ক্রিকেট
শ্রেয়স-ঝড়ের কাছে হার মানল মর্গ্যান-তাণ্ডব, কেকেআরের বিরুদ্ধে দিল্লির জয়ের হ্যাটট্রিক

দিল্লি: ২২৮-৪ (আইয়ার ৮৮ অপরাজিত, পৃথ্বী ৬৬, রাসেল ২-২৯)
কেকেআর: ২১০-৮ (নীতীশ ৫৮, মর্গ্যান ৪৪, নর্কিয়া ৩-৩৩)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: প্রথম ইনিংসে ঝড় উঠল শ্রেয়স আইয়ারের ব্যাটে। দ্বিতীয় ইনিংসে তাণ্ডব চালালেন ওইন মর্গ্যান। আইয়ার আর মর্গ্যানের এই যুদ্ধে আরও এক চারশো রানের ম্যাচের সাক্ষী থাকল শারজা। টানটান উত্তেজনার সেই ম্যাচে শেষ হাসি হাসলেন শ্রেয়স আইয়ার। গত আইপিএল থেকে এই নিয়ে পর পর তিনটে ম্যাচে কেকেআরকে হারাল দিল্লি।
৩৮ বলে ৮৮ রানে অপরাজিত থাকা অবস্থায় কোনো ব্যাটসম্যান যদি শেষ ওভারে এক বারের জন্য স্ট্রাইক না পান, তা হলে তাঁর কী মনে হতে পারে? খুব খারাপ লাগবে নিশ্চয়ই। ঠিক এমনই সম্ভবত মনে হচ্ছিল দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের।
গোটা ইনিংসে দুর্ধর্ষ খেলে আসা আইয়ার শেষে কি না শেষ ওভারে এক বারের জন্যও স্ট্রাইক পেলেন না। কে বলতে পারে, তিনি থাকলে শেষ ওভারে ৭ রানের বদলে হয়তো ২০ তুলত দিল্লি। নিজের শতরানও করে ফেলতে পারতেন তিনি।
শারজার মাঠ ছোটো কোনো সন্দেহ নেই। এটা ব্যাটসম্যানদের কাছে স্বর্গরাজ্য, সেটাও অস্বীকার করে লাভ নেই। কিন্তু প্যাট কামিন্সের মতো বিশ্বখ্যাত বোলারকে তুলে আছাড় মারা সহজ কাজ তো নয়, দম লাগে। আর সেটাই করে দেখালেন শ্রেয়স।
তবে এ দিন শুরুটা করেছিলেন পৃথ্বী শ। প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যে ৫০ তুলে ফেলে দিল্লি। তবে ষষ্ঠ ওভারে শিখর ধাওয়ান ফিরতেই রানের গতি বাড়ানোর যাবতীয় দায়িত্ব নিয়ে নেন পৃথ্বী। তিনি দুরন্ত অর্ধশতরান করে ফিরে যাওয়ার পর যাবতীয় নজর নিজের দিতে টেনে নেন শ্রেয়স। কামিন্স তো বটেই, রাজস্থানের বিরুদ্ধে ম্যাচে যে দুই বোলার কেকেআরের হয়ে সব থেকে বেশি প্রভাব ফেলেছিলেন সেই শিবম মাভি এবং কমলেশ নাগরকোটিকেও স্বস্তি দেননি শ্রেয়স।
১৬ বলে ৩৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে যান ঋষভ পন্থও। কুড়িতম ওভার যখন শুরু হচ্ছে দিল্লির, তখন নন-স্ট্রাইকারে থাকা শ্রেয়স ২৩১ রানের স্ট্রাইক রেট রেখে ৬টা ছয় এবং ৭টা চার মেরে ফেলেছেন। কেকেআর-এর হয়ে বল করতে এসে শেষ ওভারটা দুরন্ত করেন আন্দ্রে রাসেল। মাত্র সাতটা রান দেন তিনি। যদিও ততক্ষণে এই আইপিএলের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা করে ফেলেছে দিল্লি।
শারজার পিচে এই রানও যে তাড়া করে জেতা সম্ভব সেটা আগের রবিবারই দেখিয়ে দিয়েছে রাজস্থান রয়্যাল্স। আর কেকেআরের হাতে যখন আন্দ্রে রাসেল রয়েছেন তখন কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। কিন্তু রাসেলের ব্যাট এ দিন ব্যর্থ। আর রাসেলকে চুপ করিয়ে দেওয়ার পেছনে অজিঙ্ক রাহানের একটা বড়ো কৃতিত্ব।
অবাক হলেন নিশ্চয়? যে রাহানে দিল্লির প্রথম একাদশে খেলছেনই না, তাঁর অবদান কী করে থাকতে পারে?
