খবর অনলাইন: দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ থাকার পর প্রয়াত হলেন অমল দত্ত। রবিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। রেখে গেলেন স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের পরিবারকে। সোমবার সকালে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে গণেশ টকিজের বাড়িতে। তার পর সকলের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ১০টা থেকে দেহ রাখা থাকবে রবীন্দ্র সদনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ যাওয়ার আগে প্রয়াত কোচকে শ্রদ্ধা জানিয়ে যাবেন। সোমবারই নিমতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
খেলোয়াড় হিসাবে তাঁর ফুটবল জীবন কেটেছে ইস্টবেঙ্গলে। পাঁচের দশকের গোড়ার দিকে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে রুমানিয়া-রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন। সন্তোষ ট্রফিতে বাংলার হয়ে খেলেছেন। ১৯৫৪-য় ম্যানিলা এশিয়ান গেমসে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তবে ফুটবলারের চেয়ে কোচ হিসাবেই অমল দত্তের বেশি নামডাক। খেলতে খেলতেই মনে হয়েছিল এ দেশের ফুটবল সঠিক ভাবে এগোচ্ছে না। ফুটবলের স্বার্থেই ইংল্যান্ড থেকে কোচিঙের ডিগ্রি নিয়ে এলেন। শুরু হল কোচিং জীবন, ইস্টবেঙ্গলে। তার পর বাংলা ছেড়ে ওড়িশায়। ফিরে এসে মোহনবাগানে। তার পর ইস্টবেঙ্গল হয়ে মহমেডানে। এ ভাবেই কলকাতা ময়দানের তিন প্রধান দলকেই কোচ হিসাবে বহু সাফল্য এনে দিয়েছেন অমল দত্ত। ১৯৯৭-এ মোহনবাগানে এসে ময়দানে ডায়মন্ড সিস্টেমের জন্ম দিলেন তিনি। সেই সিস্টেমের কথা আজও লোকের মুখে মুখে ফেরে। তাঁর প্রয়াণে বাংলার ক্রীড়ামহল শোকাহত।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।