ক্রিকেট
টসে জিতে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং, সিরাজকে ফেরাল ভারত
এই টেস্টে পিচ কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখার।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: চতুর্থ টেস্টে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিল ইংল্যান্ড। জসপ্রীত বুমরাহর পরিবর্তে দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে মহম্মদ সিরাজকে।
ভারতীয় দল থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন বুমরাহ। সেই আর্জি মেনে নিয়ে তাঁকে দল থেকে ছেড়েও দিয়েছিল বিসিসিআই। তখনই বোঝা গিয়েছিল যে এই টেস্টে ফিরবেন সিরাজ, কারণ এই মুহূর্তে ভারতীয় দলে প্রথম বিকল্প পেসার সিরাজই।
ইংল্যান্ড দু’টি পরিবর্তন করেছে তাদের দলে। তৃতীয় টেস্টের দল থেকে বাদ পড়েছেন জোফ্রা আর্চার এবং স্টুয়ার্ট ব্রড। এদের মধ্যে দলে আনা হয়েছে ডোম বেস এবং ড্যান লরেন্সকে। অর্থাৎ বাড়তি স্পিনার খেলানোর পাশাপাশি ব্যাটিংটাকেও শক্তিশালী করেছে জো রুটের দল।
তৃতীয় টেস্ট এই অমদাবাদে শেষ হয়ে গিয়েছিল দু’ দিন। চূড়ান্ত খারাপ পিচে ভেঙে পড়েছিল দু’ দলেরই ব্যাটিং। এই টেস্টে পিচ কেমন আচরণ করে, সেটাই দেখার।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
আন্তর্জাতিক হকিতে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন ভারতের, জার্মানিকে ৬ গোল
ক্রিকেট
IPL 2021: আরসিবির হয়ে জ্বলে উঠলেন বাংলার শাহবাজ, তীরে এসে তরী ডোবাল হায়দরাবাদ
বড়ো রান করলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।


বেঙ্গালুরু: ১৪৯-৮ (ম্যাক্সওয়েল ৫৯, বিরাটি ৩৩, হোল্ডার ৩-৩০)
হায়দরাবাদ: ১৪৩-৯ (ওয়ার্নার ৫৪, মনীশ পাণ্ডে ৩৮, শাহবাজ ৩-৭)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: একেই বলে তীরে এসে তরী ডোবা। মঙ্গলবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে কেকেআর যা করেছিল, ঠিক তারই পুনরাবৃত্তি হল বুধবারও। একই মাঠে – চেন্নাই। ১৬ ওভার পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে থেকেই শেষমেশ হেরে গেল হায়দরাবাদ। আর আরসিবির এই জয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করলেন বাংলার স্পিনার শাহবাজ আহমেদ। একটা ওভারে মাত্র এক রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে চমক দিলেন তিনি।
চেন্নাইয়ের পিচ ধীরে ধীরে স্লো হয়ে আসছে, আর তার ফল ভুগতে হচ্ছে ব্যাটিং টিমগুলোকে। মঙ্গলবারই দেখা গিয়েছিল যে মুম্বই বা কেকেআর কেউই ভালো রান করতে পারেনি। এ দিন বেঙ্গালুরুর তুলনামূলক মন্থর ব্যাটিং দেখে পিচকেই দোষারোপ করতে হয়।
