বাংলাদেশ: ১৪০-৮ (নাজমুল হোসেন শান্ত ৪১, তওহিদ হৃদয় ৪০, প্যাট কামিন্স ৩-২৯, অ্যাডাম জাম্পা ২-২৪)
অস্ট্রেলিয়া: ১০০-২ (১১.২ ওভার) (ডেভিড ওয়ার্নার ৫৩ নট আউট, ট্র্যাভিস হেড ৩১, রিশাদ হোসেন ২-২৩)
খবর অনলাইন ডেস্ক: বোলিং-এ জাদু দেখালেন প্যাট কামিন্স। টি২০ বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। মূলত তাঁর ও অ্যাডাম জাম্পার বোলিং-জাদুতে ১৫০-এই শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের ইনিংস। জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। সৌজন্যে ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটিং। কিন্তু বৃষ্টি বাধ সাধল। সরাসরি জিততে দিল না। শেষ পর্যন্ত প্রয়োগ করা হল ডিএলএস। আর তাতেই অস্ট্রেলিয়া ২৮ রানে হারাল বাংলাদেশকে। অস্ট্রেলিয়ার দুর্ভাগ্য একটাই, সরাসরি জেতা হল না।
কী ভাবে হ্যাটট্রিক হল কামিন্সের
অ্যান্টিগুয়ার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে আয়োজিত গ্রুপ ‘১’-এর ম্যাচে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। শূন্য রানে মিশেল স্টার্কের বলে তানজিদ হাসান বোল্ড হন। বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে তখনও কোনো রান ওঠেনি। কিন্তু পরিস্থিতি সামলে দিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। লিটন দাসকে পাশে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করলেন ৫৮ রান। তার পর ঘন ঘন উইকেট পড়া। এরই মধ্যে পাঁচিল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত (৩৬ বলে ৪১ রান)। তার পরে তওহিদ হৃদয় (২৮ বলে ৪০ রান)।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত খেল দেখালেন প্যাট কামিন্স। নিজের তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে আউট করলেন মাহমুদুল্লাহকে, পরের বলেই তাঁর শিকার মেহেদি হাসান। তার পর চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই তওহিদ হৃদয়কে তুলে নিলেন কামিন্স। বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল ১৪০ রানে।
বাকি কাজ সারল ডিএলএস
জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছোতে দ্রুত রান করতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার এবং ট্র্যাভিস হেড ৬.৫ ওভারে তুলে ফেলেন ৬৫ রান। কিন্তু রিশাদ হোসেনের বলে বোল্ড হন হেড। দলের স্কোরের সঙ্গে ৪ রান যোগ হতেই আবার আঘাত হানেন রিশাদ। এবার এলবিডব্লিউ অধিনায়ক মিশেল মার্শ। তবে বাকি কাজটা সেরে ফেলতে উদ্যোগী হন ওয়ার্নার (৩৫ বলে ৫৩ নট আউট) আর গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৬ বলে ১৪ নট আউট)। দু’জনে যখন দলের রান ১০০-তে পৌঁছে দিয়েছেন তখনই বৃষ্টি নামে। বাকি কাজটা সমাধা করে ডিএলএস।
আরও পড়ুন
আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ ২০২৪: ‘সুপার ৮’-এর খেলায় আফগানিস্তানকে ৪৭ রানে হারাল ভারত