হায়দরাবাদ ১৩৪-৯ (সামাদ ২৮, রশিদ ২২, কাগিসো ৩-৩৭)
দিল্লি ১৩৯-২ (শ্রেয়স ৪৭ অপরাজিত, ধাওয়ান ৪২, রশিদ ১-২৬)
দুবাই: লিগ টেবিলের শেষে থাকা দলকে যে দু’নম্বরে থাকা দল হারিয়ে দেবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। হলও তাই। কোনো অঘটন কিছু না ঘটিয়ে বুধবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে দিল দিল্লি ক্যাপিটাল্স। এর ফলে লিগ টেবিলের শীর্ষস্থানে উঠে গেল তারা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় হায়দরাবাদ। প্রথম ওভারেই ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট তুলে নেন এনরিখ নর্তিয়া। ৩ বল খেলে খাতা খোলার আগেই ওয়ার্নার ধরা পড়েন অক্ষর প্যাটেলের হাতে। কোনো রান করার আগেই হায়দরাবাদ প্রথম উইকেট হারায়।
ওয়ার্নার আউট হয়ে গেলেও বিচলিত হননি তাঁর সঙ্গে ওপেন করতে নামা ঋদ্ধিমান সাহা। কাগিসো রাবাদাকে ছক্কায় স্বাগত জানালেন ঋদ্ধি। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই প্রোটিয়া পেসারকে গ্যালারিতে ফেলেন তিনি। শুরু থেকে বেশি ছন্দেই লাগছিল তাঁকে। যদিও তাঁর ইনিংস ছিল ক্ষণস্থায়ী।
পঞ্চম ওভারেই শেষ বলে আউট হন ঋদ্ধি। ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৭ বলে ১৮ রান করে ধাওয়ানের হাতে দরা পড়েন বাংলার তারকা উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। হায়দরাবাদ ২৯ রানে ২ উইকেট হারায়। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে আসেন মনিষ পাণ্ডে।পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে হায়দরাবাদ ২ উইকেটের বিনিময়ে ৩২ রান তোলে।
ইনিংসের নবম ওভারের প্রথম বলটা করার পরেই পায়ের পেশিটা টান অনুভব করেন মার্কাস স্টয়নিস। মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় তাঁকে। ওই ওভারটি শেষ করতে আসেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ওভারের শেষ বলে উইলিয়ামসনের ক্যাচ ছাড়েন ঋষভ পন্থ।
দশম ওভারের পঞ্চম বলে অক্ষর তুলে নেন উইলিয়ামসনের উইকেট। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২৬ বলে ১৮ রান করে হেটমেয়ারের হাতে দরা পড়েন উইলিয়ামসন। ঠিক পরের ওভারেই রাবাদার হাতে ফিরতি ক্যাচ দেন মনিষ সুতরাং ৩ বলে ২ উইকেট তুলে নেয় দিল্লি।
হায়দরাবাদের ভেঙে পড়তে থাকা ইনিংসকে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন জম্মু-কাশ্মীরজাত আব্দুল সামাদ। অন্যদিকে, ফের একবার ব্যর্থ হন কেদার যাদব। ৭৪ রানের মাথাতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে হায়দরাবাদ।
১৬তম ওভারের প্রথম বলে হোল্ডারের উইকেট তুলে নিলেন অক্ষর প্যাটেল। ১টি ছক্কার সাহায্যে ৯ বলে ১০ রান করে পৃথ্বীর হাতে ধরা পড়েন হোল্ডার। হায়দরাবাদ ৯০ রানে ৬ উইকেট হারায়। শেষ মুহূর্তে রশিদ খানের ঝোড়ো ইনিংসের সুবাদে তাও কিছুটা ভদ্রস্থ স্কোরে পৌঁছোয় কমলা জার্সিধারীরা।
দিল্লির জবাব
দিল্লির হয়ে ওপেন করতে নামেন পৃথ্বী শ ও শিখর ধাওয়ান। হায়দরাবাদের হয়ে বোলিং শুরু করেন খলিল আহমেদ। কিছুটা সন্তর্পণে শুরু করেন খলিল। প্রথম ওভারে ওঠে চারটে রান। তবে পৃথ্বী তাঁর ইনিংসকে একদমই বেশি টানতে পারেননি।
তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলেই পৃথ্বীর উইকেট তুলে নেন খলিল। ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮ বলে ১১ রান করে কেন উইলিয়ামসনের হাতে ধরা পড়েন পৃথ্বী। দিল্লি দলগত ২০ রানের মাথায় ১ উইকেট হারায়। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে আসেন শ্রেয়স আইয়ার।
পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৩৯ রান তোলে দিল্লি ক্যাপিটালস। রানের গতি সে ভাবে বাড়াতে পারেনি দিল্লি। হায়দরাবাদের বোলিং আক্রমণ বরাবরই শক্তিশালী। সেই আক্রমণই আটকে রেখেছিল দিল্লিকে। প্রথম দশ ওভারে ৬৯-এর তুলতে পারেনি দিল্লি। নেহাত লক্ষ্যমাত্রা বেশি ছিল না, সে কারণেই দিল্লির তোলা রানটাকে খুব কম মনে হয়নি।
১১তম ওভারের পঞ্চম বলে রশিদ খান তুলে নেন শিখর ধাওয়ানের উইকেট। ৩৭ বলে ৪২ রান করে ক্রিজ ছাড়েন গব্বর। দিল্লি দলগত ৭২ রানে ২ উইকেট হারায়। পন্থকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লির বৈতরণী পার করিয়ে দেওয়ার জন্য নামেন শ্রেয়স আইয়ার।
১৬তম ওভারে একশো রানের গণ্ডি পেরোয় দিল্লি। তার পরেই তাদের রানের গতি বাড়তে থাকে। ছন্দ পেতে থাকেন পন্থ এবং শ্রেয়স। দু’জনেই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচকে দিল্লির অনুকূলে নিয়ে চলে আসেন।