মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: ১১০-৮ (নীতীশ কুমার ২৭, স্টিভেন টেলর ২৪, অর্শদীপ সিং ৪-৯, হার্দিক পাণ্ড্য ২-১৪)
ভারত: ১১১-৩ (১৭.২ ওভার) (সূর্যকুমার যাদব ৫০, শিবম দুবে ৩১, সৌরভ নেত্রবলকর ২-১৮)
খবর অনলাইন ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে ভারত ৩৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায়। হাতে ছিল ১২.৩ ওভার। আর জয়ের জন্য দরকার ছিল ৭২ রান। কিছুটা চিন্তায় পড়ে যান ভারতের সমর্থকরা। কারণ এই নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের পিচের যা চরিত্র তাতে এই কাজটা কঠিন বলে মনে হতে পারে। সেই আপাত কঠিন কাজটা সম্পন্ন করলেন সূর্যকুমার যাদব এবং শিবম দুবে। ভারত জিতল ৭ উইকেটে। ৯ রানে ৪ উইকেট দখল করে ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন ভারতের অর্শদীপ সিং।
এই ম্যাচের জেতার সঙ্গে সঙ্গে গ্রুপ ‘এ’ থেকে ‘সুপার ৮ রাউন্ড’-এ চলে গেল ভারত। ৩টি ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট। তাদের খেলা বাকি কানাডার সঙ্গে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহ ৩টি ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট। তাদের খেলা বাকি আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে। পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩ ম্যাচ থেকে ২ পয়েন্ট। পাকিস্তানেরও খেলা বাকি আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে। কোনো ভাবে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের খেলা শেষ করে তা হলে নেট রানরেটের বিচারে যে দল এগিয়ে থাকবে তারাই ‘সুপার ৮ রাউন্ড’-এ যাবে।
বুধবার ভারতীয় সময় রাত ৮টায় (স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায়) নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যাট করতে পাঠায় ভারত। এই স্টেডিয়ামে আগের ম্যাচগুলোর মতোই এই ম্যাচে কম রান করার ধারা অব্যাহত থাকে। নির্ধারিত ২০ ওভারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করে ৮ উইকেটে ১১০ রান।
অর্শদীপের পাশে হার্দিক পাণ্ড্য
ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অর্শদীপ সিংয়ের এল বি ডব্লিউ হন শায়ান জাহাঙ্গির। ৩ রান যোগ হতেই আবার উইকেট পতন। এবার ফিরে গেলেন আন্দ্রিস গৌস। তাঁকেও তুলে নেন অর্শদীপ। স্টিভেন টেলর এবং চার নম্বরে নামা দলের অধিনায়ক আরোন জোন্স উইকেটে কিছুটা থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু দলের ২৫ রানে আউট হয়ে যান জোন্স। হার্দিক পাণ্ড্যর বলে মহম্মদ সিরাজকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চতুর্থ উইকেটে ৩১ এবং পঞ্চম উইকেটে ২৫ রান যোগ করে। সৌজন্যে স্টিভেন টেলর (৩০ বলে ২৪ রান), নীতীশ কুমার (২৩ বলে ২৭ রান) এবং কোরে অ্যান্ডারসনের (১২ বলে ১৫ রান) ব্যাটিং। শেষ পর্যন্ত তারা শেষ কোরে ৮ উইকেটে ১১০ রানে। নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামের পিচের যা চরিত্র তাতে এই রান কম কিছু নয়। দুর্ধর্ষ বোলিং করেন অর্শদীপ সিং (৯ রানে ৪ উইকেট) এবং হার্দিক পাণ্ড্য (১৪ রানে ২ উইকেট)।
কাজ সমাধা করল সূর্যকুমার-শিবম জুটি
জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তাড়া করতে গিয়ে মাত্র ১০ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় ভারত। দলের ২ রানের মাথায় সৌরভ নেত্রবলকরের বলে আন্দ্রিস গৌসকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান বিরাট কোহলি। তিনি খাতাই খুলতে পারেননি। এর পর ৬ বলে ৩ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তাঁকেও তুলে নেন নেত্রবলকর। এর পর পরিস্থিতি কিছুটা সামলানোর চেষ্টা করেন ঋষভ পন্থ ও সূর্যকুমার যাদব। তাঁরা দলের রান টেনে নিয়ে যান ৩৯-এ। ২০ বলে ১৮ রান করে আলি খানের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন পন্থ। সূর্যকুমারের সঙ্গী হন শিবম দুবে।
ম্যাচের মোড় ঘোরায় সূর্যকুমার-শিবম জুটি। চতুর্থ উইকেটের জুটিতে তাঁরা অবিচ্ছেদ্য থেকে দলের রান পৌঁছে দেন ১১১-য়। সূর্যকুমার ৪৯ বলে ৫০ এবং শিবম দুবে ৩৫ বলে ৩১ রান করে নট আউট থাকেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ৭ উইকেটে হারাল ভারত।
আরও পড়ুন