল্ম পরীক্ষা করে দেখেন গবেষকরা। সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ও ভালো ভাবে সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মিকে ঠেকাতে পারে লাল রঙের পেঁয়াজের খোসা।