ক্রিকেট
কেন্দ্রের নির্দেশের পর আইপিএল নিয়ে আশার আলো

খবর অনলাইনডেস্ক: চতুর্থ দফার লকডাউনে (Lockdown) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তার পর আইপিএল নিয়ে আশার আলো দেখছে বিসিসিআই (BCCI)। যদিও এখনও হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে ৩১ মে পর্যন্ত ‘ধীরে চলো নীতিই’ নিচ্ছে তারা।
উল্লেখ্য, রবিবার কেন্দ্র তাদের নির্দেশিকায় জানিয়েছে স্টেডিয়াম বা খেলার কমপ্লেক্স খুলতে পারবে। যদিও দর্শকদের প্রবেশ এখনও নিষিদ্ধই থাকবে। খেলোয়াড়রা যাতে অনুশীলনের দিকে নজর দিতে পারে, সেই কারণেই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদিও ভারতীয় ক্রিকেটারদের অনুশীলন এখনই শুরু করা হবে না বলেই জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই। এর কারণ উড়ান পরিষেবা এখনও বন্ধ থাকা।
বিসিসিআইের কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমল (Arun Dhumal) এক বিবৃতিতে বলেছেন, “যে হেতু ৩১ মে পর্যন্ত বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, মানুষও সব জায়গায় যেতে পারবেন না, তাই বোর্ডও অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের নিয়ে এখনই কোনো ট্রেনিং ক্যাম্প হচ্ছে না।”
তিনি যোগ করেন, “ক্রিকেটার থেকে সার্পোট স্টাফ, সবারই নিরাপত্তা আমাদের কাছে আগে। তাই আমরা তাড়াহুড়ো করে এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেব না, যাতে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে দেশের সার্বিক লড়াইয়ে কোনোরকম ক্ষতি হয়।”
তবে এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে যাতে অনুশীলন শুরু করা যায়, তার জন্য বিভিন্ন রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলির কাছেও নির্দেশিকা পাঠাচ্ছে বিসিসিআই।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের (Coronavirus) তাণ্ডবের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রয়েছে এ বারের আইপিএল। তবে সরকারি ভাবে এখনও বাতিল করা হয়নি। আইপিএল বাতিল করলে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে বিসিসিআই।
ক্রিকেট
T20 World Cup 2021: কলকাতা নয়, ফাইনালের জন্য বাছাই অমদাবাদ
মোহালিতে কেন ম্যাচ নয়, শুরু বিতর্ক।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: ২০১৬ সালের টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল আয়োজিত হয়েছিল কলকাতায়। তবে এ বার সেই সুযোগ কলকাতা থেকে চলে যাবে অমদাবাদে। দেশের মাটিতে আসন্ন টি২০ বিশ্বকাপের জন্য মোট ৯টি কেন্দ্রকে বাছাই করেছে বিসিসিআই। এর মধ্যে অমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামকে ফাইনালের জন্য বাছাই করা হয়েছে।
বাকি যে ৮টা মাঠে বিশ্বকাপের খেলা হবে, সেগুলি হল কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, ধরমশালা এবং লখনউ।
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামকেই যে ফাইনালের জন্য বাছাই করা হত, সেটা আন্দাজ করাটা বিশেষ সমস্যার নয়। দেশের প্রধানমন্ত্রীর নামের নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামটি গোটা বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম স্টেডিয়াম। ১ লক্ষ ২০ হাজার মানুষ বসতে পারেন এই নবনির্মিত স্টেডিয়ামে। ফলে ফাইনালের জন্য এটি এমনিতেই আদর্শ।
তবে এর মধ্যে একটি ছোটোখাটো বিতর্কও থেকে যায়। চণ্ডীগড়ের মোহালিকে কেন বাদ দেওয়া হল এই তালিকা থেকে? যে স্টেডিয়ামে ২০১১ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল হয়েছিল ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে, তাকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়ে যাচ্ছে।