কোভিড সারিয়ে দেবদত্ত পাড়িক্কাল ফিরেছেন দলে। কিন্তু গত বারের ফর্মের ঝলক দেখাতে পারেননি। বিরাট কোহলির সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ১১ রানেই ফিরে যান তিনি। বাংলার শাহবাজ আহমেদকে তিন নম্বরে নামিয়ে ফাটকা খেলেছিল বেঙ্গালুরু। একটি ছক্কা হাঁকালেও নিজের ইনিংসকে ১৪ রানের বেশি টানতে পারেননি তিনি।
তৃতীয় উইকেটে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে বিরাট কোহলি বেশ ঝকঝকে একটি জুটি তৈরি করেন। সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে শেষ বেশ কয়েকটি ইনিংসে বড়ো রান ছিল না বিরাটের। সেই রানের খরাটা এ বার তিনি কাটিয়ে ওঠেন। তবে মন্থর উইকেটে ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
তবে এ দিনও রানের মধ্যে ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তবে খুব সুন্দর ভাবে নিজের ইনিংসটা সাজিয়েছিলেন তিনি। প্রথমে ধীরেই নিজের ইনিংস শুরু করেন ম্যাক্সি, তার পর রানের গতি বাড়ান তিনি। পিচের সুবিধা তো ছিলই, কিন্তু তার পরেও দুর্দান্ত বল করেন হায়দরাবাদের বোলাররা। বিশেষ করে জেসন হোল্ডার এবং রশিদ খান।
এই দু’জনের জাল ভেঙে ম্যাক্সওয়েল যে ভাবে নিজের ইনিংসকে টেনে নিয়ে গেলেন তা বাহবার দাবি রাখে। এর মধ্যেও অর্ধশতরান করে ফেলেন ম্যাক্সওয়েল। দীর্ঘদিন পর আইপিএলের ময়দানে হাফ সেঞ্চুরি করলেন তিনি।
বেঙ্গালুরুর দেওয়া দেড়শো রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথমেই ধাক্কা খায় হায়দরাবাদের ব্যাটিং। ঋদ্ধিমান সাহা এ বারও ব্যাট হাতে ব্যর্থ। দ্রুত ফর্মে না ফিরলে দলে তিনি জায়গা ধরে নাও রাখতে পারেন। তবে ঋদ্ধি আউট হয়ে গেলেও ডেভিড ওয়ার্নার এবং মনীশ পাণ্ডের হাত ধরে ম্যাচে ফিরে আসেন গেরুয়া শিবির। পাণ্ডে কিছুটা ধরে খেলছিলেন এক দিকে। অন্য দিকে অনেক বেশি আগ্রাসী ছিলেন ওয়ার্নার।
আরসিবির বোলিং আক্রমণ বরাবরই অন্য দলগুলির থেকে কিছুটা দুর্বল। তবে প্রথম ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে সেই দুর্বলতা ঢেকে দিয়েছিলেন হর্শল পটেল, পাঁচটা উইকেট নিয়ে। কিন্তু এ দিনের ম্যাচ সেটা ক্লিক করেনি। মহম্মদ সিরাজ, কাইল জেমিসন, হর্শল পটেলরা ব্যর্থ। ব্যর্থ যজুবেন্দ্র চহলও।
আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই নিজের রানের গতি ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। দুরন্ত একটি অর্ধশতরান পূর্ণ করে ফেলেন তিনি। তবে ব্যক্তিগত ৫৩ রানের মাথায় তিনি যখন বাউন্ডারি লাইনের ঠিক ভেতরে ধরা পড়েন, হায়দরাবাদের জন্য ম্যাচটা ততক্ষণে অনেকটাই সহজ হয়ে এসেছে। যদিও মঙ্গলবারের ম্যাচ বুঝিয়ে দিয়েছে চেন্নাইয়ের পিচে যে কোনো মুহূর্তে ম্যাচে মোড় ঘুরে যেতে পারে।
