ফারুক ভূঁইয়া রবিন, ঢাকা, বাংলাদেশ
২০ জুন, ১৯৯৬। ক্রিকেটের তীর্থভূমি লর্ডসে বিশ্ব দেখেছিল এক ক্রিকেটারের বর্ণিল যাত্রা। দেখতে দেখতে সেই দিনের দুই দশক হয়ে গেল। সেই ক্রিকেটারের পরিচয় আজ শুধু ক্রিকেটার হিসেবেই আটকে নেই। সফল অধিনায়ক হিসেবে দলের সংস্কারক, দক্ষ ক্রিকেট প্রশাসক, ধারাভাষ্যকার, ক্রিকেট বিশ্লেষক, কলাম লেখক, টিভি উপস্থাপক, ফুটবল টিমের কর্ণধার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা—পরবর্তীতে তাঁর মুকুটে যোগ হয়েছে নতুন নতুন আরো নানা পালক। যেখানে হাত দিয়েছেন, সেখানেই তিনি এনেছেন অভিনবত্ব। তাই তো ৮ বছর আগে মাঠের ক্রিকেটকে বিদায় জানালেও আজও জনপ্রিয়তার চূড়ায়।
তিনি আমাদের দাদা। ক্রিকেটের মহারাজ। তিনি সৌরভ গাঙ্গুলি। ক্রিকেটের বাইশ গজ পেরিয়ে যিনি আমাদের জীবনের লড়াইয়ে অনুপ্রেরণার উৎস।
আমি যে হেতু বাংলাদেশ থেকে লিখছি, তাই বাংলাদেশে দাদাকে ঘিরে আগ্রহের বিষয়টিও তুলে ধরছি। আসলে এক জন বাঙালি হিসেবে দাদাকে ঘিরে আমাদের এখানে বরাবরই অনুরাগ ছিল। তবে চ্যাপেল-আমলে দাদা যখন চারপাশের ক্রমাগত নিদারুণ আক্রমণে ক্ষতবিক্ষত, তখন লোকজনের মধ্যে সৌরভ-আবেগ যুক্ত হয় নতুন মাত্রা। বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসাটা তাঁকেও স্পর্শ করত বলেই তাঁর মুখে বারবার শুনেছি, বাংলাদেশে খেলতে আমার দারুণ লাগে। দাদার দাদাগিরি সব মহলেই চলতে থাকুন মহারাজকীয় ভাবে। দাদার মহিমায় প্রতিনিয়ত উদ্ভাসিত হোক আমাদের হৃদয়।
জীবনের সব যন্ত্রণা-অনিশ্চয়তা, শত অত্যাচার, অবিচার, বঞ্চনা আর স্বেচ্ছাচারকে লাথি মেরে এগিয়ে যাওয়ার বেলায় দাদা আমাদের উদ্দীপনা।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।