শ্রীলঙ্কা: ৯৩-৭ (নীলাক্ষিকা সিলভা ২৯ নট আউট, মেগান শুট ৩-১২), অস্ট্রেলিয়া: ৯৪-৪ (১৪.২ ওভারে) (বেথ মুনি ৪৩ নট আউট, সুগন্দিকা কুমারী ১-১৬)
ইংল্যান্ড: ১১৮-৭ (ড্যানি ওয়াট-হজ ৪১, ফহিমা খাতুন ২-১৮), বাংলাদেশ: ৯৭-৭ (শোভনা মোস্তারি ৪৪, লিনসে স্মিথ ২-১১)
শারজা: শনিবার মহিলা টি২০ বিশ্বকাপের দুটি খেলায় অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে হারাল শ্রীলঙ্কাকে এবং ইংল্যান্ড ২১ রানে বাংলাদেশকে। এদিন দুটি খেলাই অনুষ্ঠিত হয় শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
টসে জিতে ম্যাচ হারল শ্রীলঙ্কা
এদিন গ্রুপ ‘এ’-র খেলায় টসে জিতে ব্যাট নেয় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণের সামনে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। রান ওঠার গতিও ছিল খুব মন্থর। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা তোলে ৭ উইকেটে ৯৩ রান। অস্ট্রেলিয়ার আক্রমণের সামনে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন হরষিত সমরবিক্রম এবং নীলাক্ষিকা সিলভা। দলের ৬ রানের মাথায় দুই ওপেনারকে হারানোর পর দলের পতন কিছুটা ঠেকানোর চেষ্টা করেন হরষিত (৩৫ বলে ২৩ রান)। এতে হরষিতের সঙ্গী ছিলেন কবিশ দিলহারি এবং নীলাক্ষিকা। এঁদের সঙ্গে শেষের দিকে কিছুটা সাথ দেন অনুষ্কা সঞ্জিবনী (১৫ বলে ১৬ রান)। শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে যায় ৭ উইকেটে ৯৩ রানে। মেগান শুট (১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট) এবং সফি মলিনক্সের (২০ রান দিয়ে ২ উইকেট) মোকাবিলাই করতে পারেননি শ্রীলঙ্কার ব্যাটাররা। একমাত্র ৪০ বলে ২৯ রান করে নট আউট থাকেন নীলাক্ষিকা।
জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৯৪ রান অস্ট্রেলিয়া ৩৪ বল বাকি থাকতেই তুলে নেয়। ১৪.২ ওভারে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় তারা, বিনিময়ে হারায় ৪টি উইকেট। অস্ট্রেলিয়াও প্রথম দিকে বিপর্যয়ে পড়ে। ৩৫ রানের মধ্যে তারা ৩টি উইকেট হারায়। তবে অন্যতম ওপেনার বেথ মুনি অবিচল ছিলেন আগাগোড়া। ৩৫ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ার পর বেথ মুনির সঙ্গী হল অ্যাসলে গার্ডনার। তবে রান আসে মূলত মুনির ব্যাট থেকেই। দলের ৭৮ রানের মাথায় গার্ডনার আউট হয়ে যাওয়ার পর ফোবে লিচফিল্ডকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ে পৌঁছে দেন মুনি। তিনি ৩৮ বলে ৪৩ রান করে নট আউট থাকেন। ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হল মেগান শুট।
অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কার খেলায় প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ মেগান শুট। ছবি T20 World Cup ‘X’ ত্যহেকে নেওয়া।
টসে জিতে ম্যাচ জিতল ইংল্যান্ড
গ্রুপ ‘বি’-র ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা করে ৭ উইকেটে ১১৮ রান। খুব যে ভালো স্কোর তা নয়। কিন্তু বাংলাদেশ এই স্কোর তাড়া করে জিততে ব্যর্থ হল। ইংল্যান্ড শুরুটা খুব ভালো করেছিল। ৬.৪ ওভারে তারা তোলে ৪৮ রান। দলের ৪৮ রানে অন্যতম ওপেনার মাইয়া বৌচির (১৮ বলে ২৩ রান) আউট হতেই একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে। একমাত্র আর-এক ওপেনার ড্যানি ওয়াট-হজ (৪০ বলে ৪১ রান) একদিক সামলে রেখে ব্যাট করে যান। এরপরে অ্যামি জোনস (১৬ বলে ১২ নট আউট) ছাড়া ইংল্যান্ডের কোনো ব্যাটারই দু’ অঙ্কের রানে পৌঁছোতে পারেননি। বাংলাদেশের চার বোলার ফহিমা খাতুন (২-১৮), ঋতু মণি (২-২৪), নাহিদা আক্তার (২-৩২) এবং রাবেয়া খান (১-১৫) ইংল্যান্ডের উইকেটগুলি ভাগ করে নেন।
জয়ের লক্ষ্যমাত্রা সাংঘাতিক কিছু ছিল না। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রাতেও পৌঁছোতে ব্যর্থ হল বাংলাদেশ। তিন নম্বরে নামা শোভনা মোস্তারি (৪৮ বলে ৪৪ রান) এবং চার নম্বরে নামা অধিনায়ক নিগার সুলতানা (২০ বলে ১৫ রান) ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো ব্যাটার দু’ অঙ্কের রানে পৌঁছোতে পারলেল না। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়ে যাওয়ায় রান ওঠার গতিও বাড়ানো গেল না। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ৯৭ রান করে ২১ রানে তারা হার স্বীকার করল ইংল্যান্ডের কাছে। বাংলাদেশের ৭টি উইকেটও ভাগাভাগি করে নিলেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন ড্যানি ওয়াট-হজ।