ক্রিকেট
ঝড় উঠল ধোনি-রাহুলের ব্যাটে, ভারতীয় শিবিরে চূড়ান্ত স্বস্তি

ভারত: ৩৫৯-৭ (ধোনি ১১৩, রাহুল ১০৮, শাকিব ২-৫৮)
বাংলাদেশ: ২৬৪ (মুশফিকুর ৯০, লিটন ৭৩, কুলদীপ ৩-৪৭)
কার্ডিফ: ৭৮ বলে ১১৩। স্ট্রাইক রেট ১৪৫ ছুঁইছুঁই। পেস বোলারকে ছক্কা মেরে ৯৯ থেকে ১০৫…
মহেন্দ্র সিং ধোনির এই চমকপ্রদ ইনিংসের ব্যাখ্যা যত পরিসংখ্যান দিয়েই করা হোক না কেন, তা কম হবে। শেষ কবে ধোনিকে এ রকম মেজাজে ব্যাট করতে দেখা গিয়েছে, তা অনেকের নাও মনে পড়তে পারে। আইপিএলে কিছু অসাধারণ ইনিংস থাকলেও সে তো টি২০ ক্রিকেট। ইদানীং কালে ধোনিকে এই মেজাজে ব্যাট করতে দেখা যায়নি। ধোনি শুধু শতরানই করলেন না। কিছু উটকো সমালোচনারও জবাব দিলেন এই ইনিংসের মধ্যে দিয়ে। হোক না বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মামুলি একটা প্রস্তুতি ম্যাচ, কিন্তু ধোনি বুঝিয়ে দিলেন ৩৭ বছর হয়ে গেলেও এখনও তিনি ফুরিয়ে যাননি। ভারতীয় সমর্থকদের আশ্বস্ত করে বুঝিয়ে দিলেন, এ বারের বিশ্বকাপ যদি তাঁর বিশ্বকাপ হয়, একদম অবাক হওয়ার থাকবে না। আর সেই সঙ্গে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে দিলেন স্বস্তি।
অবশ্য ধোনির আগে বিরাটকে স্বস্তি দিয়ে গিয়েছিলেন কেএল রাহুল। চার নম্বর জায়গাটির পাকাপাকি দখল নিয়ে।
বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের সময়ে সবার চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছিল বিজয় শঙ্করকে দেখে। নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদ জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিজয় ‘থ্রি-ডাইমেনশনাল’ ক্রিকেটার। চার নম্বরে বিজয় ব্যাট করার জন্য বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। তা বিজয়ের ওপরে বিরাটের যে বিশেষ ভরসা নেই, সেটা প্রস্তুতি ম্যাচেই বোঝা গিয়েছিল। আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চার নম্বরে রাহুলকে পাঠানোর পরে এ দিন সেই জায়গায় কোনো বদল করেননি তিনি। শুধু চেয়েছিলেন রাহুল একটা বড়ো রান করে নিজের জায়গা নিশ্চিত করুক।
তবে রাহুল বড়ো রানের দিকে এগোনোর আগেই ধোনির কাজটা অনেক সহজ করে দিয়েছিলেন বিজয় নিজেই। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে মাত্র দু’রান করে উইকেটকিপারকে খোঁচা দেন তিনি। তার পরেই কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে আছড়ে পড়ে রাহুল-ঝড়।
তবে রাহুল এবং ধোনি জুটি বাঁধার আগে, বিরাটের কপালে চিন্তা ভাঁজ বাড়িয়ে দিয়েছিল টপ অর্ডারের ব্যর্থতা। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় এ দিনও প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। তবে এ বার সিদ্ধান্তটা তাঁর ছিল না। টসে জিতে এই সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মোর্তাজা। তার পরেই পিচ এবং আবহাওয়াকে কাজে লাগিয়ে দুর্দান্ত বোলিং শুরু করেন বোলাররা।
আরও পড়ুন এবার সিনেমার পর্দায় দেখা যাবে ভারতীয় দলের ক্রিকেটারকে?
