এক. মাত্র দু’বছর আগের কথা। বেলো হরিজন্তে খেলা শুরুর আধঘণ্টার মধ্যে ৫-০ পিছিয়ে পড়েছিল ব্রাজিল। ম্যাচ শেষ হয়েছিল ৭-১ ফলাফলে। বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল, তার ওপর দেশের মাটিতে। পেলে, গ্যারিঞ্চা, জিকো, রোনাল্ডোদের দেশের মানুষের পক্ষে বিষয়টা মেনে নেওয়া কতটা কঠিন ছিল, তা বলে বোঝানোর দরকার পড়ে না।
দুই. চোটের জন্য ২০১৪ সালের সেই বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে জার্মানির বিরুদ্ধে মাঠের বাইরেই ছিলেন নেইমার।
তিন. পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ী ব্রাজিল কখনও অলিম্পিকে সোনা জেতেনি। ১৯৮৪, ১৯৮৮ এবং ২০১২ সালে তারা ফাইনালে উঠেও হেরে যায়।
এত সব ইতিহাস পেছনে রেখে অলিম্পিক শেষ হওয়ার আগের রাতে মারকানা স্টেডিয়ামে নেমেছিল ব্রাজিল, নেমেছিলেন নেইমার। ইতিহাসের মোড় ঘোরানোর এমন মঞ্চ তো রোজ রোজ আসে না।
শেষটা তেমনই হল, যেমনটা ব্রাজিল চেয়েছিল । শেষটা তেমনই হল, যেমনটা হলেই হয়তো ঠিক হয় বলে মনে করছিল গ্রহের অধিকাংশ ফুটবলপ্রেমী। তবে টাইব্রেকার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল।
২৭ মিনিটের মাথায় নেইমারের দুরন্ত ফ্রিকিকে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। তবে খেলা এক ঘণ্টা পেরনোর আগেই সমতা ফিরিয়ে আনের জার্মান অধিনায়ক ম্যাক্সিমিলিয়ান মেয়ের। ব্যস, তারপর আর গোল হয়নি । অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত ১-১ থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। জার্মানির নিল পিটারসন পঞ্চম শটটি মিস করার পর নেইমার মারতে গেলেন এবং দেশের সোনালি ফুটবল ইতিহাসটাকে আরও কিছুটা উজ্জ্বল করে দিলেন। ৫-৪ গোলে অলিম্পিক সোনা এল হলুদ জার্সির দেশে।
এতদিন এমন দুটি দেশ ছিল, যারা বিশ্বকাপ ফুটবল জিতেছে কিন্তু অলিম্পিক ফুটবলে সোনা জেতেনি। এখন থেকে সংখ্যাটা কমে হল এক। অন্য দেশের নামটা জানতে চান ? বেশ। ইতিহাস জড়ানো এই গল্পের শেষটাও না হয় ইতিহাসের ছোঁয়া দিয়েই হোক। পূর্ব ও পশ্চিম মিশে যাওয়ার পর এখনও অলিম্পিক সোনা অধরা জার্মানদের।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।