কোপার ফাইনালে আর্জেন্তিনা, হেরেও ইউরোর শেষ ষোলোয় স্পেন

0

খবর অনলাইন: মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বের দুই মহাদেশে ফুটবলের দুই প্রতিযোগিতার খবর দেওয়া হল —

কোপা: দেশের হয়ে রেকর্ড মেসির, যুক্তরাষ্ট্রকে হেলায় হারাল আর্জেন্তিনা

তাঁদের দু’জনকে বলা হয় এই প্রজন্মের সেরা দুই ফুটবলার। ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারটাও তাঁরাই ভাগাভাগি করে নেন, এক বছর এক জন নেন তো পরের বছর অন্য জন। নিজেদের ক্লাবের হয়েও দুর্ধর্ষ খেলেন তাঁরা। কিন্তু দেশের হয়ে নামলেই এক জন নিষ্প্রভ হয়ে যান, ফ্রি-কিক তো বটেই এমন কি পেনাল্টি থেকেও গোল করতে ব্যর্থ হন। আর অন্য জন? দেশের হয়েও সেই একই ফর্মে দেখা যায় তাঁকে। হয় নিজে গোল করেন না হলে বল বাড়িয়ে অন্যকে দিয়ে গোল করান, চোট থাকলেও হ্যাটট্রিক করেন। নিজের দেশের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার শিরোপাও এখন তাঁর।

মেসির কাঁধে ভর করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হেলায় হারিয়ে ফাইনালে উঠল আর্জেন্তিনা। খেলার ফল ৪-০। ফিফা র‍্যাঙ্কিং-এ এক নম্বর আর্জেন্তিনার কাছে একত্রিশ নম্বরে থাকা যুক্তরাষ্ট্র যে পেরে উঠবে না, তা অনেকেই আন্দাজ করেছিলেন। তবুও নিজেদের দেশ বলে কথা, স্থানীয় মার্কিন সমর্থকরা তাদের প্রিয় দলের চমকপ্রদ কোনও পারফর্মেন্সের অপেক্ষায় ছিলেন। সে সব কিছুই হয়নি।

এ দিন ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট আর্জেন্তাইন আক্রমণের। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল। মার্কিন ডিফেন্সের ওপর দিয়ে মেসির বাড়ানো বলে হেড করেন লাবেজ্জি। ম্যাচের ৩২ মিনিটে এল মেসি মুহূর্ত। ফ্রি-কিক থেকে গোল করলেন মেসি। সেই সঙ্গে দেশের হয়ে ৫৫তম গোল করে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ভাঙলেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফের গোল আর্জেন্তিনার। ইগুয়েনের নেওয়া শটটি প্রথম প্রচেষ্টায় মার্কিন গোলকিপার বাঁচালেও, শেষরক্ষা হয়নি। ইগুয়েনই ফিরতি বলটাকে মার্কিন জালে জড়ান। ৮৬ মিনিটে চতুর্থ এবং জয়সূচক গোলটি করেন ইগুয়েন। তবে তাতেও অবদান মেসির। মার্কিন ডিফেন্সের মিস পাসের সুযোগ নেন মেসি। এগিয়ে দেন গোলের মুখে পৌঁছে যাওয়া ইগুয়েনের কাছে। ম্যাচে এমনই দাপট ছিল আর্জন্তিনার যে গোটা ম্যাচে গোলে একটাও শট নিতে পারেনি মার্কিনরা। আগামী কাল, বৃহস্পতিবার চিলে আর কোলোম্বিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে অন্য সেমিফাইনালটি।

ইউরো: আকস্মিক হার স্পেনের

ইউরোয় অঘটন। ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে গেল স্পেন। ম্যাচের শুরু থেকে কিছু ভুল-ত্রুটি থাকলেও দাপট দেখাচ্ছিল স্পেন আক্রমণ। ম্যাচের সাত মিনিটে আলভারো মোরাতার গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। এর পরই স্প্যানিশ ডিফেন্সের ভুল বোঝাবুঝির ফলে প্রায় গোল খেয়ে যাচ্ছিল স্পেন। পোস্টে লেগে ফিরে আসে ইবান রাকিতিচের বাড়ানো বল। বিরতির ঠিক আগেই ক্রোয়েশিয়ার হয়ে গোল শোধ করেন নিকোলা কালিনিচ। ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট তিনেক আগে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন রাকিতিচ। এই জয়ের ফলে গ্রুপ ‘ডি’র শীর্ষে থেকে কোয়ার্টারে উঠল ক্রোয়েশিয়া। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করল স্পেন।

dailyhunt

খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল

বিজ্ঞাপন