একটা সময় ভারতের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় চার উইকেটে ১০২। নিউজিল্যান্ড ম্যাচের পুনরাবৃত্তির ভয় যখন আবার গ্রাস করেছে, তখনই রাহুলের সঙ্গে জুটিতে লুটতে শুরু করেন ধোনি। ২১.২ ওভারে দু’জনের মধ্যে ১৬৪ রানের জুটি তৈরি হয়। ইতিমধ্যে শতরান করে ফেলেন রাহুল। চার নম্বর জায়গাটিতে নিজের নাম লিখে রাহুল ফেরার পরে শুরু হয় ধোনি ধামাকা।
সাম্প্রতিককালে ধোনির এই ইনিংস কার্যত দেখাই যায়নি। বিশ্বকাপের আগে ধোনির এই ব্যাটিং ফর্ম যে ভারতের কাছে বাড়তি অক্সিজেন তা বলাই বাহুল্য। ধোনির তাণ্ডবের সৌজন্যে সাড়ে তিনশো রানের স্কোর অনায়াসে পেরিয়ে যায় ভারত।
ব্যাটিং যতটা ভালো হয়েছে, তুলনায় বোলিং কিছুটা খারাপ হয়েছে বলা যায়। বাংলাদেশের ইনিংসের মাঝের ওভারগুলিতে দুর্দান্ত জুটি তৈরি হল লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিমের মধ্যে। না, ভারতের রান তাড়া করার কোনো ক্ষমতা ছিল না বাংলাদেশের, কিন্তু লিটন-মুশফিক যে ভাবে ভারতীয় বোলারদের সামলালেন, সেটা কিছুটা চিন্তার বলা যেতে পারে।
পাঁচ ওভার বল করে কোনো উইকেট নিতে পারেননি মহম্মদ শামি। যদিও একই সংখ্যক ওভার বল করে দু’টি উইকেট নেন যশপ্রীত বুমরাহ। তবে সব থেকে বেশি নজর কাড়লেন কুলদীপ যাদব।
আইপিএলে ভালো পারফর্ম করতে পারছিলেন না কুলদীপ। আরসিবির বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে তাঁর বিরুদ্ধে ২৬ রান তোলেন মঈন আলি। তখন থেকেই তাঁর ফর্ম নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এ দিন কিন্তু অন্য কুলদীপ। তাঁর, চহল এবং রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণির প্যাঁচে পড়ে যায় বাংলাদেশ। দশ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মুশফিকুর। তার পর ভারতের জেতা ছিল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে ধাক্কা খেয়েছিল ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে উড়িয়ে জয়ের সরণিতে ফিরল ভারত। এখন অপেক্ষা সামনের বুধবার, ৫ জুনের।
ক্রিকেট
ইংল্যান্ডকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতল ভারত
আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ভারত।

ভারত: ৩৬৫ (পন্থ ১০১, সুন্দর ৯৬* স্ট্রোকস ৪-৮৯, আন্ডারসন ৩-৪৪)
ইংল্যান্ড: ২০৫ (স্ট্রোকস ৫৫, লরেন্স ৪৬ অক্ষর ৪-৬৮, অশ্বিন ৩-৪৭) এবং ১৩৫ (লরেন্স ৫০, রুট ৩০ অশ্বিন ৫-৪৭ অক্ষর ৫-৪৮)
খবর অনলাইন ডেস্ক: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ ম্য়াচে এক ইনিংস এবং ২৫ রানে দুর্দান্ত জয়! ঘরের মাঠে ১৩তম টেস্ট সিরিজ জেতার রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ভারত।
শনিবার অমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে চতুর্থ টেস্ট ম্যাচের তৃতীয় দিন বিপক্ষ ইংল্যান্ডকে অলআউট করে দিল ভারত।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অক্ষর পটেলের দুর্দান্ত বোলিংই এ দিন ভারতের জয়ের পথ মসৃণ করে দেয়। দুই ভারতীয় বোলারই দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টি করে উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২০৫ রানে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিতে অক্ষর ৪টি এবং অশ্বিন ৩টি উইকট তুলে নিয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডকে স্কোর বোর্ডে দেড়শোর উপরে উঠতে দিলেন না দুই দাপুটে বোলার।