আসলে আমিরশাহির গরম সবার শরীরের ওপরেই প্রভাব ফেলছে। ৮৮ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংসটা খেলার পর শ্রেয়স আইয়ার এতটাই ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলেন যে ফিল্ডিংয়ের সময়ে মাঠেই নামেননি। পরিবর্তে দ্বাদশ ব্যক্তি রাহানে নামেন এবং তিনিই দলের অধিনায়কত্বের ভার সামলান। শুরু থেকেই বার বার বোলিং পরিবর্তন করে নজর কেড়েছেন রাহানে।
সুনীল নারিনের ব্যাট এ দিনও চলেনি। অথচ সব কিছু তাঁরই পক্ষে ছিল এ দিন। বাউন্ডারি লাইন এতটাই কাছাকাছি ব্যাটের কোনায় লেগে চার তো বটেই, ছয়ও হয়ে যেতে পারে। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে ফিরে যান তিনি। এর পর শুভমান গিল আর নীতীশ রানা মিলে কেকেআরের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে গেলেও আস্কিং রেটের থেকে পিছিয়েই ছিলেন।
অন্য দিকে পেস-স্পিনের জাল তৈরি করে কেকেআরকে আটকানোর চেষ্টা করছিলেন রাহানে। নবম ওভারের প্রথম বলে শুভমান গিল ফিরতেই চার নম্বরে নামানো হয় রাসেলকে। তাঁর আদর্শ জায়গা। এসেই ধুমধাড়াক্কা ব্যাট চালাবেন। আর এই মাঠে তিনি ব্যাট চালালে বল যে স্টেডিয়ামের সীমানা অতিক্রম করে পাশের রাস্তায় গিয়ে পড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
কিন্তু রাহানেও তৈরি ছিলেন। দশম ওভারে নিয়ে এলেন কাগিসো রাবাদাকে। চরম পেসের বিরুদ্ধে রাসেলের থেকে চরম দুর্বলতা রয়েছে সেটা বেশির ভাগ অধিনায়কের কাছে আর অজানা নয়। রাজস্থান ম্যাচে জোফরা আর্চারকে দিয়ে রাসেলকে আটকেছিলেন স্টিভ স্মিথ। এ বার সেই কাজটা করলেন রাবাদা। ৮ বলে ১৩ রানের সংক্ষিপ্ত একটা ইনিংস খেলে রাসেল যখন প্যাভিলিয়নের পথ দেখলেন কেকেআরকে তখন জয়ের জন্য করতে হত ১৩৫।
তবে রাসেল ফিরে যাওয়া মানেই সব শেষ তা তো নয়। যে দলে ওইন মর্গ্যানের মতো ব্যাটসম্যান রয়েছে, সেই দল অনেক শেষ পর্যন্ত লড়ার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু রাসেল ফিরতে মর্গ্যানকে না নামিয়ে দীনেশ কার্তিককে নামায় কেকেআরের টিম ম্যানেজমেন্ট।
না দীনেশ কার্তিক কিছুই করতে পারেননি। নারিনের মতো কার্তিকের ব্যাটেও এখন শনির দশা চলছে। গুরুত্বপূর্ণ একটা সময়ে ব্যাট করতে এসে গাদাখানেক বল নষ্ট করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। নীতীশ রানা খুব চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন নিজের দলকে লড়াইয়ে রাখার। সুন্দর একটি হাফ সেঞ্চুরিও করেন তিনি। কিন্তু তিনিও এর পর নিজের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হন।
তবে ছ’ নম্বর উইকেটটা পড়ার পর মর্গ্যানের হাত ধরে কেকেআর যে এ ভাবে ঘুরে দাঁড়াবে সেটা তাদের অতি বড়ো ভক্তও আন্দাজ করতে পারেননি। মঞ্চ তৈরিই ছিল, এ বার একের পর এক বল গিয়ে পড়তে শুরু করে শারজার স্টেডিয়ামের ছাদে। মর্গ্যান দোসর হিসেবে পেয়ে যান রাহুল ত্রিপাঠীকে। মর্গ্যানের এই বেদম মার দেখে পরতে পরতে মনে হচ্ছিল, কেন তাঁকে এত দেরিতে নামাল কেকেআর।
