আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে (ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন, আইএসএস) নাসার মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরকে রেখে পৃথিবীতে খালিই ফিরবে স্টারলাইনার মহাকাশযান। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার তরফে একথা ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর বোয়িং কোম্পানির মহাকাশযান স্টারলাইনার ক্যাপসুলের পৃথিবীতে খালিই ফিরে আসার কথা জানিয়েছে নাসা।
স্টারলাইনার খালি ফিরে আসার ঘোষণায় আরও দীর্ঘায়িত হল দুই মহাকাশচারীর আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে বাস। ৮ দিনের মহাকাশ অভিযানে গিয়ে আপাতত আইএসএস-এ তাঁদের থাকার মেয়াদ ৮ মাস হয়ে গেল। এখন যা ঠিক হয়েছে তাতে সুনীতা ও উইলমোরের ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ‘স্পেসএক্স ক্রু ড্রাগন’ ক্যাপসুলে চেপে পৃথিবীতে ফেরার কথা। এলন মাস্কের কোম্পানি ‘স্পেসএক্স’ এই মহাকাশযানটি তৈরি করেছে।
গত ৫ জুন সুনীতাদের নিয়ে মহাকাশে যায় স্টারলাইনার মহাকাশযান। এটিই মহাকাশচারীদের নিয়ে এই মহাকাশযানের প্রথম মহাকাশাভিযান। নাসার তরফে বলা হয়েছে, আবহাওয়া ও প্রযুক্তিগত দিক ঠিক থাকলে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সময় ভোররাত ৩টে ৩৪ নাগাদ আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে যাত্রা শুরু করবে স্টারলাইনার মহাকাশযান। ৬ ঘণ্টা লাগবে পৃথিবীতে পৌঁছোতে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢোকার পর মহাকাশযানের যে অংশ পুড়ে যাবে তার পর অবশিষ্ট অংশ প্যারাশ্যুটে করে নামবে নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ড হারবারে।
নাসার বিজ্ঞানীরা মুখ না খুললেও সুনীতাদের আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে রেখে খালি স্টারলাইনার মহাকাশযানের এভাবে ফিরে আসা বোয়িং সংস্থার মহাকাশযান স্টারলাইনারের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এর আগে মহাকাশযানে হিলিয়াম লিক হওয়া ও থ্রাস্টার ফেলিয়রের কথা সামনে এসেছে। এবার খালি হাতে ফেরা ভবিষ্যতে স্টারলাইনারের মহাকাশচারীদের নিয়ে যাতায়াতের সুরক্ষা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
এত কিছুর পরও স্টারলাইনার মহাকাশযান নিয়ে আশাবাদী নাসা। কারণ এই মহাকাশযান বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার কথা। তবে সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোরের সুরক্ষাই যে তাদের কাছে অগ্রাধিকার তা জানাতে ভোলেননি নাসার প্রশাসক বিল নেলসন।
বোয়িংয়ের স্টারলাইনার এবং স্পেসএক্সের ড্রাগন ক্যাপসুল উভয়ই NASA-এর মহাকাশ মিশনগুলির জন্য মহাকাশচারী এবং কার্গো বহন করতে পরিকল্পিত।
আরও পড়ুন