বাংলাদেশ: ১০৭-৩ (মমিনুল হক ৪০ নট আউট, নাজমুল হোসেন শান্ত ৩১, আকাশদীপ ২-৩১)
লখনউ: প্রচণ্ড বৃষ্টি, তার সঙ্গে আলোর অভাব। ৩৫ ওভারের পর পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হল ভারত-বাংলাদেশ ২য় টেস্টের প্রথম দিনের খেলা। স্কোরবোর্ডে তখন বাংলাদেশের রান ৩ উইকেট খুইয়ে ১০৭। ব্যাট করছেন মমিনুল হক (৪০ রান) এবং মুসফিকুর রহিম (৬ রান)
সারারাত ধরে বৃষ্টির ফলে মাঠে ভিজে ছিল। সেই কারণে শুক্রবার কানপুরের গ্রিন পার্কে টস করতে ঘণ্টাখানেক দেরি হয়। টসে ভারত জেতে এবং মেঘলা আকাশ দেখে ফিল্ডিং নিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ২০১৫-এর পর এই প্রথম ঘরের মাঠে টস জিতে ভারত ফিল্ডিং নিল।
চেন্নাই টেস্টে ভারতের যে দল ছিল তার কোনো পরিবর্তন করা হয়নি। কানপুরের আবহাওয়া দেখে দলে তিনজন সিমার রাখা হয়েছে। তা ছাড়া গ্রিন পার্কে যতটা ঘাস থাকে এবার তার চেয়ে বেশি ঘাস আছে। আর বাংলাদেশ পুরো উলটো পথে হেঁটেছে। তাদের দলে রয়েছে তিনজন স্পিনার এবং তারা প্রথমেই ব্যাট করতে চেয়েছিল।
উইকেট তুললেন আকাশদীপ আর অশ্বিন
ভারতের হয়ে বোলিং ওপেন করেন জসপ্রীত বুমরাহ এবং মহম্মদ সিরাজ। বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট করতে আসেন জাকির হাসান এবং শাদমান ইসলাম। প্রথম ৭ ওভার বল করেন বুমরাহ ও সিরাজ। বাংলাদেশ প্রথম ৭ ওভারে ২১ রান করলেও জাকির তাঁর খাতা খুলতে পারেননি। এর পর সিরাজকে সরিয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে আনা হয় এবং বুমরাহকে সরিয়ে আনা হয় আকাশদীপকে। আকাশদীপ তাঁর প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই সাফল্য পেয়ে যান। স্লিপে যশস্বী জয়সোয়ালকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান জাকির। কোনো রান করতে পারেননি তিনি।
বৃষ্টি নামল মুষলধারে। ছবি BCCI ‘X’ থেকে নেওয়া।
শাদমানের সঙ্গী হন মমিনুল হক। কিন্তু শাদমান আর বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি উইকেটে। নিজের ঝুলিতে আবার উইকেট ভরেন আকাশদীপ। দলের ত্রয়োদশ ওভার এবং নিজের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে শাদমানকে এলবিডব্লিউ করেন আকাশদীপ। বাংলাদেশের রান তখন ২৯-২। এর মধ্যে শাদমানেরই ২৪ রান।
মমিনুলের সঙ্গী হন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। দলের পরিস্থিতি বেশ কিছুটা সামলান দুজনে। দলকে ক্রমশ বিপদ থেকে বের করে আনেন তাঁরা। দুজনে অবিচ্ছেদ্য থেকে যখন তাঁরা মধ্যাহ্নভোজনে প্যাভিলিয়নে যান তখন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে মধ্যাহ্নভোজনের পর খেলা শুরু করতে মিনিটপনেরো দেরি হয়। তবে খেলা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তৃতীয় উইকেট পড়ে বংলাদেশের। তৃতীয় উইকেটে ৫১ রান ওঠার পর অশ্বিনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে বিদায় নেন শান্ত। ৩১ রান করে দলের ৮০ রানে ফিরে যান শান্ত। মুসফিকুর সঙ্গী হন মমিনুলের।
মমিনুল এবং মুসফিকুর ধীরে ধীরে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। কিন্তু আবার আকাশ কালো করে আসে। আলোর অভাবে খেলা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। একটু পরেই নামে মুষলধারে বৃষ্টি। স্থানীয় সময় বিকেল ৩টে নাগাদ এদিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।