১৯তম ওভার যখন শুরু হল কেকেআরের তখন প্রয়োজন ৩১। আর এখানেই মোক্ষম একটা কাজ করে দিয়ে গেলেন আনরিক নর্কিয়া। তাঁর বলেই শিমরন হেটমায়ারের হাতে তালুবন্দি হলেন মর্গ্যান। ১৮ বলে ৪৪ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলে মর্গ্যান যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছেন, কেকেআর শিবিরে তখন হতাশা।
সেই হতাশা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি কেকেআর। আপাতত পরের ম্যাচই ভরসা তাদের, যদি জয়ের মুখ দেখা যায়।
ক্রিকেট
ইংল্যান্ডকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতল ভারত
আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ভারত।

ভারত: ৩৬৫ (পন্থ ১০১, সুন্দর ৯৬* স্ট্রোকস ৪-৮৯, আন্ডারসন ৩-৪৪)
ইংল্যান্ড: ২০৫ (স্ট্রোকস ৫৫, লরেন্স ৪৬ অক্ষর ৪-৬৮, অশ্বিন ৩-৪৭) এবং ১৩৫ (লরেন্স ৫০, রুট ৩০ অশ্বিন ৫-৪৭ অক্ষর ৫-৪৮)
খবর অনলাইন ডেস্ক: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ ম্য়াচে এক ইনিংস এবং ২৫ রানে দুর্দান্ত জয়! ঘরের মাঠে ১৩তম টেস্ট সিরিজ জেতার রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ভারত।
শনিবার অমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে চতুর্থ টেস্ট ম্যাচের তৃতীয় দিন বিপক্ষ ইংল্যান্ডকে অলআউট করে দিল ভারত।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অক্ষর পটেলের দুর্দান্ত বোলিংই এ দিন ভারতের জয়ের পথ মসৃণ করে দেয়। দুই ভারতীয় বোলারই দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টি করে উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২০৫ রানে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিতে অক্ষর ৪টি এবং অশ্বিন ৩টি উইকট তুলে নিয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডকে স্কোর বোর্ডে দেড়শোর উপরে উঠতে দিলেন না দুই দাপুটে বোলার।
ইংল্যান্ড এই টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে তারা ২০৫ রান তুলতে সক্ষম হয়। তবে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ভারত প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রান করে ১৬০ রানের লিড নিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড ১৩৫ রানে অলআউট হয়ে গেল আজ। এই টেস্টে অক্ষর ৯ উইকেট এবং আশ্বিন ৮ উইকেট নিয়েছেন। ভারতের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন ঋষভ পন্থ।
প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট ২২৭ রানে জিতে এই সিরিজে দুর্দান্ত সূচনা করেছিল। তবে দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৩১৭ রানে হারিয়ে ভারত আবারও ফিরে আসে। এর পরে, দ্বিতীয় টেস্টটি দু’দিনের মধ্যেই ১০ উইকেটে জিতে নেয় ভারত। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চতুর্থ টেস্টে এক ইনিংস ও ২৫ রানে জয়ী হল ভারত। সিরিজের ফল ৩-১।
আরও পড়তে পারেন: শতরানের খরা কাটিয়ে ‘সুন্দর’ ইনিংস ঋষভের, চালকের আসনে ভারত
