ভারত: ২৩৪-২ (অভিষেক শর্মা ১০০, ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ৭৭ নট আউট, রিঙ্কু সিং ৪৮ নট আউট, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ১-২৯)
জিম্বাবোয়ে: ১৩৪ (১৮.৪ ওভার) (ওয়েসলি মাধেভেরে ৪৩, লিউক জংউই ৩৩, অবেশ খান ৩-১৫, মুকেশ কুমার ৩-৩৭)
হারারে: স্বমহিমায় ফিরল ভারত। উদ্ধার হল বিশ্বজয়ীর সম্মান। প্রথম ম্যাচে হারের পর টি২০ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত দুরমুশ করল জিম্বাবোয়েকে। তারা জিতল ১০০ রানে। প্রথমে ব্যাট করে ভারত করে ২ উইকেটে ২৩৪ রান। সেঞ্চুরি করেন অভিষেক শর্মা। ব্যাটিং-এ উল্লেখযোগ্য অবদান ঋতুরাজ গায়কোয়াড় এবং রিঙ্কু সিংয়েরও। জয়ের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে ৮ বল বাকি থাকতেই মাত্র ১৩৪ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবোয়ে। অবেশ খান, মুকেশ কুমার আর রবি বিষনয়ের বোলিংয়ের মোকাবিলাই করতে পারল না তারা। ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হন অভিষেক শর্মা।
প্রথম টি২০-তে ভারতের হার
ভারত শনিবার প্রথম টি২০ ম্যাচে জিম্বাবোয়ের কাছে ১৩ রানে হেরে যায়। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে জিম্বাবোয়ে করে ৯ উইকেটে ১১৫ রান। সেই রান তুলতে গিয়ে ল্যাজেগোবরে হয় ভারত। মাত্র ১০২ রানে ১৯.৫ ওভারে ইনিংস শেষ হয়ে যায় ভারতের। টি২০ বিশ্বকাপ জয়ের পর ভারতের এই হার খুবই লজ্জাজনক। যদিও ভারতের ‘বি’ টিম জিম্বাবোয়ে সফরে গিয়েছে, তবু ভারত তো ভারতই। খাতায় কলমে তো লেখা হবে পরাজয় দিয়ে শুরু হল জিম্বাবোয়েতে ভারতের টি২০ সফর।
ঝড়ের গতিতে রান ভারতের
রবিবার হারারে স্পোর্টস ক্লাবের মাঠে আয়োজিত দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট নেয় ভারত। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে ব্রায়ান বেনেটকে ক্যাচ দিয়ে দলের অধিনায়ক শুবমন গিল ২ রান করে বিদায় নেওয়ার পর দলের হাল ধরেন আর-এক ওপেনার অভিষেক শর্মা এবং ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। ব্যাটিং-এ ঝড় তোলেন তারা। জিম্বাবোয়ের কোনো বোলারকেই রেয়াত করেননি তাঁরা। বিশেষ করে অভিষেক। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে অভিষেক এবং ঋতুরাজ ১৩৭ রান যোগ করেন মাত্র ১২.৪ ওভারে। ইতিমধ্যে অভিষেক তাঁর শতরানও পূর্ণ করেন। ৪৭ বলে করা ওই ১০০ রানে ছিল ৮টা ছয় আর ৭টা চার।
ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে ডিওন মায়ার্সকে ক্যাচ দিয়ে অভিষেক যখন আউট হন তখন তাঁর নামের পাশে ঠিক ১০০ রান। বাকি কাজটা সারেন ঋতুরাজ এবং রিঙ্কু সিং। দু’জনে অবিচ্ছেদ্য থেকে মাত্র ৬ ওভারে যোগ করেন ১০৪ রান। ভারতের ব্যাটে ঝড় অব্যাহত থাকে। ৪৭ বলে ৭৭ করে ঋতুরাজ এবং ২২ বলে ৪৮ করে রিঙ্কু নট আউট থাকেন। ঋতুরাজের ৭৭ রানে ১টা ছয় আর ১১টা চার ছিল আর রিঙ্কুর ৪৮ রানে ৫টা ছয় আর ২টো চার ছিল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারত করে ২ উইকেটে ২৩৪ রান।
১৩৪ রানেই গুটিয়ে গেল জিম্বাবোয়ে
জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তাড়া করতে গিয়ে শুরুতেই বিপত্তি। জিম্বাবোয়ের তখন রান মাত্র ৪। মুকেশ কুমারের বলে বোল্ড হলেন ইনোসেন্ট কাইয়া ৪ রান করে। নিয়মিত ব্যবধানেই উইকেট পড়তে থাকে জিম্বাবোয়ে। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ওয়েসলি মাধেভেরে আর ব্রায়ান বেনেট এবং অষ্টম উইকেটে মাধেভেরে ও লিউক জংউইয়ের জুটি পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেয় চেষ্টা করে। দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে ৩৬ রান যোগ হয়। মুকেশ কুমারের বলেই বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ব্রায়ান বেনেট (৯ বলে ২৬ রান)। দলের রান তখন ৪০। এর পর ৭৬-এর রানের মধ্যে আরও ৫টি উইকেট পড়ে যায়। দলের রান ৭ উইকেটে ৭৬।
ওয়েসলি মাধেভেরের সঙ্গী হন লিউক জংউই। তাঁরা দলের রান টেনে নিয়ে যান ১১৭-য়। অষ্টম উইকেটের জুটিতে যোগ হয় ৪১ রান। ৩৯ বলে ৪৩ রান করে রবি বিষনয়ের বলে বোল্ড হন ওয়েসলি মাধেভেরে। বাকি ২ উইকেটে জিম্বাবোয়ে যোগ করে ১৭ রান। দলের রান যখন ১৩৪, আউট হন জংউই ২৬ বলে ৩৩ রান করে। গুটিয়ে যায় জিম্বাবোয়ের ইনিংস। ভারত জিতে যায় ঠিক ১০০ রানে।