ঠিক সেটাই হল। চার নম্বর ব্যাট করতে নামা জনি বেয়ারস্টো ব্যাটে-বলে করতেই পারছিলেন না। তবুও মনীশ পাণ্ডে যে হেতু ক্রিজে ছিলেন, হায়দরাবাদের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু ১৭তম ওভারে ম্যাচের মোর পুরোপুরি ঘুরিয়ে দিলেন বাংলার শাহবাজ আহমেদ।
ওভারের প্রথম দুই বলেই বেয়ারস্টো এবং পাণ্ডেকে ফেরান তিনি। এর পরের তিন বলে তিনি খরচ করেন মাত্র একটা রান। ওভারের শেষ বলে আব্দুল সামাদকে ফিরিয়ে বেঙ্গালুরুর হয়ে আরও একটা ঝটকা দেন শাহবাজ। ম্যাচটি ততক্ষণে বেঙ্গালুরুর কবজায় এসে গিয়েছে।
শাহবাজের দেওয়া এই ধাক্কা বেঙ্গালুরু আর সামলে উঠতে পারেনি। এর পর একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে হায়দরাবাদের। বাকিটা ছিল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
২০১৯-এর আইপিএল পর্যন্ত ব্যর্থতাই বেঙ্গালুরুর সঙ্গী ছিল। সেটা কাটিয়ে উঠে গত বছর শেষ চারে যায় বেঙ্গালুরু। এ বারও কিন্তু তারা ভালোই শুরু করল। দুই ম্যাচে দুটো জয় নিয়ে আপাতত লিগশীর্ষে থাকল আরসিবি।
ক্রিকেট
IPL 2021: জেতা ম্যাচ লজ্জাজনক ভাবে হাতছাড়া কেকেআরের, দলের হয়ে সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন শাহরুখ
মঙ্গলবার দায়িত্ব নিয়ে কেকেআরকে হারিয়েছেন আন্দ্রে রাসেল এবং দীনেশ কার্তিক।


খবরঅনলাইন ডেস্ক: ২০১৯-এর আইপিএল রোমাঞ্চিত ছিল আন্দ্রে রাসেলের বিধ্বংসী ব্যাটিংকে কেন্দ্র করে। কিন্তু ব্যাটসম্যান রাসেলের দম যে ফুরোচ্ছে সেটা ২০২০-এর আইপিএলেই বোঝা গিয়েছিল। আর এ বার তো দু’টো ম্যাচের পরেই রাসেলের দুর্বলতা আরও প্রকট হয়ে উঠল।
কার্যত রাসেলের জন্যই জেতা ম্যাচ হেরে এল কেকেআর। অবশ্য দীনেশ কার্তিকও কম যান না। রাসেল আর কার্তিক মিলে শেষের কয়েকটা ওভারে ঠুকঠুক করে খেলে দায়িত্ব নিয়েই দলকে হারিয়ে এসেছেন। পরিণাম, একটা সময় জেতার জন্য ২৮ বলে ৩১ রানের প্রয়োজনীয়তা থাকা কেকেআরের মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে ১০ রানে লজ্জাজনক হার।
ম্যাচের পর সমর্থকদের কাছে দলের হয়ে ক্ষমা চেয়ে নেন মালিক শাহরুখ খান। ক্ষুব্ধ শাহরুখ টুইটারে লেখেন, “জঘন্য খেলা! কেকেআর ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছে।”
মঙ্গলবার, শাকিব আল হাসান আউট হওয়ার পর রাসেল যখন ক্রিজে এলেন তখন নাইটদের জেতার জন্য প্রয়োজন ২৪ বলে ৩০ রান। হাতে আরও ৫ উইকেট। ক্রুণাল পাণ্ড্যর বলে দুবার জীবন ফিরে পেলেন। কিন্তু সেই সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন কোথায়! ১৫ বলে ৯ রান করে শেষ ওভারে যখন ফিরছেন, তখন নাইট ব্যাটিং আইসিইউ-তে চলে গিয়েছে।
