ক্রিকেট
আশা জাগিয়েও ফিরলেন রোহিত-শুভমন, দিনের শেষে কিছুটা অস্বস্তিতে ভারত
অর্ধশতরানে নজর কাড়লেন শুভমন গিল।

অস্ট্রেলিয়া ৩৩৮ (স্মিথ ১৩১, লাবুশানে ৯১, জাদেজা ৪-৬২)
ভারত ৯৬-২ (শুভমন ৫০, রোহিত ২৬)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: স্টিভ স্মিথ শতরান করলেও ভারতীয় বোলাররা অস্ট্রেলিয়াকে বেশি দূরে এগোতে দেননি। বলা যেতে পারে রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণিতেই কাত হয়ে গেল অজিরা। ভারত দুর্দান্ত ভাবে জবাব দেওয়াও শুরু করেছিল। শুভমন গিল এবং রোহিত শর্মার নতুন ওপেনিং জুটি দাঁড়িয়েও গিয়েছিল।
কিন্তু দিনের শেষ প্রান্তে দুই ওপেনারই আউট হয়ে যাওয়ায় অস্বস্তি কাটল না ভারতের। অস্ট্রেলিয়ার রানকে টপকাতে গেলে চেতেশ্বর পুজারা এবং অজিঙ্ক রাহানেকে গুরুদায়িত্ব নিতে হবে।
প্রথম সেশনে জাদেজার দাপট
দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের আগেই ভারতকে চাপমুক্ত করলেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি না দাপট দেখালে মার্নাস লাবুশানে এবং স্টিভ স্মিথ মিলে যে কোথায় দলের রানটা নিয়ে যেতেন, সেটা ভাবলেই ঘাম বেরোবে।
সিডনি লাবুশানের পয়মন্ত মাঠ। গত বছর এখানেই দুর্ধর্ষ দ্বিতশতরান করে তিনি টেস্ট ক্রিকেটে আবির্ভাবের কথা জানান দিয়েছিলেন। নতুন বছরেও আরও একটা শতরানের দিকেই এগোচ্ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় দিন, নির্দিষ্ট সময়ের আধঘণ্টা আগে খেলা শুরু হয়। শুরু থেকেই দলের স্কোরকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন লাবুশানে এবং স্মিথ।
ইনিংসের বয়স যখন ৭১ ওভার, তখনই প্রথম ঝটকা দেন জাদেজা। ওভারের পঞ্চম বলে স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা অজিঙ্ক রাহানেকে জাদেজার বলটি খোঁচা মেরে তুলে দেন লাবুশানে। শতরান থেকে ৯ রান দূরে শেষ হয়ে যায় তাঁর ইনিংস।
ছয় ওভারের পর আবার জাদেজা। স্টেপ করে ছয় মারতে গিয়েছিলেন ম্যাথিউ ওয়েড। কিন্তু টাইমিং করতে না পেরে ক্যাচ উঠে যায়। মিড-অনে দাঁড়িয়ে থাকা বুমরাহ সেটা তালুবন্দি করেন। এর পরের ঝটকাটা দেন বুমরাহই, ক্যামেরন গ্রিনকে ফিরিয়ে। ফলে মধ্যাহ্নভোজনের বিরতিতে স্বস্তি ফেরে ভারতীয় দলে।
স্মিথ শতরান করলেও শেষ হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া
তবে উইকেট পড়তে থাকলেও নিজের লক্ষে স্মিথ কিন্তু ছিলেন অবিচল। পর পর তিনটে ইনিংসে চূড়ান্ত ব্যর্থ হওয়ার পর চতুর্থ ইনিংসেই দুরন্ত ভাবে ফর্মে ফিরলেন স্টিভ স্মিথ। হাঁকালেন দুরন্ত শতরান। ‘ল অব অ্যাভারেজ’ বলে ক্রিকেটে একটা কথা আছে। যা বলে যে কোনো ব্যাটসম্যান কখনই টানা অফ-ফর্মে থাকতে পারেন না, ফর্মে তিনি ফিরবেনই। ঠিক সেটাই হল স্মিথের ক্ষেত্রে।
বৃহস্পতিবার ইনিংসের শুরু থেকেই ফর্মে ফেরার লক্ষ্মণ দেখাচ্ছিলেন তিনি। পেসারদের তিনি বরাবরই সাবলীল ভাবে সামলান, এ বার অশ্বিন এবং জাদেজাকেও দুরন্ত ভাবে সামলাচ্ছিলেন। স্টেপ আউট করতেও পিছপা হচ্ছিলেন না স্মিথ।
দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকে এক বারের জন্যও স্মিথকে দেখে মনে হয়নি তিনি বিপদে পড়তে পারেন বলে। ইনিংসের ৭১ ওভার থেকে ভারতীয় বোলারদের দাপট দেখানো শুরু হয়। তবুও স্মিথকে টলানো যায়নি।
একটা দিক ধরে রেখেছিলেন স্মিথ। এ ভাবেই পেরিয়ে গেলেন শতরানের স্কোরটি। উল্লেখ্য, ২০১৯-এ অ্যাসেজ সিরিজে শেষ বার শতরান করেছিলেন স্মিথ। ফের ২০২১-এ টেস্ট শতরান করলেন তিনি। সঙ্গীর অভাবে একটা সময়ে মারকাটারি ব্যাট চালাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু শেষে রান আউট হয়ে যান তিনি।
এ দিকে স্মিথ শতরান করার পরেও ভারতীয় বোলারদের দাপট ছিল অব্যাহত। বিশেষ করে রবীন্দ্র জাদেজা। মেলবোর্নে ভারতের জ্যের পেছনে জাদেজার ব্যাট হাতে অবদান ছিল অনস্বীকার্য। কিন্তু এ দিন বল হাতে ভেল্কি দেখালেন।
একাই চার উইকেট নেন জাড্ডু। অন্যদিকে জসপ্রীত বুমরাহ দুটো উইকেট নেন। আরও একটি উইকেট নেন নবদীপ সাইনিও। বৃহস্পতিবার উইল পুকোভস্কিকে আউট করেছিলেন তিনি।
দাঁড়িয়ে গেল ভারতের ওপেনিং জুটি
চলতি টেস্ট সিরিজে ওপেনিং কম্বিনেশন ফের বদল করল ভারত। তৃতীয় টেস্টে তিন নম্বর জুটি। আর এই জুটিটাই দাঁড়িয়ে গেল।
দীর্ঘদিন পর টেস্টে ফিরলেও স্ট্রাইক নিয়েছিলেন রোহিত শর্মাই। প্রথম বলেই মিচেল স্টার্ককে ফাইন লেগে ফ্লিক করে এক রান নেন রোহিত। বুঝিয়ে দেন তাঁর কোনো অস্বস্তি নেই। এর পরেই শুরু হয়ে যায় শুভমন এবং রোহিতের দুর্দান্ত একটি জুটি।
চরিত্র বিরোধী ইনিংসে খেলছিলেন রোহিত। ২০১৯ সালে সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথমবার টেস্ট ওপেনিং করতে নেমেও ঝড়ের গতিতে রান তুলছিলেন তিনি। সেই রোহিত এতটা ম্রিয়মাণ হয়ে যাবেন ভাবা যায়নি। কিন্তু কখনই কোনো সমস্যায় তিনি পড়েননি।
উলটো দিনে শুভমন গিল নজর কেড়েই যাচ্ছিলেন। চোখরাঙানো কিছু স্ট্রোক যেমন খেলেছেন, তেমনই প্রয়োজনের সঙ্গে শক্তিশালী ডিফেন্সও দেখিয়েছেন তিনি। এ ভাবেই এই ওপেনিং জুটি ৫০ রান অতিক্রম করল।
২৭ ওভার টিকে ছিল এই ওপেনিং জুটি। স্কোরবোর্ডে উঠে গিয়েছিল ৭০। কিন্তু জশ হেজেলউডের হাতে তাঁর বলটাকেই ক্যাচ তুলে দেন রোহিত। শেষ হয়ে যায় ধৈর্যশীল একটি ইনিংস। তবে রোহিত ফিরলেও দুরন্ত অর্ধশতরান করে ফেলেন শুভমন।
মেলবোর্ন টেস্টে দুই ইনিংসেই দুর্দান্ত খেলেছিলেন তিনি। এ দিনের ৫০ রান বুঝিয়ে দিল শুভমন টেস্ট ওপেনিংয়ের জায়গাটা নিজের নামে করার জন্য কতটা বদ্ধপরিকর। যদিও ৫০ পেরোনোর পরমুহূর্তেই কামিন্সের বলকে ক্যামেরন গ্রিনের হাতে তুলে দিয়ে ড্রেসিং রুমে ফেরেন তিনি।
দিনের খেলা শেষ হতে তখনও বেশ কিছুটা সময় বাকি ছিল। সেটা সাবধানে পার করে দিয়েছেন চেতেশ্বর পুজারা এবং অজিঙ্ক রাহানে। শনিবার এই টেস্টের যে গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।
