দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৩৫ এবং ২৫৮ (ডে’ভিলিয়ার্স ৮০, এলগার ৬১, শামি ৪-৪৯)
ভারত: ৩০৭ এবং ৩৫-৩ (পুজারা অপরাজিত ১১, এনগিডি ২-১৪)
সেঞ্চুরিয়ন: দিনের শেষ ঘণ্টায় ভারতীয় টপ অর্ডারদের ব্যর্থতায় বিফলে গেল বোলারদের সব পরিশ্রম। বৃথা হল সেঞ্চুরিয়নের পিচে শামির আগুন ঝরানো। প্রথম টেস্টের পরে দ্বিতীয় টেস্টেও হারের মুখে ভারত।
মঙ্গলবার খেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই দলের স্কোরকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন এলগার এবং ডে’ভিলিয়ার্স। প্রত্যাবর্তনের পর সব থেকে ঝকঝকে ইনিংসটা এ দিন খেলেন এবি। অন্য দিকে অর্ধশতরান পেরিয়ে গিয়েছিলেন এলগারও। ঠিক যখন মনে হচ্ছিল এই জুটি ভারতের হাত থেকে ম্যাচ নিয়ে যাবে, তখনই আঘাত হানেন শামি।
একটা দুর্দান্ত স্পেলে পরপর তিনটে উইকেট তুলে নেন তিনি। তাঁর এই বিষাক্ত স্পেলের শিকার হন ডে’ভিলিয়ার্স, এলগার এবং ডি’কক। এর পর ষষ্ঠ উইকেটে একটি জুটি তৈরি হয় ফিলান্দার এবং অধিনায়ক দু’প্লেসির মধ্যে। এই জুটিটা জমে উঠতেই আঘাত হানেন ইশান্ত। তাঁর পেসের চোটে ফিরে যান ফিলান্দার এবং মহারাজ।
মাত্র তেরো রানের ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের শেষ তিন উইকেটের পতন হয়। শামি, বুমরাহ এবং অশ্বিন এই তিনটে উইকেট নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেন।
এই পিচে ২৮৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা পেয়ে ভারতীয় দল লুফে নিয়েছিল। মনে হয়েছিল এই সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর মোক্ষম সুযোগ চলে এসেছিল ভারতের সামনে। কিন্তু বিপক্ষের পেসারদের দাপটে সেই সুযোগ কার্যত ধুলোয় মিশে যেতে বসেছে।
এক সময় মূলত শ্বেতাঙ্গ পেসাররা আধিপত্য দেখাতেন দক্ষিণ আফ্রিকা দলে। কিন্তু এ দিন কৃষ্ণাঙ্গরা কাঁপিয়ে দিলেন ভারতকে। দু’টি উইকেট নিলেন লুঙ্গি এনগিডি এবং একটি উইকেট নেন রাবাদা। এই দুই বোলারের দাপটে ইনিংসে শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে ফিরে যান বিজয়, রাহুল এবং কোহলি। পাঁচ নম্বরে রোহিতের বদলে নেমেছেন পার্থিব। এখন দেখার ম্যাচের শেষ দিন ভারত আদৌ জয়ের লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছোতে পারে কি না।