ভারত: ১৮০ ও ১৭৫ (নীতীশ কুমার রেড্ডি ৪২, প্যাট কামিন্স ৫-৫৭, স্কট বোল্যান্ড ৩-৫১, মিচেল স্টার্ক ২-৬০)
অস্ট্রেলিয়া: ৩৩৭ (ট্র্যাভিস হেড ১৪০, মার্নাস লাবুশানে ৬৪, জসপ্রীত বুমরাহ ৪-৬১, মহম্মদ সিরাজ ৪-৯৮) ও ১৯ (বিনা উইকেটে)
অ্যাডিলেড ওভাল: খাতায়-কলমে হয়তো ইনিংস জয় নয়, কিন্তু কার্যত ইনিংস জয়ই। কারণ ১০ উইকেটে জয় তো। অ্যাডিলেড ওভালে গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্টে সহজেই খতম হয়ে গেল রোহিত শর্মার ভারত। আর এই জয়ের মূলে সবচেয়ে বড়ো অবদান অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৭ রান দিয়ে ৫টা উইকেট তুলে নিলেন তিনি। আর এই কাজে কামিন্সের পাশে থেকেছেন স্কট বোল্যান্ড (৫১ রানে ৩ উইকেট) এবং মিচেল স্টার্ক (৬০ রান দিয়ে ২ উইকেট)।
অ্যাডিলেড ওভালে এই জয়ের মাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচ টেস্টের সিরিজে সমতা ফেরাল অস্ট্রেলিয়া। একই সঙ্গে দিন-রাতের টেস্টে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখল তারা এবং এই মাঠে ভারত আরও একবার লজ্জার হারে মাথা নত করল।
দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষে ভারতের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১২৮। রোহিতদের হাতে ছিল ৫ উইকেট। ইনিংস হার বাঁচাতে দরকার ছিল ২৯ রান। তখনই বোঝা গিয়েছিল রোহিতবাহিনী হার এড়াতে পারবে না। কিন্তু তারা যে এত সহজে হার মেনে নেবে তা বোঝা যায়নি।
রবিবার তৃতীয় দিনের প্রথম ওভারেই ঋষভ পন্থ (২৮) আউট হয়ে যান। এর পর একে একে বিদায় নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৭) ও হর্ষিত রানা (ও)। একমাত্র নীতীশ কুমার রেড্ডি এক দিকটা আগলে রেখে চেষ্টা করছিলেন দলের ইনিংস যতটা সম্ভব এগিয়ে নিয়ে যেতে। কিন্তু দলের ১৬৬ রানের মাথায় নীতীশ ব্যক্তিগত ৪২ রান করে ফিরে যেতেই অস্ট্রেলিয়া নিশ্চিন্ত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৭৫ রানে।
অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৯ রান। তারা সেই রান কোনো উইকেট না খুইয়ে ৩.২ ওভারে তুলে নিল। অ্যাডিলেডে খেলা হল মোট ১৭১.২ ওভার। পাঁচ দিনের টেস্ট দু’ দিনের সামান্য একটু বেশি সময়ে শেষ হয়ে গেল। এই ম্যাচই ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম সময় শেষ হওয়া টেস্ট। এই টেস্টে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন ট্র্যাভিস হেড অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে ১৪০ রান করার সুবাদে। আগামী ১৫ ডিসেম্বর রবিবার থেকে ব্রিসবেনে শুরু হবে দু’দলের তৃতীয় টেস্ট।