সিডনি টেস্টের আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন এখানে।
ক্রিকেট
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল লর্ডসে হবে না: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
জৈব সুরক্ষা বলয় নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ১৯৮৩-এর ছবি ২০২১-এ দেখা যাবে না। কপিল দেব লর্ডসের ব্যালকনিতে বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে দাঁড়িয়ে যে পোজ দিয়েছিলেন, সেটা বিরাট কোহলি করতে পারবেন না টেস্টের বিiশ্বকাপ জিতলেও। কারণ ফাইনালটাই যে আর লর্ডসে হবে না।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল লর্ডস থেকে সাউদাম্পটনে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এর ফলে জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করতে অনেকটাই সুবিধা হবে বলে জানান সৌরভ।
উল্লেখ্য, করোনার প্রকোপ এখনও সে ভাবে কমেনি। সে কারণে জৈব সুরক্ষা বলয়ের ওপরে এখনও জোর দিতেই হবে। আর ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনের আজিয়েস বল স্টেডিয়ামে মাঠের ঠিক লাগোয়া হোটেল রয়েছে। গত বছর জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে এই সাউদাম্পটনেই ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং পাকিস্তান।
শনিবার ইংল্যান্ডকে ইনিংসে হারিয়ে ৩-১ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জেতে ভারত এবং সরাসরি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে যায়। আগামী ১৮ জুন ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ভারত। তবে ম্যাচটা লর্ডসে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সাউদাম্পটনে হলে কিছুটা ম্যাচের জৌলুস যে কিছুটা কমবে তা বলাই বাহুল্য।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
‘সাডেন ডেথ’-এ গোয়াকে হারিয়ে এই প্রথম আইএসএল-এর ফাইনালে মুম্বই
ক্রিকেট
ইংল্যান্ডকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতল ভারত
আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ভারত।

ভারত: ৩৬৫ (পন্থ ১০১, সুন্দর ৯৬* স্ট্রোকস ৪-৮৯, আন্ডারসন ৩-৪৪)
ইংল্যান্ড: ২০৫ (স্ট্রোকস ৫৫, লরেন্স ৪৬ অক্ষর ৪-৬৮, অশ্বিন ৩-৪৭) এবং ১৩৫ (লরেন্স ৫০, রুট ৩০ অশ্বিন ৫-৪৭ অক্ষর ৫-৪৮)
খবর অনলাইন ডেস্ক: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ ম্য়াচে এক ইনিংস এবং ২৫ রানে দুর্দান্ত জয়! ঘরের মাঠে ১৩তম টেস্ট সিরিজ জেতার রেকর্ড গড়ার পাশাপাশি আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল ভারত।
