দীর্ঘ সময় কোনো প্রাণীর দেখা না মিললে তাকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে ধরে নেওয়া হয়। সেই হিসাবে এক সময় দেখা গেলেও এখন দেখা যায় না উড়ন্ত কাঠবিড়ালিকে। তাই সেই প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলেই ধরে নেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ সময় পর বিরল প্রজাতির উড়ন্ত কাঠবিড়ালির দেখা মিলেছে হিমালয়ে।
হিমাচল প্রদেশের বন দফতরের ওয়াইল্ড লাইফ উইং হিমাচল প্রদেশের প্রত্যন্ত লাহুল ও স্পিতি জেলায় মিয়ার উপত্যকায় বিরল প্রজাতির উড়ন্ত কাঠবিড়ালির খোঁজ পেয়েছে। জঙ্গলে লাগানো গোপন ক্যামেরায় বিরল প্রজাতির উড়ন্ত কাঠবিড়ালির গতিবিধি ধরা পড়েছে। ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্যামেরা ট্রাপিং সার্ভে হয় বলে জানিয়েছে হিমাচল প্রদেশের বন দফতর। উড়ন্ত কাঠবিড়ালির ইংরেজি নাম হল Woolly Flying Squirrel। বৈজ্ঞানিক নাম হল Eupetaurus cinereus। উত্তর পশ্চিম হিমালয়ে এক সময় দেখা যেত বিরল প্রজাতির উড়ন্ত কাঠবিড়ালি। ১৯৯৪ সালে শেষবার দেখা গিয়েছিল। সেটাও ছিল বড়ো চমক।
কারণ তার ৭০ বছর আগে শেষবার দেখা গিয়েছিল। এরপর ১৯৯৪ সালে পাকিস্তানে দেখা যায় উড়ন্ত কাঠবিড়ালি। তারপর আর কোনো খোঁজ মেলেনি। এরপর দীর্ঘ সময় পর ২০১৫ সালে হিমালয়ের পাহাড়ি ঢালে জনমানবহীন জায়গায় দেখা যায় উড়ন্ত কাঠবিড়ালিকে। গত বছর হিমাচল প্রদেশের লাহুল ও স্পিতি জেলায় প্রত্যন্ত জনমানবহীন জায়গায় গোপনে ৬২টি ক্যামেরা বসানো হয়।
স্নো লেপার্ডের ওপর সমীক্ষা চালানোর জন্য ক্যামেরা বসানো হয়। সেই ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করেই বন দফতরের কর্মী ও আধিকারিকরা বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে ধরে নেওয়া বিরল প্রজাতির উড়ন্ত কাঠবিড়ালির সন্ধান পান। হিমালয়ের গহন জায়গায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৪০০-৩৬০০ মিটার উঁচুতে প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে থাকে এই প্রাণী। গা ঘন লোমশ হয়। গাছ বেয়ে তড়তড়িয়ে উঠতে পারে।
পড়ুন: ১০০ বছর পরে প্রথম মা! ফিলাডেলফিয়ার চিড়িয়াখানায় নজির গড়ল বিরল কচ্ছপ