ক্রিকেট
শতরানের খরা কাটিয়ে ‘সুন্দর’ ইনিংস ঋষভের, চালকের আসনে ভারত
রোহিত এই সিরিজে ভারতের হয়ে সব থেকে বেশি রান করেছেন। এটা রোহিতের পক্ষে যেমন ভালো বিজ্ঞাপন, তেমনই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের খারাপ দশাটাও দেখিয়ে দিচ্ছে।

ইংল্যান্ড ২০৫
ভারত ২৯৪-৭ (ঋষভ ১০১, সুন্দর ৬০, অ্যান্ডারসন ৩-৪০)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় অভিষেকের পর থেকে বল হাতে যতটা কামাল তিনি করেছেন, তার থেকে অনেক বেশি প্রভাব ফেলেছেন ব্যাটে। এ হেন ওয়াশিংটন সুন্দর যদি ঋষভ পন্থের সঙ্গে ক্রিজে জমে না জেতেন, তা হলে ভারতের কপালে অবধারিত দুঃখ ছিল।
পন্থকে যত কৃতিত্ব দেওয়া যায়, কমই হবে। অত্যন্ত কঠিন পিচে যে ব্যাটিংটা তিনি করলেন তা এক কথায় দুর্দান্ত। টেস্টে পন্থের অনেক ভালো ভালো ইনিংস রয়েছে। কিন্তু তাঁর সেরা ইনিংসগুলোর তালিকা তৈরি করতে হলে, নিঃসন্দেহে এটা দু’নম্বরে আসবে, প্রথমে অবশ্যই আসবে ব্রিসবেনে ম্যাচ জেতানো সেই ইনিংসটা।
মধ্যাহ্নভোজনের আগেই ভারতের চতুর্থ উইকেট যখন পড়ল, দল তখনও ৯০ পেরোয়নি। রোহিত শর্মার সঙ্গে ক্রিজে জমে গিয়েও স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন অজিঙ্ক রাহানে। দু’জনের জুটিটা বেশ চলছিল। রাহানের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল বড়ো রানের দিকেই এগোচ্ছেন তিনি। কিন্তু সেই ইনিংসকে কাটছাঁট করে দেন জেমস অ্যান্ডারসন।
তার আগেই ভারত বড়ো চাপ খেয়ে গিয়েছে এ দিন। দিনের খেলা শুরু হওয়ার একটু পরেই পর পর ড্রেসিং রুমে ফিরে যান চেতেশ্বর পুজারা এবং বিরাট কোহলি। সিরিজে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ০ করলেন বিরাট, যা তাঁর কাছে অকল্পনীয়। দলের স্কোর তখন ৪১। এর পর চতুর্থ উইকেট যখন পড়ল ইংল্যান্ড তখন ম্যাচে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু খেলা ঘুরিয়ে দিলেন পন্থই।
রোহিত এই সিরিজে ভারতের হয়ে সব থেকে বেশি রান করেছেন। এটা রোহিতের পক্ষে যেমন ভালো বিজ্ঞাপন, তেমনই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের খারাপ দশাটাও দেখিয়ে দিচ্ছে। সেই রোহিতকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোরকে কিছুটা টেনে নিয়ে যান পন্থ। পঞ্চাশ থেকে মাত্র এক রান কমে আউট হয়ে যান রোহিত। কিছুক্ষণ পর যখন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও আউট হন ভারত তখন ইংল্যান্ডের স্কোর থেকে ৫৯ রান দূরে।
এর পরের ঘণ্টা আড়াই আর উইকেট পড়েনি। ক্রিজে এসেই জমে যেতে শুরু করেন সুন্দর। অন্যদিকে নিজের খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে শুরু করেন পন্থ। দু’জনের জুটি যখন একশো পেরিয়ে যায়, তখন পন্থের অবদান ছিল ৫৯ বলে ৬৩। জো রুটের বলে ছক্কা মেরে শতরান পূর্ণ করেন তিনি। এর মধ্যে দিয়েই শতরানের খরা কাটে পন্থের। ২০১৯-এর জানুয়ারিতে সিডনিতে শেষ বার শতরান করেছিলেন তিনি।