শনিবার অমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে চতুর্থ টেস্ট ম্যাচের তৃতীয় দিন বিপক্ষ ইংল্যান্ডকে অলআউট করে দিল ভারত।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অক্ষর পটেলের দুর্দান্ত বোলিংই এ দিন ভারতের জয়ের পথ মসৃণ করে দেয়। দুই ভারতীয় বোলারই দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টি করে উইকেট নেন। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২০৫ রানে ইংল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিতে অক্ষর ৪টি এবং অশ্বিন ৩টি উইকট তুলে নিয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডকে স্কোর বোর্ডে দেড়শোর উপরে উঠতে দিলেন না দুই দাপুটে বোলার।
ইংল্যান্ড এই টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রথম ইনিংসে তারা ২০৫ রান তুলতে সক্ষম হয়। তবে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ভারত প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রান করে ১৬০ রানের লিড নিয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড ১৩৫ রানে অলআউট হয়ে গেল আজ। এই টেস্টে অক্ষর ৯ উইকেট এবং আশ্বিন ৮ উইকেট নিয়েছেন। ভারতের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন ঋষভ পন্থ।
প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ড প্রথম টেস্ট ২২৭ রানে জিতে এই সিরিজে দুর্দান্ত সূচনা করেছিল। তবে দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ডকে ৩১৭ রানে হারিয়ে ভারত আবারও ফিরে আসে। এর পরে, দ্বিতীয় টেস্টটি দু’দিনের মধ্যেই ১০ উইকেটে জিতে নেয় ভারত। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চতুর্থ টেস্টে এক ইনিংস ও ২৫ রানে জয়ী হল ভারত। সিরিজের ফল ৩-১।
আরও পড়তে পারেন: শতরানের খরা কাটিয়ে ‘সুন্দর’ ইনিংস ঋষভের, চালকের আসনে ভারত
ক্রিকেট
শতরানের খরা কাটিয়ে ‘সুন্দর’ ইনিংস ঋষভের, চালকের আসনে ভারত
রোহিত এই সিরিজে ভারতের হয়ে সব থেকে বেশি রান করেছেন। এটা রোহিতের পক্ষে যেমন ভালো বিজ্ঞাপন, তেমনই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের খারাপ দশাটাও দেখিয়ে দিচ্ছে।

ইংল্যান্ড ২০৫
ভারত ২৯৪-৭ (ঋষভ ১০১, সুন্দর ৬০, অ্যান্ডারসন ৩-৪০)
খবরঅনলাইন ডেস্ক: জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় অভিষেকের পর থেকে বল হাতে যতটা কামাল তিনি করেছেন, তার থেকে অনেক বেশি প্রভাব ফেলেছেন ব্যাটে। এ হেন ওয়াশিংটন সুন্দর যদি ঋষভ পন্থের সঙ্গে ক্রিজে জমে না জেতেন, তা হলে ভারতের কপালে অবধারিত দুঃখ ছিল।
পন্থকে যত কৃতিত্ব দেওয়া যায়, কমই হবে। অত্যন্ত কঠিন পিচে যে ব্যাটিংটা তিনি করলেন তা এক কথায় দুর্দান্ত। টেস্টে পন্থের অনেক ভালো ভালো ইনিংস রয়েছে। কিন্তু তাঁর সেরা ইনিংসগুলোর তালিকা তৈরি করতে হলে, নিঃসন্দেহে এটা দু’নম্বরে আসবে, প্রথমে অবশ্যই আসবে ব্রিসবেনে ম্যাচ জেতানো সেই ইনিংসটা।
মধ্যাহ্নভোজনের আগেই ভারতের চতুর্থ উইকেট যখন পড়ল, দল তখনও ৯০ পেরোয়নি। রোহিত শর্মার সঙ্গে ক্রিজে জমে গিয়েও স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন অজিঙ্ক রাহানে। দু’জনের জুটিটা বেশ চলছিল। রাহানের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল বড়ো রানের দিকেই এগোচ্ছেন তিনি। কিন্তু সেই ইনিংসকে কাটছাঁট করে দেন জেমস অ্যান্ডারসন।
