ভারতীয় ক্রিকেট দল ২০২৫ সালে পাকিস্তানে আয়োজিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে যাবে না। ইএসপিএনক্রিকইনফো সূত্রে খবর, ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) এ কথা জানিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)-কে।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মূল আয়োজক পাকিস্তান। এই টুর্নামেন্টের জন্য পাকিস্তানে তিনটি ভেন্যুতে খেলা হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে বিসিসিআই তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়ে বলেছে যে, ভারতের জাতীয় দল পাকিস্তানে যাবে না। ভারতের সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এমন সিদ্ধান্তের পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এবং আইসিসি-কে বিকল্প পরিকল্পনা করতে হবে। বলে রাখা ভালো, ২০২৩ সালের এশিয়া কাপও একটি “হাইব্রিড মডেল”-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা যৌথ ভাবে আয়োজন করেছিল। কারণ বিসিসিআই তখনও পাকিস্তানে দল পাঠাতে রাজি ছিল না।
বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, বিসিসিআই তাদের এই সিদ্ধান্তটি মৌখিক ভাবে আইসিসিকে জানিয়েছে, তবে এখনও লিখিত কোনো ঘোষণা করা হয়নি। আইসিসি হয়তো লিখিত রূপে এই তথ্যটি পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মোহসিন নকভি সম্প্রতি জানান যে, এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি এখনও পিসিবি পায়নি। এ ছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন যে, কোনো “হাইব্রিড মডেল” নিয়ে আলোচনা হয়নি এবং পিসিবি এই মডেল গ্রহণ করার পক্ষে নেই।
শুক্রবার গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এক প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলেন, “গত দু’মাসে ভারতীয় মিডিয়া বলে আসছে যে পাকিস্তানে যাবে না ভারত। কিন্তু আমাদের সঙ্গে এখনও এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, আমরা কোনো মৌখিক তথ্য চাই না, বরং লিখিত আকারে তাদের আপত্তি জানানো উচিত।”
নকভি আরও জানান, ভারতের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তির চিঠি এলে তিনি পাকিস্তানের সরকারকে এই বিষয়ে জানাবেন এবং তাঁদের সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, পাকিস্তান আগে ভারতের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব দেখিয়েছে, কিন্তু যদি ভারত পাকিস্তানে খেলতে না আসে, তাহলে এই ধরনের বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব প্রত্যাশা করা উচিত নয়।
এরই মধ্যে গুঞ্জন, যদি শেষপর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে খেলা পরিচালনা করা হয়, তাহলে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে ভারতের ম্যাচগুলো আয়োজন করা যেতে পারে। পাশাপাশি, শ্রীলঙ্কাও একটি বিকল্প হিসেবে রয়েছে।