ওয়েবডেস্ক: ২০১৯ আইপিএল মরশুমের দু’সপ্তাহ হতে চলল। ভারতীয় ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স ভালো, খারাপ মিলিয়ে মোটামুটি। বিশ্বকাপে যাওয়ার জন্য আইপিএলকে পাখির চোখ করছেন প্রায় সব খেলোয়াড়ই। ২৩ এপ্রিল বিশ্বকাপের দল ঘোষণার শেষ দিন।
দেখে নিন এখনও পর্যন্ত আইপিএলে, বিশ্বকাপে সম্ভাব্য ভারতীয় দলের পারফরমেন্স পরিসংখ্যান-
বিরাট কোহলি – বিশ্বের এক দিনের এবং টেস্টের এক নম্বর ব্যাটসম্যান। তবে আইপিএলে শুরুটা ভালো হয়নি। এখনও পর্যন্ত চার ম্যাচে খেলে তাঁর সর্বোচ্চ রান ৪৬। চারটি ম্যাচেই হেরেছে তাঁর দল।
রোহিত শর্মা – ধীরে শুরু করেছে তাঁর দল মুম্বই ইন্ডিয়ন্স। দু’টি হেরেছে এবং দু’টি জিতেছে। চার ম্যাচে রোহিতের সর্বোচ্চ রান ৪৮।
শিখর ধাওয়ান – পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে দিল্লি দলের দ্বিতীয় ধারবাহিক ক্রিকেটার। তবে তাঁর থেকে আরও বেশি আশা করে দিল্লি ফ্রাঞ্চাইজি। প্রথম দু’ম্যাচে বেশ নজর কেড়েছিলেন। ৪৩ এবং ৫১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। কিন্তু তার পরের তিনটি ম্যাচে তেমন দাগ কাটতে পারেননি।
অম্বতি রায়ুডু – খারাপ ফর্মের জেরে আইপিএলের আগে এক দিনের দল থেকে বাদ পড়েন। চলতি আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংস জার্সিতে তাঁর খারাপ ফর্ম অব্যাহত। শেষ তিনটি ম্যাচে মাত্র ১৪টি বল খেলেছেন।
মহেন্দ্র সিং ধোনি – চেন্নাই সুপার কিংসকে সামনে থেকে দাঁড়িয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শেষ ওভারগুলিতে রীতিমতো বিপদজনক হয়ে উঠছেন। দিল্লির বিরুদ্ধে এবং রাজস্থানের বিরদ্ধে ম্যাচ উইনিং পারফরমেন্স করেন মাহি।
কেদার যাদব – চলতি আইপিএলে মোটামুটি বেশ নজর কেড়েছেন ব্যাট হাতে। একটি অর্ধশতক রয়েছে। দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচেও বেশ নজর কেড়েছিলেন। তবে বল হাতে এখনও তাঁকে তেমন দেখা যায়নি।
বিজয় শঙ্কর – অলরাউন্ডার হিসাবে চলতি আইপিএলে যে পজেশনে নেমেছেন নজর কেড়েছেন বিজয় শঙ্কর। প্রথম ম্যাচে ৪০ অপরাজিত, দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৫ এবং দিল্লির বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ১৬ রান করেছিলেন। তবে বল হাতে তেমন পাওয়া যায়নি।
হার্দিক পাণ্ড্য – চেন্নাইর বিরুদ্ধে ম্যাচে বল এবং ব্যাট হাতে নজর কেড়েছিলেন। ২৫ রান করেছিলেন এবং তিন উইকেট নিয়েছিলেন। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও, পরপর দু’টি ম্যাচে ৩১ এবং ৩২ রান করেছিলেন।
ঋষভ পন্থ – উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে নজর কাড়লেও, ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন। তবে এর পর চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ২৫ এবং পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ব্যর্থ হন। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধেও ব্যর্থ হন।
ভুবনেশ্বর কুমার – আইপিএলের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম তিন ম্যাচে বেশ রান দিয়েছিলেন। তবে কোনো উইকেট পাননি। দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচে অবশ্য নজর কাড়েন। ২৭ রানে দু’টি উইকেট নেন।
জসপ্রীত বুমরাহ – মুম্বইয়ের হয়ে বোলিংয়ে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে তিনটি উইকেট পেয়েছিলেন। তবে শেষ দুটি ম্যাচে উইকেট পাননি। কিন্তু রানও দিয়েছেন খুব কম।
মহম্মদ শামি – টি২০-তে তেমন ধারাবাহিকতা নেই। তবে পঞ্জাব দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচে নজর কেড়েছিলেন। পাঁচটি উইকেট রয়েছে তাঁর।
কুলদীপ যাদব – এখনও পর্যন্ত আইপিএলে তেমন নজর কাড়তে পারেননি। দু’টি ম্যাচে উইকেট ছিল না। দিল্লির বিরুদ্ধে দু’টি উইকেট পান, দিয়েছিলেন ৪১ রান।
য়ুজবেন্দ্র চাহাল – সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন চাহাল। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে চারটি উইকেট নিয়েছিলেন। রাজস্থানের বিরুদ্ধে দু’টি উইকেট নিয়েছিলেন ।
কেএল রাহুল – বিশ্বকাপে পনেরো জনের দলে পঞ্চদশ ক্রিকেটার হিসাবে যেতে পারেন তিনি। এখনও পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে তেমন নজর কাড়তে পারেননি। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ৭১ রান করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে ধারাবাহিকতার অভাব।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।