ইংল্যান্ড এই টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে তারা ২০৫ রান তুলতে সক্ষম হয়। তবে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ভারত প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রান করে ১৬০ রানের লিড নিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড ১৩৫ রানে অলআউট হয়ে গেল আজ। এই টেস্টে অক্ষর ৯ উইকেট এবং আশ্বিন ৮ উইকেট নিয়েছেন। ভারতের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন ঋষভ পন্থ।
প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট ২২৭ রানে জিতে এই সিরিজে দুর্দান্ত সূচনা করেছিল। তবে দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৩১৭ রানে হারিয়ে ভারত আবারও ফিরে আসে। এর পরে, দ্বিতীয় টেস্টটি দু’দিনের মধ্যেই ১০ উইকেটে জিতে নেয় ভারত। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চতুর্থ টেস্টে এক ইনিংস ও ২৫ রানে জয়ী হল ভারত। সিরিজের ফল ৩-১।
আরও পড়তে পারেন: শতরানের খরা কাটিয়ে ‘সুন্দর’ ইনিংস ঋষভের, চালকের আসনে ভারত
ক্রিকেট
শতরানের খরা কাটিয়ে ‘সুন্দর’ ইনিংস ঋষভের, চালকের আসনে ভারত
রোহিত এই সিরিজে ভারতের হয়ে সব থেকে বেশি রান করেছেন। এটা রোহিতের পক্ষে যেমন ভালো বিজ্ঞাপন, তেমনই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের খারাপ দশাটাও দেখিয়ে দিচ্ছে।

ইংল্যান্ড ২০৫
ভারত ২৯৪-৭ (ঋষভ ১০১, সুন্দর ৬০, অ্যান্ডারসন ৩-৪০)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় অভিষেকের পর থেকে বল হাতে যতটা কামাল তিনি করেছেন, তার থেকে অনেক বেশি প্রভাব ফেলেছেন ব্যাটে। এ হেন ওয়াশিংটন সুন্দর যদি ঋষভ পন্থের সঙ্গে ক্রিজে জমে না জেতেন, তা হলে ভারতের কপালে অবধারিত দুঃখ ছিল।
পন্থকে যত কৃতিত্ব দেওয়া যায়, কমই হবে। অত্যন্ত কঠিন পিচে যে ব্যাটিংটা তিনি করলেন তা এক কথায় দুর্দান্ত। টেস্টে পন্থের অনেক ভালো ভালো ইনিংস রয়েছে। কিন্তু তাঁর সেরা ইনিংসগুলোর তালিকা তৈরি করতে হলে, নিঃসন্দেহে এটা দু’নম্বরে আসবে, প্রথমে অবশ্যই আসবে ব্রিসবেনে ম্যাচ জেতানো সেই ইনিংসটা।
মধ্যাহ্নভোজনের আগেই ভারতের চতুর্থ উইকেট যখন পড়ল, দল তখনও ৯০ পেরোয়নি। রোহিত শর্মার সঙ্গে ক্রিজে জমে গিয়েও স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন অজিঙ্ক রাহানে। দু’জনের জুটিটা বেশ চলছিল। রাহানের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল বড়ো রানের দিকেই এগোচ্ছেন তিনি। কিন্তু সেই ইনিংসকে কাটছাঁট করে দেন জেমস অ্যান্ডারসন।
তার আগেই ভারত বড়ো চাপ খেয়ে গিয়েছে এ দিন। দিনের খেলা শুরু হওয়ার একটু পরেই পর পর ড্রেসিং রুমে ফিরে যান চেতেশ্বর পুজারা এবং বিরাট কোহলি। সিরিজে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ০ করলেন বিরাট, যা তাঁর কাছে অকল্পনীয়। দলের স্কোর তখন ৪১। এর পর চতুর্থ উইকেট যখন পড়ল ইংল্যান্ড তখন ম্যাচে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু খেলা ঘুরিয়ে দিলেন পন্থই।
রোহিত এই সিরিজে ভারতের হয়ে সব থেকে বেশি রান করেছেন। এটা রোহিতের পক্ষে যেমন ভালো বিজ্ঞাপন, তেমনই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের খারাপ দশাটাও দেখিয়ে দিচ্ছে। সেই রোহিতকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোরকে কিছুটা টেনে নিয়ে যান পন্থ। পঞ্চাশ থেকে মাত্র এক রান কমে আউট হয়ে যান রোহিত। কিছুক্ষণ পর যখন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও আউট হন ভারত তখন ইংল্যান্ডের স্কোর থেকে ৫৯ রান দূরে।