তবে তিনি শুধু তিনি নয়। নীতীশ রানার ৫৩ ও শুভমন গিলের ৩৩ ছাড়া নাইটদের বাকি ব্যাটিং তথৈবচ ছিল এ দিন। রাহুল ত্রিপাঠি (৫), ওইন মর্গ্যান (৭), শাকিব (৯), প্যাট কামিন্স (০) যেন শুধু যাওয়ার আসার প্রতিযোগিতায় মাতলেন।
রোহিত টি-২০তে, বিশেষ করে আইপিএলে খুবই বিচক্ষণতার সঙ্গে অধিনায়কত্ব করেন। কিন্তু তিনিও যেন চিপকের পিচ বুঝতে ভুল করলেন। ঘূর্ণি পিচে যেখানে নাইটরা তিন স্পিনার খেলিয়েছিল, সেখানে তাঁর কাছে ছিল রাহুল চাহার ও ক্রুণাল। কিন্তু কে জানত হরিয়ানার এই লেগ স্পিনার ২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে কেকেআরকে কাঁপিয়ে দেবেন। অবশ্য তাঁকে দারুণ সঙ্গত দিলেন ট্রেন্ট বোল্ট ও ক্রুণাল। ফলে ৭ উইকেটে ১৪২ রানে আটকে গেল কলকাতা।
মুম্বই তাদের সবচেয়ে পছন্দের ও পয়া প্রতিপক্ষ কলকাতার বিরুদ্ধে কবে এত খারাপ ব্যাটিং করেছে মনে পড়ে না। বল হাতে স্লোয়ার বাউন্সার, স্লোয়ার ইয়র্কার, ওয়াইড ইয়র্কারের উপর ভর করে রোহিতের দলের মিডল অর্ডারকে একেবারে শেষ করে দেন রাসেল।
স্বদেশীয় কায়রন পোলার্ডকে ফিরিয়ে প্রথম ঝটকা দিয়েছিলেন। এরপর একে একে তাঁর শিকার ক্রুণাল পাণ্ড্য ও পাঁচ বারের আইপিএল জয়ী দলের শেষের দিকে বাকি ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ২ ওভারে হাত ঘুরিয়ে আইপিএলে প্রথম বার ৫ উইকেট পেলেন রাসেল। তাও আবার মাত্র ১৫ রান দিয়ে।
চিপকের ঘূর্ণি পিচে রোহিত ও কুইন্টন ডি’ ককের ব্যাটকে রুখে দেওয়ার জন্য শুরু থেকেই স্পিনারদের হাতে নতুন বল তুলে দেন মর্গ্যান। দ্বিতীয় ওভারে এল প্রথম সাফল্য। বরুণ চক্রবর্তীর বলে ফিরে যান ডি’ কক। সূর্যকুমার যাদব অবশ্য নিজের লক্ষ্যে এক্কেবারেই অবিচল ছিলেন। ৩৬ বলে ৫৬ করে তিনি যখন ফিরছেন, তখন মুম্বইয়ের স্কোর বোর্ডে ২ উইকেটে ৮৬ রান।
এর পরেই ভেঙে পড়ে মুম্বই। সৌজন্যে আন্দ্রে রাসেলের দুটি ওভার। সেই কারণেই ১৫২ রানে আটকে যায় মুম্বই। কিন্তু ম্যাচ তো শেষ হয়ে যায় নি। মুম্বইকে অনেক বার খাদের কিনারা থেকে বের করেছেন জশপ্রীত বুমরা। এ বারও সেটা করলেন রোহিতের ‘তুরুপের তাস’।
এমনিতেই চাহারের স্পিনে নাইটরা নাজেহাল ছিল। সঙ্গে তিনি ১৯ ওভারে বল হাতে নিয়ে দিলেন মাত্র ৪ রান। ব্যস সেখানেই ম্যাচ শেষ। বাকি কাজটা শেষ ওভারে ট্রেন্ট বোল্ট মাথা ঠাণ্ডা রেখে করে জয়ের পরিসংখ্যান আরও বাড়িয়ে নিলেন।
কোনো দল লড়াই করেও যদি হেরে যায় তা হলে ম্যাচের শেষে শক্তিশালী মনোবল নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। কিন্তু মঙ্গলবার কেকেআর যা করল, তাতে তাদের মনোবল যে ভেঙে পড়বেই তা বলাই বাহুল্য।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
ক্রিকেট
IPL 2021: কাজে এল না সঞ্জু স্যামসনের মহাকাব্যিক শতরান, পঞ্জাবের কাছে হারল রাজস্থান
টানটান রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ


পঞ্জাব: ২২১-৬ (রাহুল ৯১, হুডা ৬৪, সাকারিয়া ৩-৩১)
রাজস্থান: ২১৭-৭ (সঞ্জু ১১৯, পরাগ ২৫, অর্শদীপ ৩-৩৫)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: দুই উইকেটকিপার-অধিনায়কের লড়াই ছিল। দু’জনেই দুরন্ত ব্যাট করলেন। একজন শতরানের কাছাকাছি গিয়ে আউট হয়ে গেলেন তো অন্য জন শতরান করেই ফেললেন। শেষে কেএল রাহুলের পঞ্জাব কিংসের কাছে হেরে গেল সঞ্জু স্যামসনের রাজস্থান রয়্যালস।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজে কী তথৈবচ ফর্মে ছিলেন কেএল রাহুল। তাই পঞ্জাব কিংস তাদের অধিনায়কের ফর্ম নিয়ে কিছুটা চাপে তো ছিলই। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে আইপিএলের শুরুতে যে ভাবে দুরন্ত ফর্মে রাহুল শুরু করেন, সেটাই এ দিন মুম্বইয়ে করে দেখালেন। কোথায় তাঁর অফ-ফর্ম! প্রথম কয়েকটি ওভার দেখে খেলে ফেলার পরেই তাঁর ব্যাট থেকে রানের ফুলঝুরি।
রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে এ দিন অভিষেক করলেন দুই বোলার, সৌরাষ্ট্রের চেতন সাকারিয়া এবং বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমন। দুই বাঁ হাতি বোলারই প্রথম দিকে কিছুটা চাপে রেখেছিলেন রাহুল এবং পঞ্জাবের অপর ওপেনার ময়াঙ্ক অগ্রবালকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যে অফফর্মের কবলে ময়াঙ্ক পড়েছিলেন, এ দিনও সেখান থেকে বেরোতে পারেননি। তাই তৃতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান তিনি।
পঞ্জাবে এসে নতুন জীবন পেয়েছেন ক্রিস গেল। ওপেনারের বদলে তিনি এখন তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন। এ দিনও সেটাই হল। আর শুরু থেকেই বেশ আগ্রাসী ছিলেন তিনি। ৪০ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলে ড্রেসিং রুমে যখন গেল ফিরে যান ততক্ষণে তাঁর স্ট্রাইক রেট পৌঁছে গিয়েছে ১৪২-এ। তাঁর এই সংক্ষিপ্ত ইনিংসটি চারটে চার এবং দু’টি ছয়ে সাজানো ছিল।
তবে এ দিন সব নজর কেড়ে নিয়েছেন দীপক হুডা। হরিয়ানার এই মারকুটে ব্যাটসম্যান আইপিএলের ময়দানে মাঝেমধ্যেই জ্বলে ওঠেন। তবে এ দিন তিনি যা খেললেন, সেই রকম খেলতে আগে খুব একটা দেখা যায়নি। শুরু থেকেই রাজস্থানের বোলারদের মাথায় চেপে বসেছিলেন তিনি। একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে বিপক্ষের ছন্দটাই নষ্ট করে দেন তিনি। কার্যত কোনো সময় না নিয়েই অর্ধশতরান পূর্ণ করে ফেলেন তিনি।
তাঁর ৬৪ রানের ইনিংসটি এসেছে মাত্র ২৮ বলে। স্ট্রাইক রেট ছিল ২২৮। চলতি আইপিএলের দ্রুততম পঞ্চাশ রানের মালিকও হয়ে গেলেন হুডা। তাঁর আউট হয়ে যাওয়ার পর নজর ছিল রাহুলের ওপরে, আরও একটা শতরান তিনি করতে পারেন কি না, সেটাই ছিল দেখার। কিন্তু অল্পের জন্য তা হয়নি। শতরান থেকে নয় রান দূরে থেকেই শেষ ওভারে আউট হয়ে যান রাহুল।