তবে এর মধ্যে কিছু ভালো খবরও রয়েছে। টি২০ বিশ্বকাপে অংশ নিতে ভারতে আসবে পাকিস্তান। পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের ভিসা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না বলেই আশ্বাস দিয়েছেন বিসিসিআইয়ের আপেক্স কাউন্সিলের এক সদস্য। তবে তিনি আরও বলেন, “পাকিস্তান দলের ভারতে আসা নিয়ে আর কোনো সমস্যা নেই। তবে তাদের সমর্থকরা ভারতে এসে খেলা দেখতে পারবেন কি না, সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।”
এ বছর অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ভারতে আয়োজিত হতে চলেছে টি২০ বিশ্বকাপ। বিসিসিআইয়ের আশা, করোনা পরিস্থিতি তত দিনে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এসে যাবে। ফলে স্টেডিয়ামে বসেই খেলা দেখতে পাবেন দর্শকরা।
খবরঅনলাইনে আরও পরতে পারেন
IPL 2021: দীপক চাহরের বিধ্বংসী বোলিং, চেন্নাইয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল পঞ্জাব
ক্রিকেট
IPL 2021: দীপক চাহরের বিধ্বংসী বোলিং, চেন্নাইয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল পঞ্জাব
৪৬ রান করে নজর কাড়েন মঈন আলি।


পঞ্জাব: ১০৬-৮ (শাহরুখ ৪৭, রিচার্ডসন ১৫, চাহর ৪-১৩)
চেন্নাই: (মঈন ৪৬, দু’প্লেসি ৩৬ অপরাজিত, শামি ২-২১ )
খবরঅনলাইন ডেস্ক: দীপক চাহরের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে কার্যত অসহায় আত্মসমর্পণ করল পঞ্জাব কিংস। অসহায় অবস্থা কাটিয়ে উঠে অবশেষে জয়ে ফিরল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপারকিংস।
ভারতীয় দলের হয়ে বেশ কয়েকটি টি২০ ম্যাচ খেলেছেন দীপক চাহর। যথেষ্ট নামডাকও করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেটা ছিল ২০১৯-এর কথা। গত বছর ভারতের জার্সি গায়ে পরতে দেখা যায়নি তাঁকে। কিন্তু চাহর যে কোনো ভাবেই ফুরিয়ে যাননি সেটাই বোঝা গেল এ বার।
একার হাতে পঞ্জাবের ইনিংস ভেঙে দিলেন চাহর। বৃহস্পতিবার ম্যাচের শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে পঞ্জাব ব্যাটিং। একে একে প্যাভিলিয়নের পথ দেখেন ময়াঙ্ক অগ্রবাল, ক্রিস গেল, কেএল রাহুল, নিকোলাস পুরান এবং দীপক হুডা। তিরিশ রানে পৌঁছোনোর আগেই পাঁচ উইকেট হারায় পঞ্জাব। এর মধ্যে শুধুমাত্র রাহুল রান আউট হয়েছিলেন। বাকিরা সবাই চাহরের শিকার।
এর পর ঝাই রিচার্ডসনকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্জাবের ইনিংস সামাল দেন শাহরুখ খান। এই বছরের শুরুতে সঈদ মুস্তাক আলি টুর্নামেন্টে তামিলনাড়ুর হয়ে দুরন্ত খেলেছিলেন শাহরুখ। তার পরেই আইপিএলের নিলামে তাঁকে তুলে নেয় প্রীতি জিন্টার পঞ্জাব। প্রীতির দলে শাহরুখের আগমন নিয়ে যথেষ্ট কথাবার্তা হয়েছিল।
ব্যাটিংটা তিনি যে খুব ভালোই করেন, সেটা এ দিন বোঝা গেল। দলের রানের প্রায় অর্ধেকই এসেছে শাহরুখের ব্যাট থেকে। দল বিপদে পড়লেও সাহস করে ছক্কাও লাগিয়েছেন এই তরুণ। অর্ধশতরান প্রায় করেই ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু তিন রান দূরেই তাঁকে থামিয়ে দেন স্যাম কারান। শাহরুখ ছিলেন বলেই একশো পার করতে পেরেছিল পঞ্জাব। না হলে অনেক আগেই থেমে যেত তাদের ইনিংস।
গত বারের লজ্জাজনক পারফরম্যান্সের পর এ বারও প্রথম ম্যাচে দিল্লির বিরুদ্ধে হার। এই ধাক্কা সামলে ওঠার চ্যালেঞ্জ ছিল চেন্নাইয়ের কাছে। চেন্নাইয়ের সেই লক্ষ্যটা অনেকটাই সহজ করে দিল পঞ্জাব।
এত কম রানের পুঁজি নিয়ে টি২০-তে কোনো দলই তার বিপক্ষকে আটকে রাখতে পারে না। পঞ্জাবও সেটা পারেনি। চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানরা খুব সহজেই রান তাড়া করেন। তবে শুরুতে কিছুটা ধাক্কা খেয়েছিল হলুদ জার্সিধারীরা। পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ঋতুরাজ গায়েকওয়াড়কে ফিরিয়ে চেন্নাইকে একটু ধাক্কা দেন অর্শদীপ সিংহ।
এর পর অবশ্য চেন্নাইয়ের রান ক্রমশ বাড়তে থাকে। মঈন আলি এবং ফাফ দু’প্লেসি মিলে দলের স্কোরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। দুরন্ত জুটি তৈরি হয় দু’জনের মধ্যে। চেন্নাইয়ের হয়ে খুব মূল্যবান ক্রিকেটারে পরিণত হচ্ছেন মঈন। দিল্লির বিরুদ্ধে আগের ম্যাচেও ভালো ব্যাট করেছিলেন তিনি। এ বার আরও ঝকঝকে একটা ইনিংস খেললেন তিনি।
জয়ের লক্ষ্যমাত্রা থেকে মাত্র ১৭ রান দূরে মুরুগান অশ্বিনের শিকার না হলে আইপিএল কেরিয়ারের আরও একটি অর্ধশতরান করে ফেলতে পারতেন মঈন। তবে ততক্ষণে চেন্নাইয়ের ম্যাচ জয় ছিল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু নতুন নাটকের আমদানি করেন মহম্মদ শামি।
দলের স্কোর যখন ৯৯, তখনই পর পর দু’ বলে রায়না এবং রায়ুড়ুকে ফিরিয়ে ম্যাচ কিছুটা জমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন শামি। তবে রানের পুঁজি এতটাই কম ছিল, যে নতুন কোনো নাটকের অবকাশ ছিল না। শেষে স্যাম কারান একটা চার মেরে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।
ক্রিকেট
BCCI Contracts: বেতন বাড়ল হার্দিকের, বোর্ডের চুক্তিতে ঢুকলেন শুভমন, সিরাজ
চুক্তিতে নিজের জায়গা ধরেই রেখেছেন ঋদ্ধিমান সাহা।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: নতুন মরশুমের জন্য ভারতীয় ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশ করল বিসিসিআই। অন্য বারের মতো এ বারও তালিকায় নতুন কিছু সংযোজন হয়েছে, কেউ কেউ বাদও পড়েছেন। নতুন তালিকা অনুযায়ী মোট ২৮ জনকে কেন্দ্রীয় চুক্তির অধীনে আনা হয়েছে।
করোনার কারণে গত বছরের বেশির ভাগ সময়েই কোনো খেলা হয়নি। তার পরে অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দেশকে সিরিজ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন তরুণ ক্রিকেটাররা। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তাঁদের সেই পরিশ্রমের পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
প্রথম বার বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে এলেন শুভমন গিল, অক্ষর পটেল, মহম্মদ সিরাজ। প্রত্যেকেই রয়েছেন গ্রেড সি-তে। অর্থাৎ প্রত্যেকে পাবেন ১ কোটি টাকা করে।
এ বারের চুক্তিতে লাভ হয়েছে হার্দিক পাণ্ড্যর। চোটের কারণে এখনও বোলিং ঠিক ভাবে করতে না পারলেও গ্রেড বি থেকে গ্রেড এ-তে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। ভুবনেশ্বর কুমারের ক্ষেত্রে হয়েছে ঠিক উল্টোটা। তিনি ‘এ’ থেকে ‘বি’-তে নেমেছেন।
তবে গ্রেড এ+ বিভাগে এ বার কোনো পরিবর্তন হয়নি। সেখানে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা এবং যশপ্রীত বুমরাহ রয়েছেন। চুক্তিতে নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা।
পুরো তালিকা:
গ্রেড এ+ (৭ কোটি) : বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, যশপ্রীত বুমরা
গ্রেড এ (৫ কোটি): রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাডেজা, চেতেশ্বর পূজারা, অজিঙ্ক রহানে, শিখর ধওয়ান, কেএল রাহুল, মহম্মদ সামি, ইশান্ত শর্মা, ঋষভ পন্থ, হার্দিক পাণ্ড্য।
গ্রেড বি (৩ কোটি): ঋদ্ধিমান সাহা, উমেশ যাদব, ভুবনেশ্বর কুমার, শার্দূল ঠাকুর, ময়াঙ্ক আগরওয়াল।
গ্রেড সি (১ কোটি): কুলদীপ যাদব, নবদীপ সাইনি, দীপক চাহার, শুভমন গিল, হনুমা বিহারী, অক্ষর পটেল, শ্রেয়স আইয়ার, ওয়াশিংটন সুন্দর, যজুবেন্দ্র চহাল এবং মহম্মদ সিরাজ।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
IPL 2021: সব থেকে দামী ক্রিকেটারের সব চেয়ে দামী ইনিংস, হারার মুখ থেকে ম্যাচ বের করল রাজস্থান
-
রাজ্য6 hours ago
Bengal Polls Live: ৪টে পর্যন্ত ভোট পড়ল প্রায় ৭০ শতাংশ
-
গাড়ি ও বাইক2 days ago
Bajaj Chetak electric scooter: শুরু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরেই বুকিং বন্ধ! কেন?
-
রাজ্য1 day ago
Coronavirus Second Wave: আজ কমিশনের ডাকে সর্বদলীয় বৈঠক, ভোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের আশায় রাজ্যবাসী
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার18 hours ago
ICSE And ISC Exams: দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দিল আইসিএসই বোর্ড