তবে এ দিন পন্থের ইনিংসে দু’রকম ধরন দেখা গিয়েছিল। প্রথম পঞ্চাশ তিনি করেছিলেন ঢিমেতালে খেলে। কিন্তু পরের পঞ্চাশ আসে পন্থের চিরাচরিত আগ্রাসী ঢঙেই। যদিও শতরানের পরেই পন্থ বুঝিয়ে দেন যে তিনি নিজের স্বভাব খুব একটা বদলাবেন না। কারণ শতরান থেকে এক রান বেশি করেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন তিনি।
তবে পন্থ যখন আউট হলেন ভারত ততক্ষণে লিড নিয়ে বেশ সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। এখন থেকে যা রানই আসত, সবই বোনাস। এ বার অর্ধশতরান পেরিয়ে যান সুন্দর। দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত আর কোনো উইকেট পড়েনি ভারতের। লিড ক্রমশ বাড়িয়ে তারা এখন যথেষ্ট সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
৬ ক্রিকেটার কোভিড পজিটিভ, স্থগিত হয়ে গেল পাকিস্তান সুপার লিগ
ক্রিকেট
৬ ক্রিকেটার কোভিড পজিটিভ, স্থগিত হয়ে গেল পাকিস্তান সুপার লিগ
অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার ফাওয়াদ আহমেদ এবং ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান টম ব্যান্টন ছাড়া কারও নাম জানা যায়নি।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকেই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে গেলেন ৬ জন ক্রিকেটার-সহ সাত জন। এর ফলে কোনো রকম ঝুঁকি না নিয়ে স্থগিত করে দেওয়া হল পাকিস্তান সুপার লিগ। ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়, “টিম মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্যকে আগ্রাধিকার দিয়েই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড পিএসএল-৬ স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টে ৭ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের অজি লেগ-স্পিনার ফাওয়াদ আহমেদ ইতিমধ্যেই আইসোলেশনে রয়েছেন। তাঁর করোনা পজিটিভ চিহ্নিত হওয়ার কথা ইসলামাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের টম ব্যান্টনও আইসোলেশনে রয়েছেন বল নিজেই জানিয়েছেন।
একজন স্থানীয় সাপোর্ট স্টাফও কোভিড পজিটিভ চিহ্নিত হয়েছেন বলে খবর। তবে বাকিদের পরিচয় এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। উল্লেখ্য, করোনার দাপট কিছুটা কমায় স্টেডিয়ামে ২০ শতাংশ দর্শকের উপস্থিতিতে এই টুর্নামেন্ট চলছিল। সন্দেহ কোনো ভাবেই দর্শকদের সংস্পর্শে এসেছিলেন ক্রিকেটাররা, সেখান থেকেই ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
ইংল্যান্ডকে স্পিনের জালে জড়িয়েও শুভমনের উইকেটে অস্বস্তিতে ভারত
-
রাজ্য2 days ago
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য
-
রাজ্য2 days ago
লড়াই মুখোমুখি! নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
রাজ্য2 days ago
অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ, কলকাতাতেও বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা
-
রাজ্য2 days ago
বিজেপির ব্রিগেড: বাংলা চায় প্রগতিশীল বাংলা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী