অভিধা মিত্র, মুম্বই
সে দিন লোকাল ট্রেনে যেতে যেতে এক জনের সাথে আলাপ হল। বাঙালি সেই ভদ্রমহিলাকে নাম জিজ্ঞেস করতেই বললেন, ‘দীপালি গাঙ্গুলি’, পদবিটা বলার সময় গলায় গর্বের স্বর স্পষ্ট। হেসে জিজ্ঞেস করলাম, “দাদার ফ্যান বুঝি?” গর্বিত হয়ে বললেন “হব না কেন বলুন! দাদার জন্য এতটাই পাগল যে বিয়ের পর মুখার্জি হয়েছি, কিন্তু বাবার দেওয়া পদবিটা ছাড়তে পারিনি। ওটাই তো সম্পদ। ছাড়া যায়!”
এই হল দাদা, এই হল সৌরভ। ক্রিকেটার হিসেবে তিনি কত বড়ো তা না হয় নাই বললাম, বাকিরা বলবেন, আমি বলব তাঁর ‘স্পিরিটের’ কথা। জীবন যখন ঝুঁকিয়ে দেয়, কাঁদিয়ে দেয়, হারিয়ে দেয়, তখন মাথা নিচু করে না থেকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হয়, তাকাতে হয় জীবনের চোখের দিকে, আর বলতে হয় “এত সহজে হারব না”— এটাই শিখিয়েছেন আমায় মহারাজা, আর এখানেই তিনি সকলের থেকে আলাদা।
“সৌরভ গাঙ্গুলি” কোনও এক মানুষের নাম শুধু নয়, এ এক আগুন, যা জ্বলতে যেমন জানে, জ্বালাতেও জানে। এই নাম একটি ‘অনুপ্রেরণা’, যা কোটি কোটি লড়াকুদের ভরসা দিয়েছে এগিয়ে যাওয়ার… এই নাম এক স্বপ্নের নাম, যা শিখিয়েছে, “স্বপ্ন দেখবার ইচ্ছে থাকলে তাঁকে পূরণ করবার শক্তি রাখো, না হলে স্বপ্ন দেখো না”।
শেষে বলতে চাই, দাদার ক্রিকেট কেরিয়ারের শুরুর দিকে যে রবি শাস্ত্রী দাদাকে ‘অপমান’ করে বলেছিলেন ‘কলকাতার রসগোল্লা’, আজ কুড়ি বছর পর ঠিক সেই লোকটি দাঁড়িয়ে আছে কোচ হওয়ার লাইনে আর কোচ হওয়ার যোগ্যতা তাঁর মধ্যে আছে কী নেই বিচার করবেন সেই সৌরভ গাঙ্গুলি। কর্মের ফল? বেশ থাকলো এই প্রশ্ন বাকিটা বুঝে নিন।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।