তার আগেই ভারত বড়ো চাপ খেয়ে গিয়েছে এ দিন। দিনের খেলা শুরু হওয়ার একটু পরেই পর পর ড্রেসিং রুমে ফিরে যান চেতেশ্বর পুজারা এবং বিরাট কোহলি। সিরিজে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ০ করলেন বিরাট, যা তাঁর কাছে অকল্পনীয়। দলের স্কোর তখন ৪১। এর পর চতুর্থ উইকেট যখন পড়ল ইংল্যান্ড তখন ম্যাচে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু খেলা ঘুরিয়ে দিলেন পন্থই।
রোহিত এই সিরিজে ভারতের হয়ে সব থেকে বেশি রান করেছেন। এটা রোহিতের পক্ষে যেমন ভালো বিজ্ঞাপন, তেমনই ভারতীয় ব্যাটিংয়ের খারাপ দশাটাও দেখিয়ে দিচ্ছে। সেই রোহিতকে সঙ্গে নিয়ে দলের স্কোরকে কিছুটা টেনে নিয়ে যান পন্থ। পঞ্চাশ থেকে মাত্র এক রান কমে আউট হয়ে যান রোহিত। কিছুক্ষণ পর যখন রবিচন্দ্রন অশ্বিনও আউট হন ভারত তখন ইংল্যান্ডের স্কোর থেকে ৫৯ রান দূরে।
এর পরের ঘণ্টা আড়াই আর উইকেট পড়েনি। ক্রিজে এসেই জমে যেতে শুরু করেন সুন্দর। অন্যদিকে নিজের খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে আসতে শুরু করেন পন্থ। দু’জনের জুটি যখন একশো পেরিয়ে যায়, তখন পন্থের অবদান ছিল ৫৯ বলে ৬৩। জো রুটের বলে ছক্কা মেরে শতরান পূর্ণ করেন তিনি। এর মধ্যে দিয়েই শতরানের খরা কাটে পন্থের। ২০১৯-এর জানুয়ারিতে সিডনিতে শেষ বার শতরান করেছিলেন তিনি।
তবে এ দিন পন্থের ইনিংসে দু’রকম ধরন দেখা গিয়েছিল। প্রথম পঞ্চাশ তিনি করেছিলেন ঢিমেতালে খেলে। কিন্তু পরের পঞ্চাশ আসে পন্থের চিরাচরিত আগ্রাসী ঢঙেই। যদিও শতরানের পরেই পন্থ বুঝিয়ে দেন যে তিনি নিজের স্বভাব খুব একটা বদলাবেন না। কারণ শতরান থেকে এক রান বেশি করেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন তিনি।
তবে পন্থ যখন আউট হলেন ভারত ততক্ষণে লিড নিয়ে বেশ সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। এখন থেকে যা রানই আসত, সবই বোনাস। এ বার অর্ধশতরান পেরিয়ে যান সুন্দর। দিনের খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত আর কোনো উইকেট পড়েনি ভারতের। লিড ক্রমশ বাড়িয়ে তারা এখন যথেষ্ট সুবিধাজনক জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
৬ ক্রিকেটার কোভিড পজিটিভ, স্থগিত হয়ে গেল পাকিস্তান সুপার লিগ
-
রাজ্য3 days ago
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য
-
রাজ্য3 days ago
লড়াই মুখোমুখি! নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
রাজ্য3 days ago
অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ, কলকাতাতেও বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা
-
দেশ3 days ago
স্বামী থাকতেও প্রেমিক খুঁজছেন ভারতের বিবাহিত মহিলারা! এটা কি খারাপ খবর?