একেই পাহাড়প্রমাণ রান, তার পর বিপক্ষের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপ, রাজস্থানের পক্ষে রানটা তারা করা খুবই চাপের ছিল। সবার নজর ছিল মহম্মদ শামির ওপরে। সুস্থ হয়ে ফিরে সেই শামিই কিন্তু রাজস্থানকে প্রথম ধাক্কাটা দেন। প্রথম ওভারেই ওপেনার বেন স্টোক্সকে ফিরিয়ে দেন তিনি।
রাজস্থান কিন্তু রান তাড়া করার চেষ্টা করেই যাচ্ছিল। শুরু থেকেই দলের রানের গতি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মনন ভোহরা। অন্যদিকে, অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও ধীরে ধীরে নিজের ছন্দে আসছিলেন। তিনি তারা উইকেটও হারিয়ে ফেলছিল বার বার।
অষ্টম ওভারের মধ্যে তিনটে উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। যদিও তখনও রানরেট ছিল দশে। এখান থেকে ম্যাচে ফিরে আসার চেষ্টা করতে শুরু করে রাজস্থান। স্যামসন তো ছিলনই, সেই সঙ্গে রানের গতি বাড়াতে শুরু করেন শিবম দুবেই। দুবে এবং স্যামসনের মধ্যে দুরন্ত একটি জুটি শেষ হয় ১৩তম ওভারে। ততক্ষণে অর্ধশতরান পেরিয়ে গিয়েছেন স্যামসন।
১৪ ওভারের পর থেকে ম্যাচের রাশ পুরোপুরি নিজেদের দিকে নিয়ে চলে আসেন রাজস্থান। ক্রিজে ততক্ষণে জমে গিয়েছেন স্যামসন। কিন্তু ছয় নম্বর নামা অসমের রিয়ান পরাগ পর পর ছক্কা মেরে ম্যাচের পরিস্থিতি রাজস্থানের জন্য অনেকটাই শহর করে দেন। ১৭তম ওভার যখন শুরু হচ্ছে তখন রাজস্থানের দরকার ৪৮, আহামরি কিন্তু বেশি নয়। তবে ওই ওভারের দ্বিতীয় বলেই পরাগকে ফিরিয়ে দিয়ে পঞ্জাবকে ফের ম্যাচে নিয়ে আসেন শামি।
যদিও স্যামসনের দাপটের কাছে পঞ্জাবের বোলাররা ম্লান হয়ে যাচ্ছিলেন। ১৮তম ওভারে স্যামসন যখন শতরান করেন, রাজস্থানের তখন দরকার ১৫ বলে ২৬। পরিস্থিতি অনেকটাই সহজ হয়ে এসেছে তাদের জন্য। কিন্তু এখানে কিছুটা চাপা বোলিং করে পঞ্জাব। এর ফলে শেষ ওভারে তাদের প্রয়োজনীয়তা এসে দাঁড়ায় ১৩ রানে।
অর্শদীপ সিংহ বল করতে আসেন প্রথম তিনটে বলে মাত্র ২ রান দিলেও চতুর্থ বলেই তাঁকে ছক্কা হাঁকিয়ে দেন স্যামসন। কিন্তু দলকে বৈতরণী পার করিয়ে দিতে পারেননি তিনি। লক্ষ্যামাত্রার থেকে চার রান দূরেই থেমেই গেল রাজস্থান।
-
দেশ2 days ago
Vaccination Drive: এসে গেল তৃতীয় টিকা, স্পুটনিক ফাইভে অনুমোদন দিয়ে দিল কেন্দ্র
-
দেশ2 days ago
Sputnik V: এপ্রিলের শেষে ভারতের বাজারে চলে আসবে টিকা, জানাল রাশিয়া
-
প্রযুক্তি1 day ago
বাড়ির কাছাকাছি রেশন দোকান কোনটা, খুব সহজেই জেনে নিতে পারেন ‘মেরা রেশন’ মোবাইল অ্যাপ থেকে
-
রাজ্য1 day ago
Bengal Polls 2021: এ বার অনুব্রত মণ্ডলকে শোকজ নোটিশ নির্বাচন কমিশনের