ভারত: ২১৯-৬ (তিলক বর্মা ১০৭ নট আউট, অভিষেক শর্মা ৫০, আন্দিলে সিমলেন ২-৩৪, কেশব মহারাজ ২-৩৬)
সাউথ আফ্রিকা: ২০৮-৭ (মার্কো ইয়ানসেন ৫৪, হাইনরিখ ক্লাসেন ৪১, অর্শদীপ সিং ৩-৩৭, বরুণ চক্রবর্তী ২-৫৪)
সেঞ্চুরিয়ন: দুটি দলই দুশোর বেশি রান করল। দুর্ভাগ্য সাউথ আফ্রিকার। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে তারা ১১ রানে ভারতের কাছে হার স্বীকার করল। চার ম্যাচের টি২০ সিরিজে ভারত এগিয়ে থাকল ২-১ ফলে। সিরিজের শেষ ম্যাচটি হবে জোহানেসবার্গে, শুক্রবার ১৫ নভেম্বর।
সুপারস্পোর্ট পার্কে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় সাউথ আফ্রিকা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারত করে ৬ উইকেটে ২১৯ রান। এই রান করার পিছনে মূল কৃতিত্ব তিলক বর্মা। তিলক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন। ৫৬ বলে ১০৭ রান করে নট আউট থাকেন তিনি। তাঁর ১০৭ রানে ছিল ৭টা ছয়, ৮টা চার। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হন। আর তিলকের পাশাপাশি আর-এক জনের নাম করতে হয়। তিনি অভিষেক শর্মা। ২০০ স্ট্রাইক রেটে অভিষেক করেন ৫০ রান। তাঁর ৫০ রানে ছিল ৫টা ছয়, ৩টে চার।
সঞ্জুর আবার শূন্য
ভারতের ইনিংসের শুরুতেই বিপত্তি। দ্বিতীয় বলেই বিদায় নেন সঞ্জু স্যামসন। এ বারও তিনি খাতা খুলতে পারলেন না। আবার শূন্য। পর পর দুটি টি২০ ম্যাচে। আগের দুটি টি২০ ম্যাচে সঞ্জু করেছিলেন ১১১ ও ১০৭ রান। সঞ্জুর আউট হয়ে যাওয়ার পরেই অভিষেক আর তিলক দলের রান নিয়ে যান ১০৭-এ। এর পর কিছুটা হার্দিক পাণ্ড্য (১৬ বলে ১৮ রান) এবং কিছুটা রমনদীপ সিংকে (৬ বলে ১৫ রান) সঙ্গী করে তিলক দলের রান পৌঁছে দেন ২১৯-এ।
৩০০-র বেশি স্ট্রাইক রেট ইয়ানসেনের
রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট পড়লেও সাউথ আফ্রিকার প্রায় সব ব্যাটারই রান কিছু না কিছু রান পেয়েছেন। তবে তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মার্কো ইয়ানসেন (১৭ বলে ৫৪ রান) এবং হাইনরিখ ক্লাসেন (২২ বলে ৪১ রান)। ৮৪ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ক্লাসেনের সঙ্গী হন ডেভিড মিলার। তাঁরা দলের রান পৌঁছে দেন ১৪২-এ। দলের ১৬৭-এ রান ক্লাসেন আউট হয়ে যাওয়ার পর একা হাতে মারকাটারি ব্যাট করতে থাকেন ইয়ানসেন। তাঁর ব্যাট দেখে মনে হচ্ছিল তিনি হয়তো জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় দলকে পৌঁছে দেবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাঁর। ৩১৭.৬৪ স্ট্রাইক রেটে ৫৪ রান করে তিনি যখন আউট হয়ে যান দলের রান তখন ২০২। শেষ পর্যন্ত ১১ রানে হার স্বীকার করে সাউথ আফ্রিকা। ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন অর্শদীপ সিং।