এর পরের ঘণ্টা আড়াই আর উইকেট পড়েনি। ক্রিজে এসেই জমে যেতে শুরু করেন সুন্দর। অন্যদিকে নিজের খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে শুরু করেন পন্থ। দু’জনের জুটি যখন একশো পেরিয়ে যায়, তখন পন্থের অবদান ছিল ৫৯ বলে ৬৩। জো রুটের বলে ছক্কা মেরে শতরান পূর্ণ করেন তিনি। এর মধ্যে দিয়েই শতরানের খরা কাটে পন্থের। ২০১৯-এর জানুয়ারিতে সিডনিতে শেষ বার শতরান করেছিলেন তিনি।
তবে এ দিন পন্থের ইনিংসে দু’রকম ধরন দেখা গিয়েছিল। প্রথম পঞ্চাশ তিনি করেছিলেন ঢিমেতালে খেলে। কিন্তু পরের পঞ্চাশ আসে পন্থের চিরাচরিত আগ্রাসী ঢঙেই। যদিও শতরানের পরেই পন্থ বুঝিয়ে দেন যে তিনি নিজের স্বভাব খুব একটা বদলাবেন না। কারণ শতরান থেকে এক রান বেশি করেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন তিনি।
তবে পন্থ যখন আউট হলেন ভারত ততক্ষণে লিড নিয়ে বেশ সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। এখন থেকে যা রানই আসত, সবই বোনাস। এ বার অর্ধশতরান পেরিয়ে যান সুন্দর। দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত আর কোনো উইকেট পড়েনি ভারতের। লিড ক্রমশ বাড়িয়ে তারা এখন যথেষ্ট সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
৬ ক্রিকেটার কোভিড পজিটিভ, স্থগিত হয়ে গেল পাকিস্তান সুপার লিগ
ক্রিকেট
৬ ক্রিকেটার কোভিড পজিটিভ, স্থগিত হয়ে গেল পাকিস্তান সুপার লিগ
অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার ফাওয়াদ আহমেদ এবং ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান টম ব্যান্টন ছাড়া কারও নাম জানা যায়নি।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থেকেই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে গেলেন ৬ জন ক্রিকেটার-সহ সাত জন। এর ফলে কোনো রকম ঝুঁকি না নিয়ে স্থগিত করে দেওয়া হল পাকিস্তান সুপার লিগ। ক্রিকেটারদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়, “টিম মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্যকে আগ্রাধিকার দিয়েই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড পিএসএল-৬ স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টে ৭ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের অজি লেগ-স্পিনার ফাওয়াদ আহমেদ ইতিমধ্যেই আইসোলেশনে রয়েছেন। তাঁর করোনা পজিটিভ চিহ্নিত হওয়ার কথা ইসলামাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের টম ব্যান্টনও আইসোলেশনে রয়েছেন বল নিজেই জানিয়েছেন।
একজন স্থানীয় সাপোর্ট স্টাফও কোভিড পজিটিভ চিহ্নিত হয়েছেন বলে খবর। তবে বাকিদের পরিচয় এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। উল্লেখ্য, করোনার দাপট কিছুটা কমায় স্টেডিয়ামে ২০ শতাংশ দর্শকের উপস্থিতিতে এই টুর্নামেন্ট চলছিল। সন্দেহ কোনো ভাবেই দর্শকদের সংস্পর্শে এসেছিলেন ক্রিকেটাররা, সেখান থেকেই ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
ইংল্যান্ডকে স্পিনের জালে জড়িয়েও শুভমনের উইকেটে অস্বস্তিতে ভারত
-
রাজ্য2 days ago
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য
-
রাজ্য2 days ago
লড়াই মুখোমুখি! নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
রাজ্য2 days ago
অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ, কলকাতাতেও বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা
-
রাজ্য2 days ago
বিজেপির ব্রিগেড: বাংলা চায় প্রগতিশীল বাংলা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী